X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘মধ্যস্বত্বভোগীদের জবাবদিহিতায় আনতে রিক্রুটিং এজেন্টদের সহায়তা প্রয়োজন’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:৪২আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:৪৩

‘মধ্যস্বত্বভোগীদের জবাবদিহিতায় আনতে রিক্রুটিং এজেন্টদের সহায়তা প্রয়োজন’ মধ্যস্বত্বভোগীদের জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়ে আসা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব না বলে উল্লেখ করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। তিনি বলেন, ‘দালালদের জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়ে আসতে রিক্রুটিং এজেন্টদের সহায়তার প্রয়োজন সরকারের।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম এবং ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম বাংলাদেশ (আইবিএফবি) আয়োজিত এক কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।
মুনিরুছ সালেহীন বলেন, ‘আমাদের একটি পরিষ্কার আইনি কাঠামো আছে। এর পাশাপাশি আমরা আরও কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি যাতে অভিবাসন খাতে নৈতিকতা বজায় থাকে। অভিবাসন ব্যবস্থায় আপনারা সবাই জানেন যে, মধ্যস্বত্বভোগীদের একটি দৌরাত্ম আছে। যাদেরকে আমরা দালাল বলি। বেশিরভাগ অনৈতিকতার সঙ্গে এই দালালরাই জড়িত। কারণ আমাদের অভিবাসন ব্যবস্থায় দালালরা অদৃশ্য থাকে। অভিবাসন ব্যবস্থার প্রতিটি ধাপে দালালরা সক্রিয় থাকলেও আইনি কাঠামোতে তারা অদৃশ্য।’
মুনিরুছ সালেহীন আরও বলেন, ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসন আইন-২০১৩ তে মধ্যস্বত্বভোগীদের বিষয়ে কিছু বলা নেই। যার কারণে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিবাসন খাতে দালালদের আইনি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন। দালাদের জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়ে আসতে বলেছেন তিনি।’
শ্রম অভিবাসনে নৈতিকতার চর্চা একটি বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের যে পরিমাণ শ্রমিক কাজ করে আর তার ফলশ্রুতিতে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স আসে, তাতে শ্রম অভিবাসনে বাংলাদেশ একটি ব্র্যান্ড। শ্রম অভিবাসনের দিক দিয়ে বাংলাদেশের যথেষ্ট সুনাম আছে। আমাদের এখানে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। যখন আমাদের অর্জনের খবর শুনতে পাই, ঠিক তখনই আবার অনৈতিক কাজের সন্ধান পাই, যা দুর্ভাগ্যজনক। আমি মনে করি, এটি আমাদের জন্য অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ।’

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম ঢেলে সাজানো হচ্ছে এমনটি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অভিবাসন খাতে আরেকটি বড় সমস্যা হলো অভিবাসন খরচ। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের অভিবাসন খরচ বেশি, এর কারণ হলো আমাদের কর্মীরা যথাযথ তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয় না। তাদের কাছে যে তথ্য যায় সেটা বাস্তবতার বাইরে। এতে করে কিছু কিছু রিক্রুটাররা সুযোগ পায় অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের। তাই কর্মীদের সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সরকার প্রচারণা চালাচ্ছে। এই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রচারণা ব্যবস্থা পুনরায় ঢেলে সাজাতে বলেছেন এবং আমরা তা করছি। ’
এর আগে কর্মশালার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইওএম'র মানব উন্নয়ন বিভাগের প্রধান মেরিনা ম্যাংকে, আইবিএফবি'র সভাপতি হুমায়ূন রশিদ। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের শ্রম উইংয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ রেজাউল হক। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইওএম'র সিনিয়র শ্রম অভিবাসন বিশেষজ্ঞ লারা হোয়াইট।

/এসও/এআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
২৫ দিনেও গ্রেফতার হয়নি কেউ, পুলিশ বলছে সিসিটিভির ফুটেজ পায়নি
কুমিল্লা শিক্ষা প্রকৌশল কার্যালয়ে ঠিকাদারকে মারধর২৫ দিনেও গ্রেফতার হয়নি কেউ, পুলিশ বলছে সিসিটিভির ফুটেজ পায়নি
উপজেলা নির্বাচন: অংশ নিতে পারবেন না পৌর এলাকার ভোটার এবং প্রার্থীরা
উপজেলা নির্বাচন: অংশ নিতে পারবেন না পৌর এলাকার ভোটার এবং প্রার্থীরা
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট শুরু
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট শুরু
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ