ফেনীর ফুলগাজীর উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও মামলার নথিপত্র হাইকোর্টে এসে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. সাইফুর রহমান ডেথ রেফারেন্স আসার বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেন।
নিয়ম অনুসারে বিচারিক আদালতে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হলে তাদের ডেথ রেফারেন্স অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে শুনানি হয়। একারণেই একরাম হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও মামলা নথি হাইকোর্টে এসেছে।
এর আগে গত ১৩ মার্চ ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম হত্যা মামলার রায়ে ৩৯ জনকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। ফেনীর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আমিনুল হক এই রায় দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে আছেন— আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আদেল, ফুলগাজী উপজেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদ চৌধুরী। এই মামলার এক নম্বর আসামি জেলা তাঁতী দলের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী মিনারসহ ১৬ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
খালাসপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন— জেলা যুবলীগের নেতা জিয়াউল আলম মিস্টার, কাজীরবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান রউফ, আনন্দপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের হাজী বেলায়েত হোসেন পাটোয়ারী (টুপি বেলাল), ছাত্রলীগ যুবলীগ নেতা ও কমী পবন, রিপন, ইকবাল হোসেন, শরিফুল জামিল পলাশ (পলাতক), কালামিয়া, ইউনুছ ভূঁঞা শামীম (পলাতক), আলমগীর, কাদের, ফারুক, জাহিদ হোসেন ভূঁঞা, মো. মাসুদ ও শাখাওয়াত হোসেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী শহরের একাডেমি এলাকায় প্রকাশ্যে ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হককে কুপিয়ে, গুলি চালিয়ে গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করে আসামিরা।
এ ঘটনায় একরামুল হকের ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিনারসহ অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে ফেনী সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট ৫৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। হত্যার প্রায় দুই বছর পর ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করেন আদালত।
গত ২৮ জানুয়ারি এই মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হয়। ৫৯ জন সাক্ষীর মধ্যে বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ এপর্যন্ত ৫০ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।