X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

মীর কাসেমের ফাঁসির রায় বহাল

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
৩০ আগস্ট ২০১৬, ০৯:০৪আপডেট : ৩০ আগস্ট ২০১৬, ১৮:৩৪

মীর কাসেম আলী

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ট্রাইব্যুনালের দেওয়া ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।

গত ২৪ আগস্ট রিভিউ শুনানির নির্ধারিত দিন থাকলেও মীর কাসেম আলীর আইনজীবীরা আবারও সংশ্লিষ্ট শাখায় সময় আবেদন করেন। এর আগে ২৫ জুলাই নির্ধারিত দিন থাকলেও সেদিন সময় আবেদন মঞ্জুর করে আজকের দিন ধার্য্য করে দিয়েছিলেন আদালত।

২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর গত ৮ মার্চ আপিলের ওই সাজাই বহাল থাকে। ৬ জুন পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তা পুনর্বিবেচনার  জন্য ১৯ জুন আবেদন করেন মীর কাসেম।

দ্রুত শুনানি করতে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন জানালে ২১ জুন চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি নিয়মিত আপিল বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। দণ্ড মওকুফ চেয়ে ৮৬ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ১৪টি যুক্তি তুলে ধরেছেন মীর কাসেম। ৬৩ বছর বয়সী মীর কাসেম বর্তমানে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আছেন।

আপিলের রায়ে সর্বশেষ কেবল ১১ নম্বর অভিযোগে তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ‘১৯৭১ সালে ঈদুল ফিতরের পরের যেকোনও একদিন মীর কাসেমের পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে আলবদর বাহিনীর সদস্যরা চট্টগ্রাম শহরের এক অজ্ঞাত স্থান থেকে মুক্তিযোদ্ধা জসিমকে অপহরণ করে নির্যাতন কেন্দ্র ডালিম হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত সেখানে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের ফলে জসিমের মৃত্যু হলে আরও পাঁচজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির লাশসহ তার মৃতদেহ কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এছাড়া আরও ছয় অভিযোগে মোট ৫৮ বছরের কারাদণ্ডের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

এখন পর্যন্ত মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিতদের মধ্যে কারও রিভিউ আবেদনই সফল হয়নি। মীর কাসেমের আগে রিভিউ করেছিলেন ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়া বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে জড়িত আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জামায়াতের শীর্ষনেতা  মো. কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লা। তাদের প্রত্যেকের রিভিউ খারিজের পর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

ট্রাইব্যুনালে মামলার শুনানিকালে আইনজীবী তুরিন আফরোজ বলেন, ‘‘এই অপরাধী পাকিস্তানের খান সেনাদের সঙ্গে মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত হওয়া এক ‘বাঙালি খান’ হিসাবে যিনি সে সময় জামায়াতের তখনকার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের পূর্ব পাকিস্তান শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ডালিম হোটেলকে নির্যাতন কেন্দ্র বানিয়ে সেখানে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘একাত্তরে মীর কাসেমের নির্দেশেই চট্টগ্রাম টেলিগ্রাফ অফিস সংলগ্ন এলাকায় মহামায়া ভবনকে ডালিম হোটেল নাম দিয়ে বদর বাহিনীর চট্টগ্রাম ক্যাম্প বানানো হয়।’

আরও পড়ুন: সবচেয়ে বেশি সময় লাগলো মীর কাসেমের রিভিউতে

 /ইউআই/এমএনএইচ/এসটি/

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
থাইল্যান্ড সফর একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীথাইল্যান্ড সফর একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে
‘গরমে অসুস্থ’ হয়ে মারা যাওয়া সেই শ্রমিকের পরিবারের পাশে জেলা প্রশাসন
‘গরমে অসুস্থ’ হয়ে মারা যাওয়া সেই শ্রমিকের পরিবারের পাশে জেলা প্রশাসন
ওমরাহ করতে স্ত্রীসহ সৌদি আরব যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল
ওমরাহ করতে স্ত্রীসহ সৌদি আরব যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল
ঢাকার অধস্তন আদালতগুলোতে এসি লাগাতে আইনি নোটিশ
ঢাকার অধস্তন আদালতগুলোতে এসি লাগাতে আইনি নোটিশ
সর্বাধিক পঠিত
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি