X
বুধবার, ০১ মে ২০২৪
১৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘এভিয়েশন খাতের নিরাপত্তায় সরকারের জোরালো পদক্ষেপ দরকার’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২২ মার্চ ২০১৮, ২২:২০আপডেট : ২২ মার্চ ২০১৮, ২২:২২

‘দুর্ঘটনা সড়কপথে ঘটে, নৌপথেও ঘটে। অথচ বিমান দুর্ঘটনার খবর ফলাও করে প্রচার হয়। সরকারের উচিত যাত্রীদের নিরাপত্তা ও এভিয়েশনের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে এ খাতের দিকে নজর দেওয়া। এভিয়েশন খাতের নিরাপত্তায় সরকারের জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।’ দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের আয়োজনে ‘আকাশপথে নিরাপত্তা’ শীর্ষক বৈঠকিতে অংশ নিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বাংলা ট্রিবিউন বৈঠকি বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) বিকালে মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় এতে অংশ নেন বিমান বাংলাদেশের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মোমেন, বিমান বাংলাদেশের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ, বাংলাদেশ এয়ার এশিয়ার জিএসএ (জেনারেল সেলস এজেন্ট) টোটাল এয়ার সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদি আব্দুল্লাহ, ইউএস বাংলার মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম, বাংলা ট্রিবিউনের চিফ রিপোর্টার উদিসা ইসলাম ও বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিক চৌধুরী আকবর হোসেন।

বিমান বাংলাদেশের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ বিমানের একটি সুবিধা হলো তার পেছনে সরকার আছে। কিন্তু প্রাইভেট বিমান কোম্পানির পেছনে তো সরকার নেই। তারপরও আমাদের এভিয়েশন সেক্টরের অনেক উন্নতি ঘটেছে এই বেসরকারি বিমানের কারণেই। গত ১২ মার্চ যে ঘটনাটি ঘটেছে এটাকে আমরা বিছিন্ন ঘটনা হিসেবেই দেখতে পারি। কারণ এমনটি ঘন ঘন ঘটে না। এটা আজ ইউএস বাংলায় ঘটেছে, এটা হয়তো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্ষেত্রেও ঘটতে পারতো।’

বিমান বাংলাদেশের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মোমেন দেশের এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিটা উন্নতি করুক উল্লেখ করে এম এ মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ বিমান ভালো করুক, ইউএস বাংলা ভালো করুক। নিশ্চিত করে বলতে পারি দেশের এভিয়েশন সেক্টরের বেশ খানিকটা উন্নতি ঘটেছে। আমাদের প্রাইভেট এয়ালাইন্সের শুরু ১৯৯৬ সালে। এর মধ্যে তাদের গ্রোথের দিকে যদি একটু তাকাই তাহলে দেখতে যা দেখতে পাই তা হলো, ২০১৪ সালে ইউএস বাংলা শুরু করে। এর মধ্যে ইউএস বাংলা ৩৬ হাজার ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে তাহলে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। এছাড়া বিমান যাত্রা সবসময়ই গ্ল্যামারাস। দুর্ঘটনা সড়কপথেও ঘটে, নৌপথেও ঘটে। অথচ বিমান দুর্ঘটনার খবরটি ফলাও করে প্রচার হয়।’

আরও পড়ুন: ‘আমাদের এভিয়েশন সেক্টরের উন্নতি ঘটেছে বেসরকারি বিমানের কারণেই’

তিনি আরও বলেন, ‘এভিয়েশন সেক্টর বাংলাদেশ খুব ভালো অবস্থানে আছে। কিন্তু যদি একটি বা দু’টি দুর্ঘটনা নিয়ে যদি পড়ে থাকি তাহলে আরও বড় ক্ষতির কারণ হবে। প্রাইভেট এয়ারলাইন্সগুলো ব্যবসা করবে আর সরকারের উচিত তাদের জন্য সেই ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টি করে দেওয়া।’

বিমান বাংলাদেশের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ বলেন, ‘যাত্রীরা যখন ট্রাভেল করেন তখন তাদের নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেই। পাশাপাশি সার্ভিসের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে থাকে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশ্বের সকল নিরাপদ বাহনের মতই অন্যতম পরিচয় বহন করে। গত ছয় মাসে শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের জন্য অনেক কিছু করা হয়েছে। আগে যেসব সমস্যায় পড়তে হতো যাত্রীদের এখন অনেকাংশে তা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। লাগেজ নেওয়ার জন্য এখন আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় না যাত্রীদের। তবে এটা ঠিক যে পরিমান জনবলের প্রয়োজন তা আসলেই কম রয়েছে। সে পরিমান সেবার পরিধি বেড়েছে সে পরিমান জনবল এখনও নেই। এটার দিকে নজর দেওয়ার সময় এসেছে।’

বিমান বাংলাদেশের মহা ব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ যাত্রীদের নিরাপত্তা দেওয়াই বিমান বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন গত মঙ্গলবার ঢাকা থেকে সৈয়দপুর যাওয়ার জন্য একটি বিমান টেকঅফ করার পর এতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। পরে বিমানটি ফিরিয়ে ঢাকায় আবার নামানো হয়। কিন্তু এই বিমানটি যে অবতরণ করলো, সেটা কখনোই জরুরি অবতরণ নয়। এটা নিয়ে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়। যদি বিশ্বের সব দুর্ঘটনার দিকে তাকাই তাহলে দেখা যাবে ১০ লাখে একটি থেকে দুটি দুর্ঘটনা ঘটে। আফ্রিকান দেশগুলোতে দুর্ঘটনা একটু বেশি হয়। তবে এটাও অস্বীকার করার কোনও সুযোগ নেই, বর্তমানে এয়ারলাইন্স টেকনিক্যালি অনেক উন্নত হয়েছে। তবে সে তুলনায় বিমান দুর্ঘটনার সংখ্যা এখন খুবই কম।’

আরও পড়ুন: ১০ লাখে একটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটে: শাকিল মেরাজ

ইউএস বাংলার মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি শুরুতেই ১২ মার্চের ঘটনায় নিহতদের স্মরণ করছি, যারা বেঁচে আছেন তাদের জন্য দোয়া করছি। আমি বলতে চাই, বর্তমানে প্রাইভেট এয়ারলাইন্স অনেক ভালো সার্ভিস দিচ্ছে, যাত্রীদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। একটি দুর্ঘটনা যেকোনও কারণে, যেকোনও অবস্থাতেই হতে পারে। তবে এই দুর্ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত আমরা সার্বক্ষণিক নিহত ও আহতদের পাশে আছি। সবসময় তাদের পরিবারের খোঁজ খবর রাখছি, লজেস্টিক সাপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা দায়িত্ব নিয়েই কাজ করছি।’

ইউএস বাংলার মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম তিনি আরও বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়ে শতভাগ সচেতন হওয়া উচিত। প্রাইভেট এয়ারলাইন্সে আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় গত ২০ বছরে প্রাইভেট এয়ারলাইন্সের এখন পর্যন্ত একটা হ্যাঙ্গার ফ্যাসিলিটিজ হয়নি। কেন হয়নি তা সরকার ও সিভিল এভিয়েশনই ভালো বলতে পারবেন। কারণ সেফটির জন্য হ্যাঙ্গার ফ্যাসিলিটিস সচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কিন্তু এটা সরকার এখনও নিশ্চিত করেনি। গত ১২ মার্চের আগে ইউএস বাংলা যাত্রা শুরুর পর থেকে ৩৬ হাজার ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্য থেকেই ফ্লাইটগুলো পরিচালিত হয়েছে। এতদিনে কোনও ধরনের সমস্যা হয়নি। ফলে আমি মনে করি, নেপালে এই দুর্ঘটনায় আমাদের কোনও ধরনের অবহেলা ছিল না।’

আরও পড়ুন: ‘১২ মার্চের বিমান দুর্ঘটনায় আমাদের কোনও অবহেলা ছিল না’

বাংলা ট্রিবিউনের চিফ রিপোর্টার উদিসা ইসলাম বলেন, ‘আকাশপথে বিমান দুর্ঘটনার কি কি কারণ তা আমি সাধারণ মানুষ হিসেবে আমি জানি না। ইউএস বাংলার পাইলটের সঙ্গে কাঠমান্ডুর কন্ট্রোল রুমের যে কথোপকথন, তার অডিওটি দুর্ঘটনার পরপরই কিভাবে বাইরে এলো এবং সেই কথোপকথনটি আদৌ শতভাগ সঠিক কি না তা জানার আগ্রহ আমাদের।’

বাংলা ট্রিবিউনের চিফ রিপোর্টার উদিসা ইসলাম তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমি ইন্টারন্যাশনাল বাদ দিয়ে ডমেস্টিক সার্ভিসের কথা বলি, আমরা আদৌ কি সেই অর্থে নিরাপত্তা অথবা সুযোগ-সুবিধা দিতে পারছি কিনা। একসময় বিমানে মানুষের যাতায়াত কম ছিল, আমাদের স্থলপথের অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে বেসরকারি বিমানে ভাড়া অনেক বেড়ে যাওয়ার পরও হয়ত আকাশপথ বেছে নিচ্ছি কিন্তু আদৌ কি সেই অর্থে সাধারণ যাত্রীদের মাঝে নিরাপত্তাবোধ তৈরি করা সম্ভব হয়েছে কিনা।’

আরও পড়ুন: এয়ার এশিয়া দেশের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে দিচ্ছে: সাদি আব্দুল্লাহ

বাংলাদেশ এয়ার এশিয়ার জিএসএ (জেনারেল সেলস এজেন্ট) টোটাল এয়ার সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদি আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এয়ার এশিয়া যখন ব্যবসা গুটিয়ে নেয় তখন মূলত ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ ছিল না। এয়ার এশিয়া কিন্তু ইচ্ছা করে চলে যায়নি, তাকে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। কারণ তখন এয়ার এশিয়ার জন্য ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ ছিল না। এয়ার এশিয়া যখন চলে যায় তখন কারও টাকা মেরে দিয়ে চলে যায়নি। যখন আবার ব্যবসা শুরু করেছে তখন সরকারকে সব ধরনের পাওনা মিটিয়ে দিয়েই আবার যাত্রা শুরু করেছে। এখন যখন এয়ার এশিয়া এলো এর পেছনের কারণ ওই একটিই ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ। এয়ার এশিয়ার বড় সাফল্য হলো, মধ্যবিত্ত ক্লাসকে ট্যুরিজমে সুযোগ করে দেওয়া। আর এর ফলে এয়ার এশিয়া দেশের ট্যুরিস্ট ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে দিচ্ছে। ফলে যত বেশি যাত্রীরা যাতায়াত করবে তত বেশি দেশের অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যায়।’

টোটাল এয়ার সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদি আব্দুল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিক চৌধুরী আকবর হোসেন বলেন, ‘সম্প্রতি অনেকগুলো খারাপ খবরের মধ্যে দিয়ে আমরা গিয়েছি তারপরও কিছু ভালো খবরও আমাদের জন্য রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ফেডারেশন এভিয়েশন আমাদের দেশে একটি অডিট করেছে যে অডিটে তারা সন্তুষ্টি অর্জন করেছে, আরও দু’দফা অডিট হলে এ বিষয়ে আমরা একটি পূণাঙ্গ রিপোর্ট পাবো। এছাড়াও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তিনজন পাইলট রয়েছেন যারা ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের এক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশনের অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। এছাড়া পাইলটদের যে গ্লোবালি যে অর্গানাইজেশন ইফাআলফার দক্ষিণ এশিয়ার এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট দেশেরই একজন পাইলট। তার মানে দেশের পাইলটরা তাদের দক্ষতা অর্জন করতে পেরেছেন বলেই সেখানে নিজের দেশকে রিপ্রেজেন্ট করছে।’

বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিক চৌধুরী আকবর হোসেন তিনি আরও বলেন, ‘যাদের সার্ভিস দেওয়ার দায়িত্ব তারাই যদি রেগুলেটর হন তখন তার দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। কারণ নিজেরাই নিজেদের রেগুলেট করে কিনা। আর এ কারণেই সার্ভিস প্রদানকারী বডি আর রেগুলেটরি বডি একারণেই আলাদা হওয়া প্রয়োজন। আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারত ও নেপালেও কিন্তু সার্ভিস প্রদান বডি ও রেগুলেটর বডি আলাদা। আর এই জায়গাটাতেই বাংলাদেশে সিভিল এভিয়েশন আলাদা হতে পারেনি। সরকারের উচিত যাত্রীদের নিরাপত্তা ও এভিয়েশনের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে এদিকে নজর দেওয়া।’

আরও পড়ুন: ‘দেশের পাইলটরাও দক্ষতা অর্জন করেছেন’

তিনি আরও বলেন, ‘একইসঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিমান, প্রাইভেট হেলিকপ্টারগুলো ঠিকমত একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর চেকআপ হচ্ছে কিনা এবং চেকআপ করার জন্যও দক্ষ ও পর্যাপ্ত জনবল সিভিল এভিয়েশনে নেই। ফলে সরকারের উচিত এদিকটা নজর দিয়ে যাত্রীদের সেফটি নিশ্চিত করা।’

/আরএআর/এমও/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি অনিক, সম্পাদক জাওহার
ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি অনিক, সম্পাদক জাওহার
মুম্বাইকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে লখনউ
মুম্বাইকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে লখনউ
তপ্ত রোদেও থামে না তাদের কাজ
আজ মহান মে দিবসতপ্ত রোদেও থামে না তাদের কাজ
মদ ছেড়ে বললেন, ‘মাইলফলক’
মদ ছেড়ে বললেন, ‘মাইলফলক’
সর্বাধিক পঠিত
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
সিস্টেম লস কমাতে সার্বক্ষণিক ম্যাজিস্ট্রেট চায় পেট্রোবাংলা
সিস্টেম লস কমাতে সার্বক্ষণিক ম্যাজিস্ট্রেট চায় পেট্রোবাংলা
এক ফ্রেমে এত ‘সুন্দরী’, স্মৃতিকাতর সকলেই!
এক ফ্রেমে এত ‘সুন্দরী’, স্মৃতিকাতর সকলেই!
সাতক্ষীরার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড 
সাতক্ষীরার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড 
আজকের আবহাওয়া: তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার আভাস