X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভিকারুননিসায় গত বছরের তুলনায় জিপিএ-৫ বেড়েছে

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৯ জুলাই ২০১৮, ১৬:৩০আপডেট : ১৯ জুলাই ২০১৮, ১৭:২০

ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীদের উল্লাস

দেশে প্রশ্ন ফাঁস না হলে ভিকারুননিসা নূনের মেয়েরা ভালো ফল করে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস। বৃহস্পতিবার এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা বরাবরের মতো ভালো ফল করায় এবং গতবারের চেয়েও বেশি জিপিএ-৫ অর্জন করায় বাংলা ট্রিবিউনের কাছে এ মন্তব্য করেছেন তিনি।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার কিছুটা কমেছে। কিন্তু এই ফল বিপর্যয়ের মধ্যেও ভিকারুননিসার মেয়েদের ফল খুবই ভালো। গত বছরের চেয়েও এবার এই কলেজের ৪৩ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে।

তিনি জানান, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৯৯.৮৫, মানবিক শাখায় পাসের হার ৯৯.১৪। আর ব্যবসায় শিক্ষায় পাস করেছে শতভাগ শিক্ষার্থী। এবার এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মাত্র চারজন শিক্ষার্থী ফেল করেছে।

ভালো রেজাল্টের কারণ হিসেবে তিনি জানান, মূলত নিয়মানুবর্তিতা, শিক্ষকদের কঠোর পরিশ্রম, শিক্ষার্থীদের পাঠে মনোযোগ থাকায় সব মিলিয়ে ফল ভালো হয়েছে।

যারা জিপিএ-৫ যারা পায়নি তাদের সম্পর্কে বলেন, জিপিএ-৫ তো জীবনের সবকিছু নয়। তাদের সামনে আরও অনেক সুযোগ আছে। জীবনে নিয়মানুবর্তিতা ও একাগ্রতা থাকলে তারাও অনেকদূর যেতে পারবে।

এদিকে খুব ভালো পরীক্ষা দেওয়ার পরেও কাঙ্ক্ষিত ফল না পেয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবককে মন খারাপ করে বসে থাকতে দেখা গেছে। এদের মধ্যে এক শিক্ষার্থী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সতীর্থরা তাকে সেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলে।  

ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস

এদিকে, জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের উল্লাস ছিল ফল ঘোষণার পর থেকেই ক্যাম্পাসজুড়ে। তাদের একজন আনিসা হোসেন জানান, এ রেজাল্ট আমার, আমার বাবা-মা ও শিক্ষকদের পরিশ্রমের ফসল। তিনি ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হতে চান।

আর ভালো ফলকারী ছাত্রীদের অভিভাবকদের চোখে ঝরছে আনন্দের ফল্গুধারা।

এমনই একজন অভিভাবক আনিসার মা মমতাজ বেগম বলেন, মেয়ের রেজাল্টে আমি ভীষণ খুশি। আনন্দে কাঁদছি। সে যে এত ভালো ফল করবে তা বুঝতে পারিনি। আমি চেয়েছিলাম মেয়েকে ডাক্তার বানাবো। কিন্তু মেয়ে হতে চায় ইঞ্জিনিয়ার। মেয়ে আমার যা হতে চায় তা-ই হতে দেবো।

আরেক ছাত্রী ফারিয়া চৌধুরী লিসা জিপিএ-৫ অর্জন করায় তার মা সুলতানা লাকি চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার দুই মেয়ে। দুজনই স্কলার। আমি গর্বিত দুই মেয়েকে নিয়ে। ছোট মেয়ের এমন রেজাল্টে আনন্দের ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। এবারের প্রশ্নপত্রে অনেক ভুল ছিল, পরীক্ষার সময়ে ঝড়-বৃষ্টি হয়েছিল, পরীক্ষার হলের জানালার কাচ ঝড়ের আঘাতে ভেঙে গিয়েছিল। এত সমস্যার মধ্যেও আমার মেয়ে মনোবল না হারিয়ে ভালো ফল করেছে। এতে আমার আনন্দের ভাষা নেই।

/এসএনএস//টিএন/চেক-এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
একদিন আগে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন স্থগিত
একদিন আগে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন স্থগিত
সরকার বিনিয়োগকারীদের সব সুবিধা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর: পরিবেশমন্ত্রী
সরকার বিনিয়োগকারীদের সব সুবিধা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর: পরিবেশমন্ত্রী
শীর্ষ ঋণখেলাপি লস্করের সম্পত্তি ওসির জিম্মায় দিলেন আদালত
শীর্ষ ঋণখেলাপি লস্করের সম্পত্তি ওসির জিম্মায় দিলেন আদালত
জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থেকেও হিন্দুত্ববাদে ভরসা মোদির?
জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থেকেও হিন্দুত্ববাদে ভরসা মোদির?
সর্বাধিক পঠিত
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র