X
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

নিজাম হাজারীর এমপি পদ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত রায়

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৫:০৪আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৫:৪৪


হাইকোর্টে নিজাম হাজারী বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত রায়
ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদে থাকা নিয়ে একমত হতে পারেননি বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। জ্যেষ্ঠ বিচারপতি নিজাম হাজারীর সদস্যপদ অবৈধ ঘোষণার রায় দিলেও দ্বিমত পোষণ করে রায় দেন বেঞ্চের জুনিয়র বিচারপতি। ফলে মামলাটি আবারও ঝুলে গেল। এর ফলে প্রধান বিচারপতি এ মামলাটি এখন ভিন্ন কোনও বেঞ্চে পাঠাবেন।

মঙ্গলবার নিজাম হাজারীর পদে থাকার বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের রায় ঘোষণার শুরুতে তার সদস্য পদ অবৈধ ঘোষণা হলেও এরপর রায় দেওয়া ‍শুরু করেন কনিষ্ঠ বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান।
‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ’ শিরোনামে ২০১৪ সালের ১০ মে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০০০ সালের ১৬ আগস্ট অস্ত্র আইনের এক মামলায় নিজাম হাজারীর ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। কিন্তু দুই বছর ১০ মাস কম সাজা খেটে কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি’।
এই প্রতিবেদনটি যুক্ত করে নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন ফেনী জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া। রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ৮ জুন রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
গত ৩ আগস্ট এ রুলের শুনানি শেষে ১৭ আগস্ট সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদ থাকবে কি-না সে বিষয়ে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করলেও বিচারিক আদালতের একটি নথি না আসায় রায়ের দিন পিছিয়ে ২৩ আগস্ট ধার্য করা হয়। পরবর্তীতে ২৩ আগস্ট ওই নথিটি দাখিলের পর সেটি নিয়ে শুনানি শেষে ৩০ আগস্ট রায়ের দিন পুনর্নিধারণ করেন হাইকোর্ট। সেইদিন রায় দিতে শুরু করলেও কারাগারে রক্তদান করে হাজারী কতোদিন সাজা রেয়াত পেয়েছিলেন সে প্রশ্ন উঠলে রায় স্থগিত করে আবারও এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

এরপর গত ২২ নভেম্বর পঞ্চমবারের মতো রায়ের দিন পিছিয়ে ২৮ নভেম্বর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। ২৮ নভেম্বরও রায় না দিয়ে নিজাম হাজারীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় ১৯৯১ সালের ২৪ জানুয়ারি দায়ের করা মামলার সর্বশেষ তথ্য জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী ও সত্যরঞ্জন দত্ত। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুর রহমান চৌধুরী। শুনানি শেষে ৬ ডিসেম্বর রায়ের দিন ধার্য করা হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬(২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে, কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং সংসদ সদস্য থাকার যোগ্যহবেন না, যদি তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভেরপর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে। সে হিসেবে নিজাম হাজারী ২০১৫ সালের আগে সংসদ সদস্য হতে পারেন না।

/ইউআই/টিএন/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শহর থেকে গ্রামে ফেরা মানুষের সংখ্যা দুই বছরে দ্বিগুণ
শহর থেকে গ্রামে ফেরা মানুষের সংখ্যা দুই বছরে দ্বিগুণ
টানা দ্বিতীয় জয়ের খোঁজে সন্ধ্যায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ
টানা দ্বিতীয় জয়ের খোঁজে সন্ধ্যায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ
রুশ বোমারু বিমান ভূপাতিতের দাবি ইউক্রেনের
রুশ বোমারু বিমান ভূপাতিতের দাবি ইউক্রেনের
মেলায় এসেছেন চিত্রনায়িকা, দেখতে যাওয়ার পথে ব্যবসায়ী নিহত
মেলায় এসেছেন চিত্রনায়িকা, দেখতে যাওয়ার পথে ব্যবসায়ী নিহত
সর্বাধিক পঠিত
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ!
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ!
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি