X
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

ফিটনেসবিহীন পরিবহন চলাচল বন্ধে প্রতি জেলায় টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:৩৪আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:৩৮

হাইকোর্ট সড়কে ফিটনেসবিহীন ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধ এবং নতুন সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাস্তবায়নে দেশের প্রত্যেক জেলায় টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এই টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকদের দ্বারা টাস্কফোর্স গঠন করতেও বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসকরা প্রয়োজন মনে করলে এতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও বিআরটিএ প্রতিনিধিসহ অন্যদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন।

আদালত জানিয়েছেন,এই টাস্কফোর্স সব গাড়ির কাগজপত্র যাচাই করতে পারবেন এবং ফিটনেসবিহীন ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ি জব্দ, চালককে গ্রেফতার, জরিমানা ও গাড়ি ডাম্পিং করতে পারবে। এছাড়া এ আদেশের অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী তিন মাস পর হাইকোর্টকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ১ জুন মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না, মাহজাবিন রাব্বানী দীপা, কাজী শামসুন নাহার কনা ও ঈশিতা পারভীন। অন্যদিকে, বিআরটিএর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মঈন আলম ফিরোজী ও রাফিউল ইসলাম।

এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি বিআরটিএ ও বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ওই প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিআরটিএ আদালতকে জানায়, তারা জনবল সংকটের কারণে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে পারছে না। তাই তারা টাস্কফোর্স গঠনের আবেদন করে।

বিআরটিএ তাদের প্রতিবেদনে আরও জানায়, ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৬ লাখ ৫ হাজার ৭৬৪টি পরিবহন ফিটনেস সনদ নিয়েছে। পুলিশের প্রতিবেদনে জানানো হয়, তারা হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক প্রত্যেক ফিলিং স্টেশন ও পেট্রোল পাম্পগুলোতে ফিটনেসবিহীন গাড়িতে জ্বালানি সরাবরাহ না করতে নোটিশ দিয়েছে এবং তারা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে।

প্রসঙ্গত, ৭১ হাজার ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ে ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ একটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এসব আদেশ দেন।

প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। এ সময় আদালতে উপস্থিত আইনজীবীদের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিনের বক্তব্য জানতে চান আদালত। এছাড়াও আদালতে দায়িত্বরত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক মামলার বিষয়ে মতামত দেন।

পরে ফিটনেসবিহীন ও নিবন্ধনহীন যান চলাচল এবং লাইসেন্স ছাড়া যান চালানো রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার সম্বলিত সংবিধানের ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদের চেতনা বাস্তবায়নে মোটরযান অধ্যাদেশ-১৯৮৩-সহ সংশ্লিষ্ট সব আইন কঠোরভাবে মেনে চলতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশের আইজি, বিআরটিএ চেয়ারম্যানসহ সাত জনকে এসব রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

 

 

/বিআই/আইএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সুন্দরবনে ২২ বছরে ৩২ বার আগুন, তদন্ত হলেও সমাধান নেই
সুন্দরবনে ২২ বছরে ৩২ বার আগুন, তদন্ত হলেও সমাধান নেই
বাজেটে প্রতিবন্ধীদের মাসিক ভাতা ৫ হাজার করাসহ ১১ দাবি
বাজেটে প্রতিবন্ধীদের মাসিক ভাতা ৫ হাজার করাসহ ১১ দাবি
দ্বিতীয় সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ, আটক ২ সহস্রাধিক
দ্বিতীয় সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ, আটক ২ সহস্রাধিক
মিল্টন সমাদ্দারের আরও ৭ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
মিল্টন সমাদ্দারের আরও ৭ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
সর্বাধিক পঠিত
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ!
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ!
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি