রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনার আগে ধারণ করা হয় ৫ জঙ্গির ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ওই হামলার কয়েকদিন আগে জঙ্গিদের বক্তব্যের এই ভিডিও ধারণ করা হয়। ভিডিও’র শেষ অংশে গুলশান হামলায় পুলিশের অভিযানে নিহত পাঁচ জঙ্গির বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। ১৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে আরবির পাশাপাশি বাংলাতেও বক্তব্য রাখা হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গি তৎপরতা নজরদারি সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স আইএসের কথিত সংবাদ সংস্থা আমাক-এর বরাত দিয়ে শুক্রবার দিনগত মধ্যরাতে এ ভিডিও প্রকাশের তথ্য জানিয়েছে।
ভিডিওর প্রথম ৯ মিনিটে বাংলাদেশের আলেম সমাজের সমালোচনা করা হয়েছে। সেখানে ইসলামী চিন্তাবিদদের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। যেখানে ইসলামী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, শোলাকিয়া মসজিদের ইমামসহ কয়েকজনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বক্তৃতা তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলা এই ভিডিওতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ বিশ্বনেতাদের ছবি ব্যবহার করে তাদের 'কাফের' হিসেবে চিহ্নিত করে বলা হয়, মুসলিমদের তাদের প্রতি কঠোর হতে হবে।
গুলশানে হামলার কারণ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ভিডিওতে বলা হয়েছে, মুসলিম নারী, পুরুষ ও শিশুদের রক্তে রঞ্জিত ক্রুসেডাররা মুসলিমদের প্রতি তাদের চরম উপহাস হিসেবে বাংলাকে তাদের মনোরঞ্জনের স্থান হিসেবে বেছে নেয়। তাই তারা ৫ জন ঢাকার গুলশানে হামলা চালিয়েছিল।
ভিডিওতে গুলশান হামলায় নিহত পাঁচ জঙ্গির মধ্যে মোবাশ্বের এবং নিবরাসকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ এবং ভারী অস্ত্রসহ ছুরি হাতে দেখা গেছে।
গুলশান হামলার পর প্রকাশিত ছবিতে জঙ্গিদের যে পোশাক ও জায়গা দেখা গিয়েছিলো, সেই একই পোশাকে ৫ জঙ্গির বক্তব্যের ভিডিও ধারণ করা হয়। ভিডিও ধারণ করার জায়গাও একই বলে মনে হয়।
ভিডিওতে নিবরাস বলছে, ‘মানুষ আমাদের সম্পর্কে কী ভাবছে অথবা কী বলছে তাতে আমাদের কিছু যায়-আসে না।’
গত ১ জুলাই রাজধানী গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা চালানো হয়। জঙ্গিদের হামলায় বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জন নিহত হন। জঙ্গিবিরোধী অভিযানে অংশ নেওয়া দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে ৫ জঙ্গিসহ ৬ জন নিহত হয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এ হামলার জন্য ‘নব্য জেএমবি’কে দায়ী করা হয়েছে।
/ইউআই/এসএনএইচ/এবি/