X
রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫
২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

জুলহাজ ও তনয় হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৮ জুলাই ২০১৯, ১৪:২৫আপডেট : ২৮ জুলাই ২০১৯, ১৪:৩১

জুলহাজ মান্নান ও মাহবুব তনয়

সমকামীদের অধিকার বিষয়ক ম্যাগাজিন রূপবান-এর সম্পাদক জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয়কে হত্যা মামলায় আট জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম চার্জশিট জমা দিলেও আজ  (রবিবার, ২৮ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধ কর্মকর্তা (উপপরিদর্শক) শরীফ সাফায়েত।

তিনি বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চার্জশিট দাখিল করেছেন এবং আগামী ২৯ আগস্ট তা আদালতে উপস্থাপন করা হবে।’

চার্জশিটে যে আট জনকে আসামি করা হয়েছে তারা হলো— মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (২৫), আরাফাত রহমান (২৪), শেখ আব্দুল্লাহ (২৭), আসাদুল্লাহ (২৫), মেজর (বহিষ্কৃত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া (৪২), আকরাম হোসেন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী (২৬), ও জুনাইদ আহমদ ওরফে মাওলানা জুনেদ আহম্মেদ ওরফে জুনায়েদ (২৬)। অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে চার জন এখনও পলাতক রয়েছে।

সিটিটিসি সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল ৩৫ নম্বর উত্তর ধানমন্ডির নিজ বাসায় খুন হন জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয়। এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় হত্যা ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। প্রথমে থানা পুলিশ ও পরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর মামলাটির তদন্ত ভার স্থানান্তর করা হয় সিটিটিসির কাছে।

সিটিটিসির কর্মকর্তারা জানান, তারা তদন্ত ভার পাওয়ার পর ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার জন আসামিকে গ্রেফতার করে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং অন্যান্য সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে জানা যায়, এই হত্যার সঙ্গে জড়িত আসামিরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন আনসার আল ইসলামের বিভিন্ন পর্যায়ের সক্রিয় সদস্য। সংগঠনের নেতা সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়ার নির্দেশে সংগঠনের সামরিক শাখার সদস্যরা এই হত্যা মিশনে অংশ নেয়।

কর্মকর্তারা জানান, চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন আনসার আল ইসলামের মিডিয়া শাখার প্রধান ও ইন্টেলিজেন্স সদস্য। তার বাবার নাম আবু মোহাম্মদ হুসাইন, গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে। আরাফাত রহমান ছিল আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার সদস্য। তার বাবার নাম মোমিনুল হক, গ্রামের বাড়ি নীলফামারী। শেখ আব্দুল্লাহ ছিল ওই সংগঠনের ইন্টেলিজেন্স শাখার প্রধান। তার বাবার নাম ইরফান। গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামে। এছাড়া, অভিযুক্ত অন্য আসামি আসাদুল্লাহ সামরিক শাখার সদস্য। তার বাবার নাম এমদাদুল হক। গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে। এদের প্রত্যেকেই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

সিটিটিসি সূত্র জানায়, চার্জশিটে চার জন আসামিকে পলাতক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলো— সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া (বহিষ্কৃত), আকরাম হোসেন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ও মো. জুনাইদ আহমদ ওরফে মাওলানা জুনেদ আহম্মেদ ওরফে জুনায়েদ। এর বাইরে এ ঘটনায় আরও পাঁচ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলেও পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় তাদের চার্জশিটভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে ভবিষ্যতে তাদের শনাক্ত বা গ্রেফতার করা গেলে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে বলে জানানো হয়। আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের পাশাপাশি তা অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটিটিসির একজন কর্মকর্তা।

/টিএইচ/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ঈদের দ্বিতীয় দিন টিভি পর্দায় যত নাটক
ঈদের দ্বিতীয় দিন টিভি পর্দায় যত নাটক
জাতীয় নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিতে কতটা প্রস্তুত পুলিশ
জাতীয় নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিতে কতটা প্রস্তুত পুলিশ
লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য আলোচনায় বসছে সোমবার
লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য আলোচনায় বসছে সোমবার
সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত হলো চট্টগ্রাম
সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত হলো চট্টগ্রাম
সর্বাধিক পঠিত
ঈদ উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান
ঈদ উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান
মায়ের কবরে আবেগঘন শুভ: আকাশটাও কাঁদছিলো…
মায়ের কবরে আবেগঘন শুভ: আকাশটাও কাঁদছিলো…
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সস্ত্রীক নৌবাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সস্ত্রীক নৌবাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ
অবশেষে জুলাইয়ে চালু হচ্ছে ভূমি মালিকানা সনদ
অবশেষে জুলাইয়ে চালু হচ্ছে ভূমি মালিকানা সনদ
অধিকাংশ পুলিশ ছুটিতে, আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা
বৈরাতি হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রঅধিকাংশ পুলিশ ছুটিতে, আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা