রাজধানীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর এক তরুণীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সামনে ফেলে গেছে কে বা কারা। গুরুতর অবস্থায় ওই তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢামেক ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সমন্বয়ক ডা. বিলকিস বেগম।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ওই তরুণীর বয়স ২৪ থেকে ২৫ বছর। সোমবার (২৭ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালের গেটের সামনে কে বা কারা ফেলে রেখে চলে যায়। পরে আশপাশের লোকজন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরীক্ষা করে দেখা যায় তিনি ধর্ষণের শিকার।
ঢামেক ওসিসির সমন্বয়ক ডাক্তার বিলকিস বেগম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘ওই মেয়ে নিজেই তার নাম ঠিকানা জানিয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে।’
ঢামেক ক্যাম্প পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. বাবুল মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘ভুক্তভোগী ওই মেয়েকে ৯টা ২০ মিনিটের দিকে অজ্ঞাত চার ব্যক্তি ঢামেকের সামনে ফেলে রেখে যায় বলে জানতে পেরেছি। মেয়েটি জানিয়েছে তার বাড়ি চাঁদপুরে। বিয়ের পরে একটি সন্তান হওয়ার পর স্বামীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। মেয়েটি জানিয়েছে, গতকাল রবিবার লঞ্চে করে সে সদরঘাট আসে। পরে গুলিস্তানে তার সৎবোনের বাসায় ওঠে। সেখানে তার সৎবোনের সহযোগিতায় চার-পাঁচজন সারা রাত তাকে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষকদের একজন তাকে সঙ্গে করে নিয়ে এসে বিবস্ত্র অবস্থায় হাসপাতালে ফেলে যায়। ওই মেয়েটি চাকরির জন্য সৎবোনের বাসায় আসে। মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে মনে হয়নি সে মানসিক রোগী।’
এএসআই বাবুল মিয়া আরও জানান, বর্তমানে শাহবাগ ও চকবাজার থানা পুলিশের টিম ঢামেকে আছে। ধর্ষণের ঘটনাস্থল কোথায় সেটি খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
এদিকে শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মাহবুবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা এমন ঘটনার তথ্য পেয়েছি। ভুক্তভোগী ঢামেক হাসপাতালে রয়েছেন। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পারি, অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ওই মেয়েকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে ফেলে রেখে গেছে। তবে কে ফেলে রেখে গেছে ভুক্তভোগী ওই নারী সেটি বলতে পারছে না।’ বিষয়টি তদন্ত করে বিস্তারিত তথ্য জানানো যাবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন- টেস্টে টেস্টে জেরবার জীবন!