কবি আল মাহমুদের প্রথম জানাজা জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে জাতীয় প্রেস ক্লাবের টেনিস গ্রাউন্ডে তার মরদেহ নেওয়া হয়।
এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এমাজুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কবি আল মাহমুদ ছিলেন দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। দেশের সর্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য যে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছে, সেখানে তার গুরুতপূর্ণ অবদান রয়েছে। তিনি এই সমাজকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার সে স্বপ্ন পূরণ হোক।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সমাজে কবি আল মাহমুদকে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল। আল্লাহ তাকে সর্ব উত্তম স্থান দান করুন, সবাই সেই দোয়া করি।’
কবি আল মাহমুদের ছেলে মীর মোহাম্মদ মুনির বলেন, ‘উনার ইচ্ছা ছিল শুক্রবারে মৃত্যুবরণ করবেন। আল্লাহ উনার ইচ্ছা পূরণ করেছেন। তার অজান্তে কোনও ভুল করে থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।’
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, ‘উনার মতো কবি সাধারণত সবসময় সব জায়গায় জন্ম নেননি। প্রতিটি ধারাতেই ওনার উপস্থিতি আমরা দেখেছি। এতে আমরা অভিভূত হয়েছি, অনুপ্রাণিত হয়েছি। সেই অনুপ্রেরণাটুকু উনি রেখে গেছেন আগামী প্রজন্মের জন্য।’
জানাজার নামাজে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, কবি আবদুল হাই শিকদার, শহিদুল ইসলাম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, কবি আল মাহমুদের দ্বিতীয় জানাজা বাদ জোহর বাইতুল মোকাররম মসজিদে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১ টা ৫ মিনিটে ধানমন্ডি শংকরের ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কবি আল মাহমুদ।
আরও খবর: চিরনিদ্রায় কবি আল মাহমুদ