খুলনার সোনাডাঙ্গায় মায়ের কাছ থেকে নিয়ে যাওয়ার শিশু মৌসুম গাইন নীলকে (২০ মাস) আগামী ৭ জানুয়ারি হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে শিশুটির চাচা রিপন ও দাদী শুশমা গাইনকে ওই শিশুকে আদালতে নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
শিশু নীলের মা ফরিদা ইয়াসমিন মনি এ বিষয়ে আদালতে একটি রিট দায়ের করেন। আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা। ওই রিটে বিবাদী করা হয়েছে- স্বরাষ্ট সচিব, আইজিপি, খুলনার পুলিশ কমিশনার, সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), দাকোপ থানার ওসি, শিশুর চাচা রিপন, দাদি সুষমা গাইনকে।
আদালতের আদেশের পর এ বিষয়ে শিশু নীলের মা ফরিদা ইয়াসমিন মনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০১৫ সালের ১০ ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান হওয়ার পর ৩০ মার্চ লিটনকে বিয়ে করি। প্রাথমিকভাবে লিটনের পরিবার এই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। পরে মেনে নিলেও কয়েক মাস পর যৃৌতুকের দাবিতে আমার স্বামী লিটন, তার ভাই রিপন ও শ্বাশুড়ি শুশমা গাইন আমার ওপর নির্যাতন চালায়। এর প্রেক্ষিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাচ্চা হওয়ার পর প্রায়ই আমার স্বামী নীলকে দাদীর বাড়ি নিয়ে যেত। এরপর গত ১৭ এপ্রিল বাচ্চাকে নিয়ে যাওয়ার পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও বাচ্চাকে আর আমার কাছে ফেরত দেয়নি। এমনি আমার স্বামীও আমার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেনি। এ ঘটনার সুরাহা করতে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার কাছে দ্বারস্থ হয়ে কোনও প্রতিকার পাইনি। পরে আমি হাইকোর্ট রিট করেছিলাম। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ এ নির্দেশ দিয়েছেন।’