X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

১২ ঘণ্টা থানায় বসিয়ে রাখা হয় ভিকটিমকে

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১১ জুলাই ২০১৯, ১৪:৫৩আপডেট : ১১ জুলাই ২০১৯, ১৯:১৭

অভিযুক্ত সম্রাট বুধবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনে ধর্ষণের শিকার ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে যাত্রীরা। প্রথমে বিমানবন্দর থানা পুলিশ ও পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভুক্তভোগীকে নেওয়া হয় কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশের হেফাজতে। এরপর কেটে গেছে ১২ ঘণ্টা। পরদিন আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভুক্তভোগীকে বসিয়ে রাখা হয়েছে কমলাপুর রেলওয়ে থানায়। রাত বেশি হওয়ায় এবং ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যদের খুঁজে না পাওয়ায় ঘটনার তদন্ত শেষ করে মামলা দায়ের করতে দেরি হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সঙ্গে থানায় রয়েছেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাতুল শিকদার। তিনি জানান, পুলিশের ঢিলেমি ও ধীরগতিতে কাজের জন্য অসুস্থ এই শিশুকে থানায় বসে থাকতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পুলিশ চাইলে রাতেই শিশুটিকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠাতে পারতো, চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারতো। তা তো করেইনি, উল্টো সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও হাসপাতালে পাঠাচ্ছে না তারা। এজাহার লিখছে, সেই দীর্ঘ সময় ধরে।’
বুধবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার ওই শিশুকে ট্রেন থেকে উদ্ধার করেন যাত্রীরা। এ ঘটনায় সম্রাট নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সে কমলাপুর রেলস্টেশনে ময়লা পরিষ্কারের কাজ করে। তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। ভুক্তভোগী শিশুর বাড়ি মানিকনগরে।
শিশুটির বরাত দিয়ে ট্রেনের যাত্রী ও কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরা জানান, ভুক্তভোগীর নানি মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বুধবার বিকালে হাসপাতালের নিচে নামলে সেখান থেকে ভুল বুঝিয়ে সম্রাট তাকে রিকশায় করে কমলাপুর নিয়ে যায়। কমলাপুরে ট্রেনের মধ্যে ভয় দেখিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এরপর থেকে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিশুটির চলাফেরা অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় ট্রেনের যাত্রীরা তার সঙ্গে কেউ আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে ওই যুবককে পাওয়া যায়। শিশুটি অসুস্থবোধ করায় এবং ওই যুবকের পরিচয় নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় তাকে আটকে রাখেন ট্রেনের যাত্রীরা। বিমানবন্দর স্টেশনে নেমে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে রেপ ভিকটিমদের চিকিৎসা করা হয় না বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর থেকে শিশুটির সঙ্গে থাকা রাতুল সরকার আরও বলেন, ‘আমি বুধবার সন্ধ্যায় আমার এক ছোট ভাইয়ের মাধ্যমে খবর পেয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালে আসি। জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, এ ধরনের রোগীর চিকিৎসা তারা এখানে করেন না। তারা শিশুটিকে একটি ইনজেকশন দেন। এরপর জানান, তাকে নিয়ে যেতে হবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কুর্মিটোলা হাসপাতাল থেকে ভুক্তভোগী শিশুকে নিয়ে যাওয়া হয় কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশের হেফাজতে। রাত দেড়টার দিকে মানিকনগর থেকে শিশুটির মাকে আনা হয়।’
পেটে ব্যথা রয়েছে বলে একাধিকবার পুলিশ ও তার মাকে জানিয়েছে ভুক্তভোগী শিশুটি। তার মা বলেন, ‘আমি গতকাল বিকালের পর ওকে হাসপাতালে রেখে আসি। পরে শুনি তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। রাত দেড়টার দিকে পুলিশ এসে জানানোর পর ঢাকায় আসি।’
কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশের ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টর রুশো বণিক বলেন, ‘আমরা শিশুটির পরিচয় শনাক্ত করতে পেরেছি। তার পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন। গতকাল (বুধবার) রাত হয়ে যাওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো সম্ভব হয়নি। আজকে পাঠানো হবে।’
রেলওয়ে পুলিশ ঢাকা জোনের এএসপি ওমর ফারুক বলেন, ‘মামলার কাজ শেষ হয়েছে। এখন ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হচ্ছে।’ 

/আরজে/ওআর/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নারায়ণগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৩
নারায়ণগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৩
সুন্দরবনে আগুন ছড়ানো রুখতে দেওয়া হয়েছে বেরিকেট
সুন্দরবনে আগুন ছড়ানো রুখতে দেওয়া হয়েছে বেরিকেট
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
সর্বাধিক পঠিত
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
সব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি হারুনসব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী