বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে মেঘালয় থেকে ত্রিপুরা রাজ্যে তেল পরিবহনের বিষয়টি চূড়ান্ত করার জন্য ভারত থেকে একটি প্রতিনিধি দল এ সপ্তাহে ঢাকায় আসছে।
সিলেটের তামাবিল সীমান্ত দিয়ে তেল ট্যাংকার প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে মৌলভীবাজারের চাতলাপুর সীমান্ত দিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যে পাঠাতে চায় ভারত এবং মাশুল দিয়ে এ পণ্য পরিবহনে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ।
আজ মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের সাথে সাক্ষাতের পর ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা সাংবাদিকদের বলেন দুই সরকারের জড়িত সংস্থাগুলি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে।
তিনি বলেন, প্রক্রিয়াটি চলছে এবং দুই সরকারের জড়িত সংস্থাগুলি এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই করবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আশা করি, এ মাসের মধ্যে তেল পরিবহন শুরু হবে।
এদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পররাষ্ট্র সচিবের সাথে ভারতের রাষ্ট্রদূতের অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি এ বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আসামে বন্যার কারণে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এর ফলে পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকে তেল সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছেনা এবং সে কারণে বাংলাদেশের রাস্তা ব্যবহার করে তেলবাহী ট্যাংকার পাঠাতে চায় ভারত।
ভারত শুধুমাত্র তেলবাহী ট্যাংকার পরিবহনের অনুমতিই চেয়েছে এবং এর জন্য প্রতিটন মাশুল ধার্য করা হয়েছে ১৯২ টাকা বলে জানান ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এ ধরনের মানবিক সাহায্য এর আগেও আমরা করেছি এবং এবারেও এ সাহায্য দিতে আমাদের আপত্তি নেই।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা বলেন, এবারের তেলবাহী ট্যাংকার পরিবহন সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এবং এ পণ্য পরিবহন দুইদেশের মধ্যে সম্মত আইডব্লিউটিটি-এর প্রটোকল অনুযায়ী হচ্ছে না।
আইডব্লিউটিটি-এর প্রটোকলে কোন রুট দিয়ে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের একস্থান থেকে অন্য স্থানে পণ্য পরিবাহিত হবে, সেটি নির্ধারিত আছে কিন্তু তামাবিল এবং চাতলাপুর রুটটি প্রটোকলে বলা নেই।
কর্মকর্ত বলেন, এছাড়া প্রটোকলে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। কিন্তু তেল ট্যাংকার পরিবাহিত হবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এসব দিক বিবেচনা করে পৃথক একটি ব্যবস্থায় এ পণ্য পরিবাহিত হবে।
তিনি জানান, এর আগে কলকাতা থেকে ত্রিপুরা রাজ্যে ৩৫,০০০ টন চাল মানবিক কারণে বাংলাদেশ ভূখণ্ড ব্যবহার করে পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তেমনিভাবে বাংলাদেশ ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে নেপালে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের পরে ত্রাণ পাঠিয়েছিল।
/এসএসজেড/এবি/
আরও পড়ুন
এবারও কি নারী মহাসচিব পাবে না জাতিসংঘ?
ভারতে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী তৎপরতার’ অভিযোগ অস্বীকার করলো অ্যামনেস্টি