শ্রীলঙ্কায় বোমা বিস্ফোরণে নিহত শিশু জায়ান চৌধুরীর মরদেহ তার নানা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের বনানীর বাড়িতে আনা হয়েছে। হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে তার মরদেহ শেখ সেলিমের বাসায় আনা হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ এবং ক্ষমতাসীন দলের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। পরে দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে সেখানে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে বেলা ১২টা ৪২ মিনিটের দিকে শ্রীলঙ্কা থেকে তার মরদেহ বহনকারী উড়োজাহাজ হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
জায়ানের মরদেহ বাসায় আনার পর সেখানে মন্ত্রী, এমপি, রাজনীতিক এবং আত্মীয়-স্বজনরা ভিড় করেন। এ সময় সেখানে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
জায়ানের মরদেহ দেখে আবেগ সামলাতে পারেননি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি খুবই মর্মাহত। এই দুঃসহ কষ্ট সইবার নয়। একটা নিষ্পাপ শিশুর নিষ্প্রাণ দেহ দেখে আমার অন্তর কেঁদে উঠেছে। আমি নিজেকে সামলাতে পারছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই শিশুটি ছোটবেলাতেই সুরা ইয়াসিন, সুরা রহমান, আয়াতুল কুরসিসহ ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয় শিখেছে। শিশুটির পরিবার অত্যন্ত সাদামাটা জীবন যাপন করে। জায়ানকে হারিয়ে পরিবারটি শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছে। তার মৃতদেহ বাসায় আনার পর সেখানে হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।’ এ সময় তোফায়েল আহমেদ জায়ানের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
এরপর শেখ সেলিমের বাসায় আসেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজ্জামেল হক, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।
গত রবিবার (২১ এপ্রিল) শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে সেখানে সপরিবারে বেড়াতে যাওয়া শেখ সেলিমের মেয়ে জামাই মশিউল আলম চৌধুরী প্রিন্স গুরুতর আহত এবং তার নাতি জায়ান চৌধুরী নিহত হয়। আট বছর বয়সী জায়ান রাজধানীর সানবিম স্কুলের ছাত্র ছিল।
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ সিরিজ বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) লঙ্কান পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকারা নিহতের এ সংখ্যা জানিয়েছেন।
ছবি: নাসিরুল ইসলাম