X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা লিট ফেস্ট-২০১৬

পুতিনের চোখে পৃথিবী

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৯ নভেম্বর ২০১৬, ১৭:১৫আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০১৬, ১৭:১৯
image

 

স্নায়ুযুদ্ধের পর আমেরিকার একচ্ছত্র আধিপত্যের যুগ শেষ হচ্ছে। আবারও পুরনো শক্তিমত্তার জায়গায় ফিরছে রাশিয়া। নব্য রুশ পরাক্রমের প্রাসঙ্গিকতা মাথায় রেখেই শনিবার ঢাকা লিট ফেস্টের শেষ দিন পুতিনের রাজনৈতিক ভাবনা নিয়ে আলোচনায় বসেন ব্রিটিশ লেখক বেন জুদাহ এবং ব্রিটিশ দৈনিক লন্ডন ইভনিং টাইমসের লিড কলামিস্ট রোসামুন্ড আরউইন। ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অ্যাকরডিং টু পুতিন’ শীর্ষক এই আলোচনায় উঠে এসেছে কেজিবির একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা থেকে রাশিয়ার ক্ষমতার শীর্ষে পুতিনের উঠে আসার গল্প।

‘দ্য ওয়ার্ল্ড অ্যাকরডিং টু পুতিন’ শীর্ষক সেশন

প্রথমেই আমেরিকায় সাম্প্রতিক নির্বাচনের প্রেক্ষিতে ট্রাম্প-পুতিন রসায়ন কেমন হতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আরউইন। বেনের মতে, ইউরোপের রুশবিরোধী শক্তি ন্যাটোর প্রতি পুতিন বিরূপ সেটা অজানা নয়। আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প্ও ন্যাটোর সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টির ওপর জোর দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে পুতিন গত বছর জাতিসংঘে ইউরোপে নতুন নিরাপত্তা জোট গড়ার যে আকাঙ্খার কথা জানিয়েছিলেন, ন্যাটোর বিপরীতে তেমন জোট গড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারেরর বিপরীতে রুশ এবং পশ্চিমা শক্তি জোট গঠন করেছিল, আইএস সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঠিক তেমনি একটি জোট চাচ্ছেন পুতিন। অবশ্য, ট্রাম্প এতে যদি সমর্থন দিয়েও থাকেন, আমেরিকার রাষ্ট্রযন্ত্রের গভীর অংশগুলো যেমন সিআইএ এনএসএ কতখানি তাতে সহযোগিতা করবে, তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্কের অবকাশ আছে।

বেন আরও জানান, স্নায়ুযুদ্ধের সময়ের মতো ক্রেমলিন অনেক দিন ধরেই দেশে দেশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন শক্তিবিরোধী ও প্রতিষ্ঠানবিরোধী পক্ষগুলোকে সমর্থন ও সহায়তা দিয়ে আসছেন। এছাড়া ২০১২ ‍সালে পার্লামেন্ট নির্বাচনে কারচুপিকে কেন্দ্র করে যে আন্দোলন হয়, তারপরে ইন্টারনেটে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় মনোযোগ ও নজরদারি বাড়ায় রাশিয়ার ক্ষমতাচক্র। এছাড়া ক্ষমতা নিয়েই পুতিন বুঝতে পেরেছিলেন, টিভি যারা নিয়ন্ত্রণ করে, তারাই নিয়ন্ত্রণ করবে রাশিয়াকে। খুব সচেনভাবে নিজেকে একজন পরিত্রাতা পুরুষ (আলফা মেল) হিসেবে রুশ জনগণের কাছে দাঁড় করিয়েছেন পুতিন।

 

/এনএ/

সম্পর্কিত
পাঠকপ্রিয়তার শীর্ষে যেসব লেখক
মেলার বাইরে বই কেনেন না অর্ধেকের বেশি পাঠক
বব ডিলানের নোবেল প্রাপ্তির পক্ষে সমর্থক বেশি
সর্বশেষ খবর
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
‘স্বাভাবিক পরিবেশে বাঁচতে প্রত্যেককে গাছ রোপণ করতে হবে’
‘স্বাভাবিক পরিবেশে বাঁচতে প্রত্যেককে গাছ রোপণ করতে হবে’
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হামাস, অগ্রহণযোগ্য বলছে ইসরায়েল
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হামাস, অগ্রহণযোগ্য বলছে ইসরায়েল
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস