বাংলাদেশ থেকে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার সংক্রান্ত কোনও তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে নেই।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (দ্বিপক্ষীয় ও কনস্যুলার) মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন,এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।
মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের পর তুরস্ক বাংলাদেশ থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেফ এরদোয়ানকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
আরও পড়তে পারেন: রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করলো তুরস্ক
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে,আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক কোনওভাবেই তারা রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের বিষয়টি জানেন না।
তবে গতকাল (১১ মে) তুর্কি দূতাবাস এক চিঠিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছে, আজ থেকে (১২ মে )রাষ্ট্রদূত ছুটিতে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য,কোনও দেশের রাষ্ট্রদূত ছুটিতে বা অন্য কোনও কারণে দেশ ত্যাগ করলে সংশ্লিষ্ট দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তা অবহিত করতে হয়।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জামায়াত আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এর প্রতিবাদে তুরস্কে কয়েকটি শহরে বিক্ষোভও অনুষ্ঠিত হয়। ১১ মে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিও প্রকাশ করে।
আরও পড়তে পারেন: নিজামীর ফাঁসি কার্যকরে জাতিসংঘের উদ্বেগ
এদিকে,একটি তুর্কি নিউজ ওয়েবসাইট আনাডুলু খবর দিচ্ছে, শলাপরামর্শ করার জন্য ঢাকায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ডেভরিম ওযটুককে আংকারায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনৈতিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে ওই ওয়েবসাইটের খবরে বলা হয়,রাষ্ট্রদূত ডেভরিম ওযটুক আজ আংকারায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য,বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা দেশগুলোর মধ্যে তুরস্ক অন্যতম। এর আগে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমকে ফাঁসি না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আহমেদ গুল।
এসএসজেড/এমএসএম /