প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বলেছেন, ‘এখন শুধু বিনামূল্যে বিস্কুট খেতে শিশুরা স্কুলে যায় না। তারা পড়ালেখা করতে স্কুলে যায়। তাদের অভিভাবকরা সচেতন হয়েই স্কুলে পাঠায় সন্তানকে। যাতে তাদের সন্তানরা একদিন দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।’
সোমবার (১ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর একক চেষ্টায় বছরের প্রথম দিনই সাড়ে ১০ কোটি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে ২৬ হাজার ১৯৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করে ৬৫ হাজারে উন্নীত করা হয়েছে। তার উদ্যোগেই আজকের এই বই উৎসব। এই বই উৎসব শুধু প্রধানমন্ত্রীর একক চেষ্টায় সম্ভব হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের প্রত্যেকটি বিদ্যালয়কে বিদ্যুতের আওতায় আনা হবে। যেখানে বিদ্যুৎ যাবে না, সেখানে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। প্রত্যন্ত এলাকার বিদ্যালয়গুলোর শ্রেণিকক্ষকে ডিজিটাল ক্লাসরুমের আওতায় আনা হবে। আগে গ্রামাঞ্চলে উপবৃত্তির ব্যবস্থা ছিল। এখন সেটা সম্প্রসারণ করে ঢাকাসহ সারাদেশে চালু করা হয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করতে চাই। ২০২১ সালের মধ্যে আমাদের দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার ভিশন আর ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়ার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, একটা শিক্ষিত জাতি নিয়ে আমরা সে লক্ষ্যে পৌঁছাবো । এজন্য আমরা কোয়ালিটি এডুকেশনের ওপর জোর দিচ্ছি।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এ বছর প্রায় আড়াই কোটি প্রাথমিক শিক্ষার্থীর মাঝে বাংলা ও ইংরেজি সংস্করণ মিলিয়ে মোট ১০ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ২৮৭টি বই বিতরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩৪ লাখ ১১ হাজার ৮২৪টি বই এবং অনুশীলন খাতা বিতরণ করা হয়েছে।
ছবি: নাসিরুল ইসলাম