তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার মামলায় সাংবাদিকদের হয়রানিরগুলো সামনে আসে, কিন্তু সাধারণ মানুষের হয়রানি সামনে আসে না। এ পর্যন্ত সাইবার অপরাধে তিনশরও বেশি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা সংখ্যা ১৯। এর অর্থ দাঁড়ায়- সাধারণ মানুষের ভোগান্তি সামনে আসছে না।
বাংলা ট্রিবিউন আয়োজিত ‘সাইবার অপরাধ ও আইন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকিতে এ কথা বলেন বাংলা ট্রিবিউনের হেড অব নিউজ হারুন উর রশীদ। তিনি বলেন, ‘একই রিপোর্ট পত্রিকায় প্রকাশিত হলে কিছু হয় না, অনলাইনের কারণে তাকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। একইভাবে প্রতিবেদন ফেসবুকে শেয়ার করলেই মানহানি হয়, এমন না। মামলায় কার অনুভূতিতে আঘাত আসছে সেটা বিবেচনার বিষয় আছে।’
বাংলা ট্রিবিউনের হেড অব নিউজ আরও বলেন, ‘মামলাগুলোর পেছনে ক্ষমতাধারীদের ইঙ্গিত আছে। মনে রাখতে হবে, দুর্নীতিবাজরা শক্তিশালী নয়, এমন উদাহরণ আমাদের সামনে কম। আর তাদের বিরোধিতা করলে হয়রানি করার জন্য অস্ত্রটা এখন খুবই সহজ।’
মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত আছেন আইসিটি বিভাগের যুগ্ম সচিব আবুল মনসুর মোহাম্মদ সার্ফ উদ্দীন, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ফাহিম মাশরুর, আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম, সাংবাদিক জায়েদুল আহসান পিন্টু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরশেন টেকনোলজির (আইআইটি) সহকারী অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন।
অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছে এটিএন নিউজ থেকে। এছাড়া বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক পেইজ থেকে লাইভ চলছে। অনুষ্ঠানটি সম্পর্কিত যেকোনও খবর পড়তে চোখ রাখুন বাংলা ট্রিবিউনে।
/ইউআই/টিআর/