X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

‘ঘুষ না দিলে সেবা মেলে না’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
৩০ আগস্ট ২০১৮, ১৯:০৯আপডেট : ৩০ আগস্ট ২০১৮, ১৯:৩৬

টিআইবি খানা জরিপের প্রতিবেদন

দেশে দুর্নীতিগ্রস্ত শীর্ষ খাত হিসেবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোকে চিহ্নিত করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির করা ২০১৭ সালের জাতীয় খানা জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) ধানমন্ডিস্থ টিআইবি কার্যালয়ে ওই খানা জরিপের তথ্য প্রকাশ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ২০১৭ সালে দেশজুড়ে একটি খানা জরিপ পরিচালনা করে টিআইবি। এতে সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট প্রশ্নের ভিত্তিতে জনগণের মতামত জানতে চাওয়া হয়। এই জরিপের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দেশে দুর্নীতিগ্রস্ত শীর্ষ খাত হচ্ছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা। জরিপে অংশ নেওয়া ৮৯ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, ঘুষ না দিলে দেশের সেবা খাতে থেকে কোনও সেবা পাওয়া যায় না।

সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত খাত

টিআইবি’র জরিপে দেশের সেবা খাতগুলোর মধ্যে সাতটি খাতকে সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত তিনটি খাত হলো- আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা (৭২.৫ শতাংশ), দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাসপোর্ট (৬৭.৩ শতাংশ) ও তৃতীয় স্থানে বিআরটিএ (৬৫.৪ শতাংশ)। জরিপে উঠে এসেছে, ২০১৭ সালে সার্বিকভাবে ৬৬.৫ শতাংশ খানা দুর্নীতির শিকার হয়েছে।

এ জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে সার্বিকভাবে ঘুষের শিকার হওয়া খানার হার ৪৯.৮ শতাংশ। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ঘুষ গ্রহণকারী তিনটি খাত হলো- বিআরটিএ (৬৩.১ শতাংশ), আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা (৬০.৭ শতাংশ) ও পাসপোর্ট সেবা (৫৯.৩ শতাংশ) । জরিপে অংশ নেওয়া ৮৯ শতাংশ মানুষ জানিয়েছে, ঘুষ না দিলে সেবা পাওয়া যায় না।

জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৭২.৫ শতাংশ খানাই দুর্নীতির শিকার। সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হিসেবে চিহ্নিত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সেবা পেতে ঘুষ দিতে হয় ৬০.৭ শতাংশ খানার। এতে বলা হয়েছে, সেবা পেতে খানাপ্রতি ঘুষ দিতে হয় ৬ হাজার ৯শ’ ৭২ টাকা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দুর্নীতিগ্রস্ত সেবাখাত হলো পাসপোর্ট ও বিআরটিএ। অপর চারটি সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হলো, বিচারিক সেবা, ভূমি সেবা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য।  

এ প্রসঙ্গে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘কোনও কোনও খাতের দুর্নীতির সূচক হ্রাস পেলেও দেশের ৬৬.৫ শতাংশ মানুষ দুর্নীতির শিকার। যা খুবই উদ্বেগজনক।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্থাগুলো দুর্নীতির শীর্ষে থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যাদের কাছে মানুষ সার্বক্ষণিক সেবা আশা করেন, জনগণ যাদের কাছে যান তারাই দুর্নীতিগ্রস্থ। তারা দুর্নীতির শীর্ষ খাত হিসেবে জরিপে উঠে এসেছে। যেসব সেবা মানুষের খুবই প্রয়োজন সেইসব সেবা খাতও দুর্নীতির শীর্ষে। স্বাস্থ্য, ভূমি সেবা, বিচারিক সেবা, শিক্ষা খাত সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত। মানুষ ঘুষ দিতে বাধ্য হচ্ছে। কিছু সেবাখাতে দুর্নীতি কমলেও তা দৃশ্যমান নয়।’

টিআইবি’র খানা জরিপ

যেসব সেবা খাতে ‍দুর্নীতি বেড়েছে

জরিপ প্রতিবেদনে ২০১৫ সালের সঙ্গে ২০১৭ সালের তথ্যগুলো তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে কোনও কোনও খাতে দুর্নীতি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সেগুলো হলো গ্যাস, কৃষি, বিচারিক সেবা খাত। তবে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খাতে দুর্নীতির পরিমাণ কমার কথাও বলা হয়েছে ওই জরিপ প্রতিবেদনে। সেগুলো হলো, শিক্ষা, পাসপোর্ট ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান।

সর্বোচ্চ ঘুষ আদায়ের তিন সেবা খাত

টিআইবির জরিপে সর্বাধিক বা সর্বোচ্চ ঘুষ আদায়ের তিনটি খাত হলো – গ্যাস, বিচারিক সেবা ও বীমা খাত। জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্যাস খাতের সেবা নিতে প্রতি খানাকে গড়ে ৩৩ হাজার ৮০৫ টাকা, বিচারিক সেবা নিতে ১৬ হাজার ৩১৪ টাকা এবং বীমা খাত থেকে সেবা পেতে ১৪ হাজার ৮৬৫ টাকা ঘুষ দিতে হয়।

খানা প্রতি গড়ে ঘুষ দিতে হয় ৫ হাজার ৯৩০ টাকা

দেশের সেবা খাত থেকে মানুষকে ঘুষ বা বাড়তি টাকার বিনিময়ে সেবা নিতে হয়। নাগরিকের পাওনা অধিকারগুলো ঘুষ ছাড়া পাওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবিক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঘুষ ছাড়া কোনও সেবা মেলে না। টিআইবির জরিপে দেখা গেছে, সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে খানা প্রতি গড়ে ৫ হাজার ৯৩০ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে ভুক্তভোগীদের।

ঘুষে খানার পরিমাণ বেড়েছে যেসব খাতে

জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে বেশ কয়েকটি খাতে ঘুষ দেওয়া খানার পরিমাণ বেড়েছে। সেগুলো হলো কৃষি, বিআরটিএ ও বিচারিক সেবা। এই সেবা খাতগুলোতে ২০১৫ সালে ঘুষ দিয়ে সেবা নেওয়া মানুষের সংখ্যা কম ছিল। এবারের প্রতিবেদনে বেড়েছে। একই রিপোর্টে শিক্ষা, পাসপোর্ট, ভূমি সেবায় ঘুষ দেওয়া খানার পরিমাণ কমছে।

ঘুষের পরিমাণ বেড়েছে 

২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে সেবা খাতে ঘুষের শিকার হওয়া খানার পরিমাণ কমলেও ঘুষ আদায়ের পরিমাণ (টাকা) বেড়েছে। মানুষ আগে সেবা পাওয়ার জন্য যে পরিমাণ ঘুষ দিতো, তা এখন টাকার অংকে বেড়ে গেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ২০১৭ সালে জাতীয়ভাবে প্রাক্কলিত মোট ঘুষের পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার ৬ শ’ ৮৮ কোটি ৯ লাখ টাকা—যা ২০১৫ সালের তুলনায় ১ হাজার ৮ শ’৬৭ কোটি ১ লাখ টাকা বেশি। শতাংশ হিসেবে এই ঘুষের অর্থ আগের বছরের তুলনায় ২১.২ শতাংশ বেশি। এর পরিমাণ ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের (সংশোধিত) ৩.৪ শতাংশ এবং বাংলাদেশের জিডিপি’র ০.৫ শতাংশ।

টিআইবি’র খানা জরিপ

শহরের ‍তুলনায় গ্রামাঞ্চলে সেবা খাতে দুর্নীতির প্রকোপ বেশি

টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্থ সামাজিক অবস্থানভেদে খানার দুর্নীতির শিকার হওয়ার হারের ক্ষেত্রে লক্ষণীয় তারতম্য দেখা যায়। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী, স্বল্প শিক্ষিত  ও দরিদ্ররা খানা দুর্নীতির শিকার বেশি হয়েছে। ২০১৭ সালে শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে সেবা খাতে দুর্নীতির প্রকোপ বেশি। শহরের যেখানে সেবাখাতে দুর্নীতির প্রকোপ ৬৫ শতাংশ, গ্রামে সেই চিত্র ৬৮.৪ শতাংশ। এমনকি শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে ঘুষের শিকার হওয়া খানার হারও বেশি। শহরে ৪৬.৬ শতাংশ খানা ঘুষ দিয়ে সেবা নেয়। অপরদিকে, গ্রামের ৫৪ শতাংশ খানা ঘুষ দিয়ে সেবা পায়। খানা প্রধান নিরক্ষর ও স্বাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন হওয়ার কারণেও দুর্নীতির শিকার বেশি হচ্ছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে জরিপ প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, দুর্নীতির বোঝা নিম্ন আয়ের মানুষকেই বেশি বহন করতে হয়।

টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরক্ষর ও স্বাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন খানা প্রধান দুর্নীতির শিকার বেশি হয়। চাকরিজীবী, পেশাজীবী ও ব্যবসায়ীদের তুলনায় সাধারণ পেশার জনগণ যেমন কৃষি, মৎস্যজীবী, চাষী, জেলে, পরিবহন শ্রমিক ইত্যাদি দুর্নীতির শিকার বেশি হন। উচ্চ আয়ের তুলনায় নিম্ন আয়ের খানার ওপর দুর্নীতির বোঝা অপেক্ষাকৃত বেশি। সেবা খাতে সেবা নিতে গিয়ে উচ্চ আয়ের তুলনায় নিম্ন আয়ের খানা তাদের বার্ষিক আয়ের অপেক্ষাকৃত বেশি অংশ ঘুষ দিতে বাধ্য হয়। ৩৫ বছরের নিচের সেবাগ্রহীতাদের তুলনায় ৩৬ ও তদূর্ধ্ব বয়সের সেবাগ্রহীতারা অপেক্ষাকৃত বেশি দুর্নীতির শিকার হয়।

দুর্নীতি বন্ধে টিআইবি’র সুপারিশ

টিআইবির সুপারিশ

জরিপের উত্তরদাতাদের মতামতের ওপর ভিত্তি করে টিআইবি এই দুর্নীতি থেকে উত্তরণের জন্য ১২ দফা সুপারিশ রেখেছে। সেগুলো হলো, বিভিন্ন খাতে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদ্যমান আইনের আওতায় আনতে হবে। এক্ষেত্রে জড়িত ব্যক্তির অবস্থান ও পরিচয় নির্বিশেষে আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। সেবা খাতে দুর্নীতি প্রতিরোধে বিভাগীয় পদক্ষেপের পাশাপাশি প্রযোজ্য ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ কার্যকর করতে হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সুদৃঢ় নৈতিক আচরণবিধি প্রণয়ন ও প্রয়োগ করতে হবে। এর ভিত্তিতে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সেবাদানের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মকাণ্ডের মূল্যায়নের ভিত্তিতে পুরস্কার ও তিরষ্কার বা শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গণশুনানির মতো জনগণের অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রম বাড়াতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণের সচেতনতা ও অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য সামাজিক আন্দোলন জোরদার করতে হবে এবং এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের সক্রিয়তা বাড়াতে হবে। তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ ও তথ্য প্রকাশকারীর সুরক্ষা আইন-২০১১ কার্যকর করতে হবে। সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে সেবাদাতার প্রত্যক্ষ যোগাযোগ হ্রাসে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। জনগণের সেবা সম্পর্কিত তথ্যে অভিগম্যতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সেবাখাতগুলোকে অনলাইনে স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশের উদ্যোগ বাড়াতে হবে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘কোনও কোনও খাতের দুর্নীতির সূচক হ্রাস পেলেও দেশের ৬৬.৫ শতাংশ মানুষ দুর্নীতির শিকার। যা খুবই উদ্বেগজনক।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্থাগুলো দুর্নীতির শীর্ষে থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যাদের কাছে মানুষ সার্বক্ষণিক সেবা আশা করেন, জনগণ যাদের কাছে যান তারাই দুর্নীতিগ্রস্ত। তারা দুর্নীতির শীর্ষ খাত হিসেবে জরিপে উঠে এসেছে। যেসব সেবা মানুষের খুবই প্রয়োজন সেইসব সেবা খাতও দুর্নীতির শীর্ষে। স্বাস্থ্য, ভূমি সেবা, বিচারিক সেবা, শিক্ষা খাত সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত। মানুষ ঘুষ দিতে বাধ্য হচ্ছে। কিছু সেবাখাতে দুর্নীতি কমলেও তা দৃশ্যমান নয়।’

সংবাদ সম্মেলনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা বাড়ানোর ফলে দুর্নীতি কমছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘কিছু কিছু সেবাখাতে দুর্নীতি কমেছে, তবে সেটা বেতনভাতা বাড়ানোর ফলে কিনা, তা আমরা নিশ্চিত নই। কিছু মানুষ অভ্যাসগতভাবেই দুর্নীতি করে যাচ্ছে। তাদের বেতন যতই বৃদ্ধি পাক না কেন, তারা দুর্নীতি করবেই, ঘুষ নেবেই।’

তবে তরুণ সমাজ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে উল্লেখ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘তরুণরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। তারা ঘুষ না দিতে অন্যদের উৎসাহিত করছেন।’

টিআইবির চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল বলেন, ‘ঘুষ অনিয়ম দুর্নীতির সংস্কৃতির সঙ্গে আমাদের বসবাসের নিয়ম হয়ে গেছে। এটা অমর্যাদাকর। এরকম চলতে পারে না। দুর্নীতি আমাদের মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য করছে। সেবাগ্রহীতা যখন সেবা নিতে সরকারি কোনও প্রতিষ্ঠানে যায়, তখন তার কাছে বাড়তি টাকা চাওয়া হয়। নাগরিক ঘুষের বিনিময়ে সেবা পায়। কিন্তু রাষ্ট্র তা প্রতিবাদ করে না।’

এসময় তিনি দেশের বিচার বিভাগেরও সমালোচনা করেন। এই খাত থেকে মানুষকে সেবা নিতে হলেও ঘুষ দিতে হয় বলে মন্তব্য করেন সুলতানা কামাল ।

/এআরআর/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
ন্যাশনাল ব্যাংকে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন, নিয়োগ পেলেন ১০ জন 
ন্যাশনাল ব্যাংকে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন, নিয়োগ পেলেন ১০ জন 
স্বস্তির জয়ে শিরোপার লড়াইয়ে ফিরলো লিভারপুল
স্বস্তির জয়ে শিরোপার লড়াইয়ে ফিরলো লিভারপুল
ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধে দায়ীদের জবাবদিহি চায় ঢাকা
ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধে দায়ীদের জবাবদিহি চায় ঢাকা
সর্বাধিক পঠিত
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
সব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি হারুনসব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী