X
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫
২৩ বৈশাখ ১৪৩২

রাজধানীতে পানির সঙ্কট ভয়াবহ

ওমর ফারুক
১৩ এপ্রিল ২০১৬, ০৭:৪৮আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০১৬, ০৭:৫১

পানি সংগ্রহের অপেক্ষায় ওরা গ্রীষ্মের শুরুতেই রাজধানীতে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। পানি নিয়ে হাহাকারও শুরু হয়েছে। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দিনের বেশির ভাগ সময় ওয়াসার পাইপ থেকে পানি পাওয়া যাচ্ছে না।অনেক এলাকায় রাতভর অপেক্ষা করতে হয় পানির জন্য। বহু এলাকায় ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানিও আসছে ওয়াসার পাইপ থেকে। হঠাৎ করে পানির সংকট দেখা দেওয়ায় নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন ও পানির পাম্প ঘেরাও হয়েছে।
নগরীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর,  লালমাটিয়া, ধানমণ্ডি, কলাবাগান, মগবাজার, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল, শাহজাদপুর এবং পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার দীননাথ সেন রোড, সতীশ সরকার লেন, মুরগিটোলা, মিরহাজীর বাগ, যাত্রাবাড়ী, জুরাইন, পোস্তগোলা, সুরিটোলা, শাখারীবাজার, তাঁতীবাজার প্রভৃতি এলাকায় দু’সপ্তা ধরে পানির সংকট চলছে।
শাখারীবাজারের বাসিন্দা রঞ্জিত কুমার জানান, প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে পানির সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। কখনও পাওয়া গেলেও এই পানির সঙ্গে ময়লা চলে আসে।পানিতে দুর্গন্ধও রয়েছে।
মিরহাজীর বাগের বাসিন্দা আকতার হোসেন বলেন, চারদিন ধরে মিরহাজীর বাগ ও আশপাশের এলাকায় পানির সংকট চলছে। ওয়াসার কর্মকর্তাদের বলার পরও সংকট দূর হয়নি। রিয়াজউদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, মিরহাজীর বাগ আদর্শ স্কুলের সামনে ওয়াসার একটা পাম্প রয়েছে। কিছুদিন আগে এখানে নতুন পাম্প বসানো হয়। কিন্তু ওই পাম্প দিয়ে পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যাচ্ছে না বলে পাম্পের অপারেটর দাবি করেন। ফলে পুরো এলাকায় হাহাকার চলছে।
ঢাকা ওয়াসার একাধিক সূত্রে জানা গেছে,ধলপুরে অবস্থিত সায়েদাবাদ শোধনাগারের দু’টি প্ল্যান্ট থেকে প্রতিদিন ৪৫ কোটি লিটার পানি শোধন করে নগরীতে সরবরাহ করা হয়। বৃহস্পতিবার সায়েদাবাদের দু’টি শোধনাগারেই বিঘ্ন দেখা দেয়। এক পর্যায়ে শোধনাগার দু’টি বিকল হয়ে পড়লে পানি শোধন বন্ধ হয়ে যায়। পরে শোধনাগার দু’টি ঠিক করে চালু করা হলেও সংকট কাটেনি। এছাড়া মিরপুর এলাকায় পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পুরনো পাম্পগুলোর পানি উত্তোলন ক্ষমতা কমে গেছে।
ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল আলম চৌধুরী বলেন, পুরান ঢাকায় পানি সরবরাহের জন্য চাঁদনীঘাট এলাকায় রয়েছে একটি শোধনাগার। বুড়িগঙ্গার পানি শোধন করা হয় এই প্ল্যান্টের মাধ্যমে। কিন্তু নদীর পানির দূষণ মাত্রা অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় তা শোধন করতে সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে শোধনাগারের উৎপাদন ক্ষমতা কমে গেছে।
মিরপুর-১০, মগবাজারের ওয়ারলেস গেইট, মিরপুর-১০ নম্বর সেকশনের আল-হেলাল হাসপাতালের সামনে পানির দাবিতে রবিবার বিক্ষোভ মিছিল ও পাম্প স্টেশন ঘেরাও করেছে এলাকাবাসী।
ওয়াসা জানিয়েছে, ঢাকা মহানগরীতে বর্তমানে পানির দৈনিক চাহিদা ২৩০ কোটি লিটার। কিন্তু উৎপাদন হচ্ছে ২৪৫ কোটি লিটার। সায়েদাবাদ-১, সায়েদাবাদ-২ ও চাঁদনীঘাট- এ তিনটি শোধনাগার এবং ৭৩০টি গভীর নলকূপ দিয়ে এ পানি উৎপাদন করা হয়।কর্মকর্তাদের দাবি, চাহিদার চাইতে উৎপাদন বেশি হলেও সরবরাহ লাইনে ত্রুটি থাকায় বিপুল পরিমাণ পানি গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারছে না।

 

ওএফ/ এমএসএম/ 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
কানাডার সঙ্গে বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
কানাডার সঙ্গে বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
এশিয়ান দাবায় বাংলাদেশের চার দাবাড়ু
এশিয়ান দাবায় বাংলাদেশের চার দাবাড়ু
মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বিভিন্ন অভিযোগের ব্যাখ্যা দিলো আটাব
মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বিভিন্ন অভিযোগের ব্যাখ্যা দিলো আটাব
‘ভারত সীমান্তে বাড়তি কোনও ব্যবস্থা নেবে না বাংলাদেশ’
‘ভারত সীমান্তে বাড়তি কোনও ব্যবস্থা নেবে না বাংলাদেশ’
সর্বাধিক পঠিত
প্রাথমিকে আরও একটি অধিদফতর হচ্ছে
প্রাথমিকে আরও একটি অধিদফতর হচ্ছে
চেম্বার থেকে নারী চিকিৎসককে টেনেহিঁচড়ে রাস্তায় এনে মারধর
চেম্বার থেকে নারী চিকিৎসককে টেনেহিঁচড়ে রাস্তায় এনে মারধর
এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের চাপে আওয়ামীপন্থি ৬ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল
এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের চাপে আওয়ামীপন্থি ৬ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল
ঈদুল আজহায় ছুটি ১০ দিন, দুই শনিবার খোলা থাকবে অফিস
ঈদুল আজহায় ছুটি ১০ দিন, দুই শনিবার খোলা থাকবে অফিস
আইএমএফ-বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক শেষ, কিস্তি ছাড়ে কী সিদ্ধান্ত হলো?
আইএমএফ-বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক শেষ, কিস্তি ছাড়ে কী সিদ্ধান্ত হলো?