নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ফের গাড়ির কাগজপত্র চেক করতে শুরু করেছেন। বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানীর শাহবাগে গাড়ির কাগজ চেক করার সময় দুই বিচারপতির গাড়ি আটকে দেন তারা। এসময় চালকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কথা কাটাকাটি হয়। এসময় মোটরসাইকেল, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, পুলিশের গাড়ি ও মিনিবাস দাঁড় করিয়ে লাইসেন্স ও কাগজপত্র চেক করতে দেখা গেছে তাদের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাহসান বলেন, ‘আমরা গাড়ির চালকের লাইসেন্স ও ফিটনেসের কাগজ চেক করছি। যাদের গাড়ির কাগজপত্র সব সঠিক রয়েছে তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।’
শাহবাগে বেলা দেড়টার দিকে দু’জন বিচারপতির গাড়ির আটকে দেন শিক্ষার্থীরা। এসময় এক বিচারপতি গাড়ি থেকে নেমে শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। তবে শিক্ষার্থীরা চালকের কাগজ ছাড়া গাড়িটি ছাড়তে চাননি। পরে গাড়ির চালক তার লাইসেন্স দেখালে গাড়িটি ছেড়ে দেন শিক্ষার্থীরা। তবে গাড়িটির সামনে শিক্ষার্থীরা ভুয়া লিখে দেন। এরকম মোটরসাইকেল, অটোরিকশা চেক করেও ওকে লিখে দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
মোটরসাইকেল চালক ইয়েমন নামে এক ব্যক্তি গাড়ির কাগজপত্র শিক্ষার্থীদের দেখানোর পর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা কাগজপত্র বুঝে না। তারপরও তারা দেখতে চায়। তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া উচিত।’
বিইউপি শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী (২৪) ১৯ মার্চ প্রগতি সরণিতে বাসচাপায় নিহত হওয়ার পর দ্বিতীয় দিনের মতো নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর শুক্রাবাদ, ধানমণ্ডি, ফার্মগেট, শাহবাগ, নর্দ্দা এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন তারা। এসময় দোষী চালকদের ফাঁসি দাবি জানান তারা।
গতবছর দুই শিক্ষার্থী বাসচাপায় নিহত হওয়ার পর সারাদেশে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করে। সে সময়ও তাদের গাড়ির কাগজ তল্লাশি করতে দেখা গেছে।