X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

ডেঙ্গু মোকাবিলায় ঢাকা-কলকাতার গল্প

শাহেদ শফিক
০৭ আগস্ট ২০১৯, ২৩:১৭আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০১৯, ০৮:৩২

ডেঙ্গু মোকাবিলায় ঢাকা-কলকাতার গল্প ৭০৯ জন কর্মী দিয়েই ২৭০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি ও ডিএনসিসি) মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সংস্থা দু’টির ১২৯টি ওয়ার্ড নিয়ন্ত্রণে এসব কর্মী হিমশিম খাচ্ছে। ফলে কোনও ওয়ার্ডে সপ্তাহে একবারও ওষুধ ছিটানো সম্ভব হয় না। আবার ৩৬টি ওয়ার্ডে মশক নিধন কাজের জন্য কোনও বরাদ্দই নেই। দুই সিটির এই জনবল ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সফল পাশবর্তী শহর কলকাতা পৌর সংস্থার তুলনায় ১২ ভাগ কম। আর এ কারণেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলে স্বীকার করেছে নগরীর মশা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা দুই সিটি করপোরেশন।

ঢাকার দুই সিটি

চলতি বছরের জুন থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশ জুড়ে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলছে। দিনদিন আক্রান্তের পাশাপাশি বাড়ছে নিহতের সংখ্যাও। কোনোভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। মশা নিধনের দায়িত্বে থাকা দুই সিটি করপোরেশন বলছে জনবল সংকটের কারণে সংস্থা দুটি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। অভিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের পুরনো অর্গানোগ্রামেই চলছে সংস্থা দু’টি। এছাড়া দুই সংস্থার আয়তন  দ্বিগুণ হলেও জনবল নেমেছে অর্ধেকে। বারবার তাগাদা দিয়েও জনবল কাঠামো অনুমোদন পাওয়া যাচ্ছে না।

সংস্থাটি বলছে, পশবর্তী দেশ ভারতের কলকাতা শহরে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ১১ বছর সময় লেগেছে। ঢাকার এক শহরের তুলনায় তাদের ১২গুণ কর্মী বেশি। তাদের প্রতিটি ওয়ার্ডে ২০-২৫ জন করে কর্মী রয়েছে। কিন্তু ঢাকায় রয়েছে মাত্র ৪-৫ জন। এ অবস্থায় সরকারের অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সামাজিক সংগঠনের ওপর নির্ভর হওয়ার পাশাপাশি দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে শ্রমিক নিয়োগ করে চালানো হচ্ছে। সিটি করপোরেশন বলছে অপ্রতুল এই জনবল দিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণসহ স্বাভাবিক কাজ সম্পাদন কঠিন হয়ে পড়ছে।

সিটি করপোরেশনের নিয়মিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে ৭৫জন কর্মকর্তাকে ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধ সেল’ এর কাযক্রম সমন্বয়ের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গত সোমবার (৫ আগস্ট) ডিএসসিসিতে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এ কাজে সমস্যাগুলোর মধ্যে প্রধান সমস্যা হিসেবে জনবলের ঘটতিকেই দায়ী করা হয়েছে। কিন্তু এর পরেও এখনও দুই সিটির জনবল কাঠানো অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না।

কলকাতা পৌর সংস্থা

বাংলা ট্রিবিউনের অনুসন্ধানে জানা গেছে, মশা নিধন কাজে কলকাতা পৌর সংস্থায় একজন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা; ৬ জন উপপ্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা; একজন প্রধান কীট নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা; ১৬ জন আঞ্চলিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা; ১জন সমন্বয়কারী (স্বাস্থ্য); এক জন মিউনিসিপ্যাল সার্ভিলেন্স অফিসার; ২৬৪জন ওয়ার্ড মেডিক্যাল অফিসার; ৩জন কীটতত্ত্ব পরিদর্শক; ১৯ জন স্বাস্থ্য পরিদর্শক রয়েছে। এছাড়া তদারককারী জন্য ২৬২ জন; মহুমূখী স্বাস্থ্য সহকারী ৯০জন; ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান ১৮৬ জন; ঊর্ধ্বতন স্বাস্থ্যকর্মী ৪৫জন; অবৈতনিক স্বাস্থ্যকর্মী ২৮০জন; মাঠকর্মী এক হাজার ৬৯৮জন এবং তথ্য; শিক্ষা ও যোগাযোগ কর্মকাণ্ডের জন্য স্বাস্থ্যকর্মী এক হাজার ৪৪০ জন (১০০ দিন কর্মসূচির জন্য) রয়েছে। সব মিলিয়ে সংস্থাটিতে চার হাজার ৩১৩জন জনবল রয়েছে।

জানা গেছে, একটা সময় ছিল যখন বর্ষা শুরু হলে কলকাতা করপোরেশন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে নামতো। কিন্তু ততদিনে জীবাণু ছড়িয়ে পড়তো শহরের নানা অঞ্চলে। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে কলকাতা করপোরেশন সারাবছর ধরেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে। শহরের প্রতিটি হাসপাতাল, নার্সিং হোম বা পরীক্ষাগারে রোগীদের কী কী রক্ত পরীক্ষা হচ্ছে, কী ভাইরাস পাওয়া যাচ্ছে, সেসবের প্রতিদিনের হিসাব রাখা হয়। যেন ডেঙ্গু রোগীর খোঁজ পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

সংস্থাটি কয়েক স্তরে সারাবছরেই ডেঙ্গুর বিষয়ে নজরদারি চালায়। প্রথমত, কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের প্রতিটাতেই তাদের ২০ থেকে ২৫ জন করে কর্মী আছে। যাদের মধ্যে একটি গ্রুপ প্রচারের কাজ চালিয়ে থাকে, আর অন্য গ্রুপ কোথাও পানি জমছে কিনা, সেটার ওপরে নজর রাখে। এর পাশাপাশি ১৬টি অঞ্চলের প্রত্যেকটির জন্য একটি করে র‍্যাপিড অ্যাকশন টিম রয়েছে। তাতে সব ধরনের সরঞ্জাম নিয়ে ৮ থেকে ১০ জন লোক থাকে। গাড়িও থাকে তাদের কাছে। কোনও জায়গায় ডেঙ্গুর খবর পাওয়া গেলে দ্রুত তারা সেখানে পৌঁছান এবং এডিস মশার লার্ভা নিধন করেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)

এই কাজের জন্য সংস্থাটি একজন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রয়েছে। উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও প্রধান কীট নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা নেই। আঞ্চলিক বা সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রয়েছে ৪ জন। সমন্বয়কারী (স্বাস্থ্য), মিউনিসিপ্যাল সার্ভিলেন্স অফিসার, ওয়ার্ড মেডিক্যাল অফিসার ও কীটতত্ত্ব পরিদর্শক নেই। স্বাস্থ্য পরিদর্শক রয়েছে ৫ জন। তদারককারী, বহুমুখী স্বাস্থ্য সহকারী, ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান, ঊর্ধ্বতন স্বাস্থ্যকর্মী ও অবৈতনিক স্বাস্থ্যকর্মী নেই। মাঠকর্মী রয়েছেন ৪২৯ জন। তথ্য, শিক্ষা ও যোগাযোগ কর্মকাণ্ডের জন্য স্বাস্থ্যকর্মী নেই। সব মিলিয়ে সংস্থাটিতে জনবল রয়েছে মাত্র ৪৩৯জন জনবল।

এর মধ্যে ৫৮ জন মশক নিধনকর্মীকে নতুন যুক্ত হওয়া ৫টি অঞ্চলে নিযুক্ত করে রাখা হয়েছে। অথচ, তাদের মশা মারার কোনও যন্ত্র দেওয়া হয়নি। এসব অঞ্চলে এখনও মশানিধন কার্যক্রম শুরু করেনি সংস্থাটি। অঞ্চলগুলো হলো ৬, ৭, ৮, ৯ ও ১০।

সংস্থাটির এই পরিমাণ কর্মীর জন্য ৯৪০টি মেশিন রয়েছে। এরমধ্যে ৪৪২টি হস্তচালিত, ৪৪৭টি ফগার ও ৫১টি হুইল ব্যারো মেশিন। হস্তচালিত মেশিনগুলোর মধ্যে ২০৮টি ও ফগারের ১৮৬টি পুরোপুরি অচল এবং ১৬টি অংশিক অচল। হুইল ব্যারোর মেশিনের ১৮টি অচল। সব মিলিয়ে ৩ ধরনের ৯৪০টি মেশিনের মধ্যে বর্তমানে ৫১২টি মেশিন সচল রয়েছে। এই মেশিনগুলোর পাশাপাশি নতুন করে আরও ২৫০টি মেশিন কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মেয়রের বক্তব্য

ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের যে জনবল রয়েছে, তা প্রয়োজনের তুলনা অবশ্যই অপ্রতুল। এখন সিটি করপোরেশনের আয়তন বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু জনবল বাড়েনি, বরং  কমছে। মাত্র ৪৮ শতাংশ জনবল নিয়ে এখন দ্বিগুণ ঢাকায় সেবা দিয়ে যাচ্ছি। জনবল কাঠামোর প্রস্তাবনা দীর্ঘ ৮-৯ বছর ধরে মন্ত্রণালয়ে পড়ে আছে। আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ফোরামে বলেছি। মন্ত্রীও চেষ্টা করছেন। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা রয়েছে। জনবলের ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি মোকাবিলার জন্য বিভিন্ন সংগঠন, স্কাউট, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিডেন্সের সদস্যদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তবে ডেঙ্গু মোকাবিলায় এখন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে জনবল নিযুক্ত করা হয়েছে।’

ডেঙ্গু মোকাবিলায় ঢাকা-কলকাতার গল্প

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে একজন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রয়েছে। উপপ্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও প্রধান কীট নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা নেই। ৪ জন আঞ্চলিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও একজন সমন্বয়কারী (স্বাস্থ্য) রয়েছ। মিউনিসিপ্যাল সার্ভিলেন্স অফিসার, ওয়ার্ড মেডিক্যাল অফিসার ও কীটতত্ত্ব পরিদর্শক নেই। স্বাস্থ্য পরিদর্শক রয়েছে ৯ জন। তদারককারী, বহুমুখী স্বাস্থ্য সহকারী, ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান, ঊর্ধ্বতন স্বাস্থ্যকর্মী ও অবৈতনিক স্বাস্থ্যকর্মী নেই। মাঠকর্মী রয়েছে ২৮০জন। তথ্য, শিক্ষা ও যোগাযোগ কর্মকাণ্ডের জন্য স্বাস্থ্যকর্মী নেই। সব মিলিয়ে সংস্থাটিতে জনবল রয়েছে মাত্র ২৯৫ জন।

এ হিসেবে প্রতিটি ওয়ার্ডে ৪-৫ জন করে কর্মী নিয়োজিত রয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংস্থাটির চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে এক মাসের জন্য মাস্টার রোল ৩০ জন করে এক হাজার ৬২০জন শ্রমিক নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তবে, শুধু এক মাসের জন্য এই কার্যক্রম চালালে কোনোভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, বছরের প্রতিটি দিনই মশকনিধন কার্যক্রম তদারকি করতে হবে।এজন্য পর্যাপ্ত জনবল থাকা আবশ্যক।এই মশক নিধনকর্মীদের জন্য ডিএনসিসিতে ৬০৯টি হ্যান্ডস্প্রে মেশিন, ৩২২টি ফগার মেশিন ও ১০ টি হুইলব্যারো মেশিন মেশিন রয়েছে। নতুন করে আরও ২৫৮ টি ফগার মেশিন আমদানি করা হচ্ছে।

মেয়রের বক্তব্য

সংস্থাটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এক কোটি ১০ লাখ নাগরিকের শহর কলকাতায় মশানিধন কাজে ৪ হাজার ৩১৯জন কর্মী রয়েছে। কিন্তু আমাদের (ডিএনসিসি) দেড় কোটির জন্য রয়েছে মাত্র ২৯৩জন। এটা কোনোভাবেই কম্য নয়। জনবল কাঠামো আরও বাড়াতে হবে। দ্রুত অনুমোদন দিতে হবে। আমরা সরকারের কাছে আবেদন করেছি। যেন তারা দ্রুত আমাদের জনবল কাঠামোর অনুমোদন দেয়।’  

দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য

জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা দুই সিটি করপোরেশন থেকে অরগানোগ্রামের বিষয়ে যে প্রস্তাবনা পেয়েছি, সেটি চূড়ান্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। কিন্তু তারা এখনও অনুমোদন দেয়নি।’ সরকারি কাজগুলোতে তো একটু ‘ডিলেমি’ হয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

/এমএনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আঙুরের গোড়া কালো হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন টিপস
আঙুরের গোড়া কালো হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন টিপস
টেকনাফে ১০ জন কৃষক অপহরণের ঘটনায় ২ জন আটক
টেকনাফে ১০ জন কৃষক অপহরণের ঘটনায় ২ জন আটক
এরদোয়ানের যুক্তরাষ্ট্র সফর, যা জানা গেলো
এরদোয়ানের যুক্তরাষ্ট্র সফর, যা জানা গেলো
যুক্তরাষ্ট্রের টি-টোয়েন্টি দলে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার
যুক্তরাষ্ট্রের টি-টোয়েন্টি দলে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
শাকিব খান: নির্মাতা-প্রযোজকদের ফাঁকা বুলি, ভক্তরাই রাখলো মান!
শাকিব খান: নির্মাতা-প্রযোজকদের ফাঁকা বুলি, ভক্তরাই রাখলো মান!