X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘বাংলাদেশে বাস্তিতার শাসন চলছে, সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৩ জুলাই ২০১৮, ০৪:১০আপডেট : ১৩ জুলাই ২০১৮, ১৪:১৯

বক্তব্য রাখছেন আনু মুহাম্মদ বাংলাদেশে স্বৈরশাসক বাস্তিতার শাসন চলছে। বর্তমান দুঃশাসন, নিপীড়নমূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। ছাত্র-তরুণদেরই এই সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে হবে।

চে গুয়েভারার ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট অডিটোরিয়ামে ‘চে এবং বিপ্লবের স্বপ্ন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের এ আয়োজনে আলোচনা করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক আজফার হোসেন, সন্ত্রাসনির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘কিউবা এখনও পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত। সেখানে এখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ চলছে। কিন্তু মানুষের ঐক্যই সেখানে মানুষকে দিয়েছে মানুষের জীবন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ভেঙে নতুন সমাজ গঠনে বিপ্লবী চে এবং কিউবা আমাদের সামনে প্রেরণার উৎস।’

অধ্যাপক আজফার হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশে এখনও জাতীয় মুক্তির সংগ্রাম শেষ হয়নি। অসম্পূর্ণ লড়াই সম্পূর্ণ করতে চে আমাদের আদর্শ। সে সময় কিউবাতে স্বৈরশাসক বাস্তিতা ছিলেন, বাংলাদেশেও বাস্তিতার শাসন চলছে।’

রফিউর রাব্বি বলেন, ‘চে গুয়েভারার জন্মদিন নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। আমরা জানি, চে’র জন্মদিন ১৪ জুন। কিন্তু তা আসলে ১৪ মে হবে। জন্মের পরে তাঁর মা একাডেমিক কাজের সুবিধার জন্য জন্ম তারিখ এক মাস পিছিয়ে দিয়েছিলেন। চে নিজের জীবন নয়, বিপ্লবের অমরত্ব নিয়ে চিন্তা করেছিলেন বলেই তিনি লড়াইয়ে সফলতা অর্জন করেছিলেন।’

সভাপতির বক্তব্যে গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘চে লাতিন আমেরিকাজুড়ে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন ও স্বৈরশাসকের শোষণ মুক্তির জন্য তথা শোষণমূলক ব্যবস্থার বদলের জন্য লড়াই করেছিলেন। আমাদেরও বর্তমান দুঃশাসন, নিপীড়নমূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। ছাত্র-তরুণদেরই এই সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে হবে।’

/এসটিএস/এমএ/চেক-এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শিক্ষা খাতে বাজেটের যথাযথ ব্যবহারের ওপর জোর দিতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষা খাতে বাজেটের যথাযথ ব্যবহারের ওপর জোর দিতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
নিগারের একার লড়াই বৃথা গেলো, হারে শুরু বাংলাদেশের
বাংলাদেশ-ভারত টি-টোয়েন্টি সিরিজনিগারের একার লড়াই বৃথা গেলো, হারে শুরু বাংলাদেশের
জ্যাকসের ব্যাটিং তাণ্ডবে গুজরাটকে উড়িয়ে দিলো বেঙ্গালুরু
জ্যাকসের ব্যাটিং তাণ্ডবে গুজরাটকে উড়িয়ে দিলো বেঙ্গালুরু
‘বিএসটিআইর হালাল সনদ নিয়ে রফতানিতে কেউ বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন না’
‘বিএসটিআইর হালাল সনদ নিয়ে রফতানিতে কেউ বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন না’
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে