X
বুধবার, ০১ মে ২০২৪
১৮ বৈশাখ ১৪৩১

‘জয় বাংলা-বাংলার জয়’ গেয়ে গেয়ে কলকাতা থেকে ঢাকায়

সাদ্দিফ অভি
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১২:৩১আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১২:৩৪

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সৌরজিৎ রায় ও তার দল

কোমরে ব্যাগ, কপালে লেখা ২১ ফেব্রুয়ারি, সবার হাতে ভারতের পতাকা— এভাবেই ‘জয় বাংলা-বাংলার জয়’ গেয়ে গেয়ে কলকাতা থেকে অষ্টমবারের মতো ঢাকায় এসেছেন সৌরজিৎ রায় ও তার দল। প্রতিবারের মতো এবারও তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা শহীদ মিনারে এসে পৌঁছান এবং ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শহীদ মিনারে প্রবেশের আগে তারা ফুল হাতে ‘ভাষার জয়’ বলে স্লোগান দেন। এসময় তারা ‘জয় বাংলা-বাংলার জয়’ গানটি গাইতে থাকেন। এছাড়া, ‘আমি বাংলায় গান গাই’-সহ কয়েকটি দেশাত্মবোধক গানও গায় সৌরজিৎ রায়ের দল। এসময় ‘জয় বাংলা’, ‘জয় হিন্দ’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘জয় বিদ্যাসাগর’ স্লোগান দেন তারা।

কলকাতা থেকে সাইকেল চালিয়ে বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করতে করতে ঢাকায় এসেছে সৌরজিৎ রায়ের দল। প্রায় ৪৫০ কিলোমিটিার পথ পাড়ি দিয়ে তারা  আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন। ভারতের ট্যুর সংস্থা ‘১০০ মাইলসের’ উদ্যোগে তাদের এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আসার ঘটনা আট বছর ধরে চলে আসছে। ২০১২ সাল থেকে তারা নিয়মিত বাংলাদেশে আসছেন এবং শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি ঘুরে দেখছেন বাংলাদেশের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলো। এবছর ১৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় বিদ্যাসাগরের বাড়ি থেকে শুরু হয় তাদের এই ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী বন্ধন সাইকেল র‌্যালি।

‘বাংলা কখনও হয় না ভাগ, বাংলা ভাষায় আমরা এক’– এই স্লোগানকে বুকে ধারণ করেই আমাদের এই যাত্রা উল্লেখ করে দলটি। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার ১৬ জনের একটি দল সাইকেল চালিয়ে ঢাকায় এসেছেন।

 

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সৌরজিৎ রায় ও তার দল

দলের সদস্যরা জানান, ‘ভাষাসূত্র’ নামে আমাদের একটা প্রকল্প আছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে আমরা কলকাতা থেকে শুরু করি। আমরা ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়ে শেষ করি। ২০ ফেব্রুয়ারি সাইকেল চালিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করি। কিন্তু প্রতিবােই আমরা রুট পাল্টাই।থিম অনুযায়ী আমরা রুট ঠিক করি। এবছর আমরা উৎসর্গ করেছি বিদ্যাসাগর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এজন্য এবার র‌্যালিটি অন্যরকম হয়েছে।

দলনেতা সৌরজিৎ জানান, ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর তারা এই উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছেন। প্রথমে একান্ত ব্যক্তিগত উদ্যোগে কয়েকজন বন্ধুর উৎসাহে নিছকই অ্যাডভেঞ্চারের জন্য অভিযানটি  শুরু হয়েছিল। কিন্তু ক্রমে ক্রমে তা বিস্তৃত হয়ে পড়েছে। প্রথম বছরে অভিযানে সঙ্গী ছিল সাতহ জন। ধীরে ধীরে সংখ্যায় বেড়ে এবছর দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। এই উৎসাহে শামিল হয়েছেন ৬৭ বছরের আরোহীও।

সৌরজিৎ রায় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা জন্মের পর থেকে তিনটি জিনিস বয়ে বেড়াই— ১. নাগরিকত্ব, ২. আমাদের ধর্ম, ৩. আমাদের জাতিসত্তা। এই তিনটি জিনিসের একটি কিন্তু চাইলেই আমরা বদলিয়ে ফেলতে পারি। সেটা হলো জাতিসত্তা।’

তিনি আরও বলেন, ‘২৬ সেপ্টেম্বর থেকে আমরা প্রথম পর্ব শুরু করি বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান বীরসিংহ থেকে। ২৭ সেপ্টেম্বর বিদ্যাসাগরের বাড়িতে শেষ করি। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি সেখান থেকেই শুরু করে আজকে ঢাকায় এসে পৌঁছেছি।’

 

/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বঙ্গবন্ধু শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন: এমপি কাজী নাবিল
বঙ্গবন্ধু শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন: এমপি কাজী নাবিল
ত্যাগের মহিমায় স্বামী বিবেকানন্দ মানবসেবা করে গেছেন: মেয়র তাপস
ত্যাগের মহিমায় স্বামী বিবেকানন্দ মানবসেবা করে গেছেন: মেয়র তাপস
জাকের পার্টির ‘বিশ্ব ইসলামি সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত
জাকের পার্টির ‘বিশ্ব ইসলামি সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত
গাজায় ইউক্রেনের চেয়েও বেশি ধ্বংসস্তূপ রয়েছে: জাতিসংঘ
গাজায় ইউক্রেনের চেয়েও বেশি ধ্বংসস্তূপ রয়েছে: জাতিসংঘ
সর্বাধিক পঠিত
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা