গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মহাসড়কের ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়া স্বামী-স্ত্রী ট্রাক চাপায় নিহত হয়েছেন। নিহত আনোয়ার মিয়া ও শারমিন দম্পতি ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে তাদের নিজ বাড়ি কুড়িগ্রামে ফিরছিলেন। তারা দুজনই গার্মেন্টে চাকরি করতেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চাঁপড়ীগঞ্জ নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আনোয়ার মিয়া (৩০) কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার শিলকুড়ি ইউপির কাঠগিরি গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে। স্ত্রী শারমিন আক্তারসহ ঢাকার একটি গার্মেন্টে চাকরি করতেন তিনি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেলে করে আসার পথে মহাসড়কের চাঁপড়ীগঞ্জ এলাকার পশ্চিম পাশে দেওয়া রাবারের রোড ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ছিটকে পড়েন স্বামী-স্ত্রী। তাৎক্ষণিক পেছনে থাকা একটি ট্রাক চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান। পরে ট্রাকটিকে আটক করা হয়।
এদিকে, এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এলাকাবাসী। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রীর নিহত ঘটনায় মহাসড়কে অপরিকল্পিতভাবে রাবারের ডিভাইডার দেওয়াকে দায়ী করেন। পরে ফাঁসিতলা থেকে চাঁপড়ীগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকার রাবারের ওই রোড ডিভাইডার তুলে নেওয়ার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন।
প্রায় ঘণ্টাখানেক অবরোধের পর খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে রোড ডিভাইডার তুলে নেওয়ার আশ্বাস দিলে মহাসড়ক থেকে সড়ে যান এলাকাবাসী। এতে মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মোজাফ্ফর হোসেন জানান, খবর পেয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। তাদের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে। ঘটনার পর স্থানীয়রা ঘাতক ট্রাকটিকে আটক হলেও চালক হেলপার পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তাদের আইন ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি আরও জানান, রোড ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মহাসড়কে ছিটকে পড়েন মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রী। পরে ট্রাক চাপায় তাদের মৃত্যু হয়। নির্মাণাধীন মহাসড়কের রোড ডিভাইডারগুলো সরানোসহ যাতে আর কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।