সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলকে বেসরকারি খাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্তের অংশ হিসাবে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ প্রকল্পের আওতায় সব পাটকল বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন। বুধবার (৮ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এমন মন্তব্য করা হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, একদিকে দেশে করোনা মহামারি মোকাবিলায় সরকার বরাবরই অবহেলা করে আসছে। মানুষ ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছে না। আর অন্যদিকে জীবনের প্রধান অবলম্বন জীবিকা থেকে শ্রমিকদেরকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। গার্মেন্টস, পাটকল, চা-বাগানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের শ্রমিকদের বেতন ছাড়াই ছাঁটাই করা হচ্ছে। বেতন দিলেও তা কর্তন করা হচ্ছে। জোর করে চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে নিয়োজিত স্বাস্থ্যসেবীদের জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে না।
তারা আরও বলেন, পাটকল নিয়ে সরকারের বর্তমান সিদ্ধান্ত স্বৈরাচারী। এই সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে সরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
এসময় তারা সরকারের প্রতি ৩ দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হচ্ছে— পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে আধুনিকায়ন করা এবং পুঁজিপতিদের হাতে পাটশিল্প তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা বন্ধ করা; লে-অফ, শ্রমিক ছাঁটাই, বেতন কর্তন করা বন্ধ করা; শিল্পাঞ্চল-শ্রমিক অঞ্চলগুলোতে করোনার নমুনা সংগ্রহের বুথ স্থাপন করা এবং আক্রান্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক নেতা রাজু আহমেদ, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মানস নন্দী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রেজা প্রমুখ।