X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

উত্তরপত্রে ঘষামাজা করেছে পরীক্ষার্থীরা!

এস এম আববাস
৩০ অক্টোবর ২০১৮, ২১:১৭আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০১৮, ২১:১৯




আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ রাজধানীর মতিঝিলের ঐতিহ্যবাহী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২০১৮ সালের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় উত্তরপত্রে ঘষামাজার মাধ্যমে পাশ করানোর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগম। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে (মাউশি) পাঠানো লিখিত ব্যাখ্যায় তিনি দাবি করেছেন, ‘পরীক্ষার উত্তরপত্রে পরীক্ষার্থীরা নিজেরাই ঘষামাজা করেছে।’ এই ঘষামাজার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত নয়।

মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মাউশি’র পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক ড. আব্দুল মানান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অধ্যক্ষ তার ব্যাখ্যায় বলেছেন, ‘প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ছাত্ররা নিজেরাই উত্তরপত্রে ঘষামাজা করে থাকে। এই ঘষামাজার জন্য কেউ দায়ী নয়।’

আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২০১৮ সালের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্রে ঘষামাজা করে ভুল উত্তর মুছে ফেলে ঠিক করে ফেল করা ছাত্রদের পাস করিয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকা আয় করার অভিযোগের তদন্ত করে ঢাকা জেলা প্রশাসন। তদন্ত শেষে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয় গত ৮ আগস্ট।

প্রতিবেদনে ঘষামাজার প্রমাণ পাওয়ার পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ অধ্যক্ষের ব্যাখ্যা চায়। এর প্রেক্ষিতে মাউশি থেকে অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগমের কাছে ঘষামাজার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এ পর্যন্ত তিন দফা ব্যাখ্যা চেয়েছে মন্ত্রণালয়। অধ্যক্ষের ব্যাখ্যার পর মাউশির সুপারিশসহ তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশনা রয়েছে।

এদিকে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে দুর্নীতির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছে।

মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা মন্ত্রণালয়কে অধ্যক্ষের ব্যাখ্যা পাঠাবো কিন্তু এখনই কোনও সুপারিশ করবো না। উত্তরপত্রে ঘষামাজার বিষয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসনের তদন্তে অভিযোগের (একাংশ-ঘষামাজা) প্রমাণ পাওয়ার পর মাউশি অভিযোগ তদন্তে নিজস্ব একটি কমিটি গঠন করে। ওই তদন্ত শেষ হলে আমরা তদন্ত প্রতিবেদন পাঠাবো মন্ত্রণালয়ে। এই তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে অধ্যক্ষসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা সুপারিশ করে পাঠাবো।’

তিনি আরও জানান, ‘আমাদের তদন্ত শেষ হলে দুটি তদন্ত প্রতিবেদন দুদকে পাঠানো হবে।’

এদিকে ঢাকা জেলা প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদনে ঘষামাজার প্রমাণ পাওয়া গেলে গত ২৯ সেপ্টেম্বর নিজস্ব একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে মাউশি। চার সদস্য বিশিষ্ট ওই তদন্ত কমিটির প্রধান ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক মো. ইউসুফ আলী। এছাড়া সহকারী পরিচালক (সেসিপ-মাধ্যমিক) মো. সবুজ আলম, সহকারী পরিচালক (বিশেষ) মোহছেনা বেগম এবং ঢাকা জেলার শিক্ষা অফিসার তদন্ত কমিটির সদস্য রয়েছেন।

মন্ত্রণালয় ও মাউশি সূত্রে জানা গেছে, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার খাতায় ঘষামাজা করে ভুল উত্তর রাবার দিয়ে মুছে সঠিক উত্তর লিখে ফেল করা ছাত্রদের পাস করিয়ে প্রায় ৩ কোটি আয় করেছেন বলে অভিযোগ করেন অভিভাবক শ্যামলী শিমু। উত্তরপত্রে ঘষামাজার জন্য শ্যামলী শিমু দায়ী করেন- অধ্যাপক ড. শাহান আরা বেগম, সহাকারী প্রধান শিক্ষক আ. ছালাম খান, তার ভাই অফিস সহকারী সাব এসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান খান, হিসাব সহকারী দীপা এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি মো. কবির হোসেন ও আতিকুর রহমানকে।

/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পুতিনের পঞ্চম মেয়াদের শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করলেন পশ্চিমা নেতারা
পুতিনের পঞ্চম মেয়াদের শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করলেন পশ্চিমা নেতারা
বিচারকের স্বাক্ষর জাল: ২ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল হয়নি 
বিচারকের স্বাক্ষর জাল: ২ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল হয়নি 
ছুঁড়ে দেয়া সকল তীর সাদরে গ্রহন করলাম: ভাবনা
ছুঁড়ে দেয়া সকল তীর সাদরে গ্রহন করলাম: ভাবনা
উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে: সিইসি
উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে: সিইসি
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?