X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

উপকূলের আড়াই লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৯ মে ২০১৭, ২৩:৪০আপডেট : ৩০ মে ২০১৭, ০০:১৩

 

কক্সবাজারের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন উপকূলীয় এলাকার মানুষ ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মোকাবিলায় চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ১১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ৪৭৯টি, কক্সবাজারে ৫৩৮টি, লক্ষ্মীপুরের ১০২টি, বাগেরহাটে ২২৭টি, বরগুনায় ৩৩৫টি, নোয়াখালীতে ৪১২টি ও ফেনীতে ৪৪টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এদিকে, বরিশাল বিভাগের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকা থেকে জনসাধারণকে এসব আশ্রয়কেন্দ্র আনার কাজে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন কাজ করছে। ইতোমধ্যে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে দু’লাখ ৩৫ হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে কক্সবাজারে এক লাখ ৬০ হাজার ও চট্টগ্রামে ৭৫ হাজার।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফায়জুর রহমান জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে কর্মস্থলে যোগদানের জন্য প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঝড়ের সময় ৫/৬ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। সকাল ছয়টা থেকে বেলা বারোটার মধ্যে মোরা উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। পটুয়াখালী, ফিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠী,  বরিশাল, চাঁদপুরে এই মুহূর্তে (সোমবার রাত ১১ টায়) ভারী বৃষ্টি  হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ এই মুহূর্তে  (সোমবার রাত ১১ টায়) কক্সবাজার থেকে ২৮০ কিলোমিটার, চট্টগ্রাম থেকে ৩৬০ কিলোমিটার, মংলা থেকে ৪৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।

বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব আমির হোসেন বলেন, ‘দুপুরের পর থেকেই ঘূর্ণিঝড় কবলিত অঞ্চলে যত সাইক্লোন শেলটার আছে, সব কেন্দ্রই প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আমি সার্বক্ষণিক বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। স্থানীয় জন প্রতিনিধিরাও প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এখনও কোনও দুর্ঘটনার খবর পাইনি। স্বাভাবিক বৃষ্টি হচ্ছে।’

চট্টগ্রামের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান বিন মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, ‘সোমবার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের সাতটি উপকূলীয় উপজেলার ৭৫ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে।’এদিকে বাংলা ট্রিবিউনের কক্সবাজার প্রতিনিধি জানান, সন্ধ্যার পর থেকে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আসা শুরু করেছেন উপকূলের মানুষেরা। একই সঙ্গে জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয়েকেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন দুর্যোগকবলিত এলাকার মানুষ। জেলা প্রশাসক আলী হোসেন জানান, এ পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রের আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ। তাদের জন্য প্রয়োজনীয় খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জেলার ৫৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়ার পাশাপাশি নেওয়া হয়েছে নানা ব্যবস্থা। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে অন্তত  দুলাখেরও বেশি মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হবে। এলক্ষ্যে গঠন করা হয়েছে ৮৮টি মেডিক্যাল টিম।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আলী হোসেন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোরা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন প্রস্তুত। পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও খোলা হবে। উপকূলীয় দুর্যোগপূর্ণ এলাকা থেকে জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য বিকাল থেকেই প্রশাসন কাজ করছে।  তবে সকালে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। ভারী থেকে ভারীতর বৃষ্টি হতে পারে এসব জেলায়।’

/এসআই/এমপি/এমএনএইচ/এপিএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
স্যামসন-জুরেলের ব্যাটে লখনউকে সহজে হারালো রাজস্থান
স্যামসন-জুরেলের ব্যাটে লখনউকে সহজে হারালো রাজস্থান
মুগদায় তীব্র গরমে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মৃত্যু
মুগদায় তীব্র গরমে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মৃত্যু
কাপ্তাই হ্রদে নাব্য সংকট, ৫ উপজেলার যোগাযোগ বন্ধ
কাপ্তাই হ্রদে নাব্য সংকট, ৫ উপজেলার যোগাযোগ বন্ধ
কলকাতা স্টেশনে অর্থ পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার বাংলাদেশি
কলকাতা স্টেশনে অর্থ পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার বাংলাদেশি
সর্বাধিক পঠিত
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
তাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
প্রাক-প্রাথমিক বন্ধই থাকছেতাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু