‘১/১১-এর সময় দায়ের করা মামলা আমাকে ছেলে ও মেয়ের কাছে থাকতে দেয়নি। এবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে এই সুযোগটি পেয়েছি। তাই প্রায় সাত বছর পর বিদেশে গিয়ে ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে সময় কাটালাম।’ কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র সফর থেকে দেশে ফিরে শুক্রবার গণভবনে সমাজের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময়কালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষ ২৬ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু তিনি ফেরেন শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর)। এই বাড়তি কয়দিন থাকার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, '১/১১-এর সময় আমি যখন যুক্তরাষ্ট্রে যাই, উদ্দেশ্য ছিল ছেলে-মেয়ের সঙ্গে সময় কাটানো। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পরপরই সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমার নামে মামলা দেয়। আমি মামলা মোকাবিলা করতে দেশ ফিরতে চাই। কিন্তু আমাকে বহন না করতে বিমান কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা জারি করা হয়। ওই সময় আমি যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনেক কষ্টে লন্ডন যাই। লন্ডন থেকে তারপর অনেক চেষ্টার পর দেশে ফিরে আসি।’
'আমার সোলজাররা এসে গেছে'
প্রধানমন্ত্রীর যখন স্মৃতিচারণ করছিলেন, তখন গণভবনের ড্রয়িং রুমে ছেলেকে নিয়ে প্রবেশ করেন শেখ রেহানার ছেলে রেজওয়ান সিদ্দিক ববি। এ ছাড়া ওই সময় প্রধানমন্ত্রীর আরও নাতি-নাতনীরা সেখানে আসে। তাদের দেখতে পেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার সোলজাররা চলে এসেছে। আমি বিদায় নিচ্ছি।’
এ সময় নাতি নাতনিরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ববির ছেলেসহ নাতি-নাতনীদের সঙ্গে ছবি তোলেন। ছবি তোলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাসহ অন্যান্যদের সঙ্গেও।
কুশল বিনিময়ের সময় ঢাবি উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ, নৃত্যুশিল্পী শামীম আরা নিপা, শিবলি মাহমুদ, নাট্যশিল্পী রামেন্দ্র মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, কেন্দ্রীয় সদস্য মির্জা আজম প্রমুখ। তারা সবাই এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যার্থনা জানাতে।
/এআরএল/
আরও পড়ুন: