X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

জালিয়াতির মামলায় আদালতের চার কর্মকর্তার জামিন

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৪ নভেম্বর ২০২০, ২১:৪৯আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২০, ২১:৫৬

হাইকোর্ট

২২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধারের কথা গোপন করে প্রতারণার মাধ্যমে হাইকোর্টে ২২ পিস ইয়াবার কথা উল্লেখ করে জামিন নেওয়ার ঘটনায় করা মামলায় গােপালগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের চার কর্মকর্তার জামিন দিয়েছেন আদালত।

জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মাে. জাকির হােসেন মােল্লা (গােপালগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা), জাহিদুল ইসলাম (প্রধান তুলনাকারক), তপন বিশ্বাস (সহকারী তুলনাকারক), অগস্তা বাইন (অফিস সহকারী)।

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মন্ডল শুনানি শেষে এই আদেশ দেন

আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) নিজাম উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, 'আসামিদের ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় আদালত জামিনের আদেশ দেন।'

সোমবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সহকারী রেজিস্ট্রার জাকির হোসেন পাটোয়ারী শাহবাগ থানায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, গােপালগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের চার কর্মকর্তাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। এরপর মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) এজাহার পৌঁছালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরা তা গ্রহণ করেন। পাশাপাশি মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১১ জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, মাদক মামলার আসামি শফিউল্লাহ খান গত ৬ নভেম্বর জামিন পান। জামিননামার আদেশ নিম্ন আদালতে (গোপালগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত) পাঠানো হয়। এরপর আসামি শফিউল্লাহ খানের জামিননামা দাখিল করলে তা গ্রহণ করা হয়। এসময় আদালতের দৃষ্টিতে আসে যে, আসামির দখল থেকে ২২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধারের অভিযোগ থাকলেও হাইকোর্টের আদেশে ২২ পিস ইয়াবা উদ্ধারের কথা রয়েছে। এরপর গোপালগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিষয়টি হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে অবহিত করেন। এরপর রেজিস্ট্রার জেনারেল বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জামিন দেওয়া বিচারপতিদের অবহিত করেন।

অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত হয়। উক্ত তারিখে আইনজীবী ছিলেন মাে. মােস্তফা কামাল। তিনি আদালতকে জানান যে, আলী ফকির এবং দাউদ মোল্লা তার জুনিয়র মাে. কামরুল ইসলামকে ওই কাগজপত্র হস্তান্তর করে। উক্ত কাগজপত্র পর্যবেক্ষণ করে আদালত দেখতে পান যে, যিনি টাইপ করেছেন তার নাম উল্লেখ নেই। কিন্তু তুলনা সহকারী তপন বিশ্বাস, প্রধান তুলনাকারক মো. জাহিদুল ইসলাম এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাে. জাকির হােসেন মোল্লা তাদের সিল ও সই দিয়েছেন। পরবর্তীতে জানা যায় যে, নকলটি অগস্তা বাইন টাইপ করেছিলেন। উপরােক্ত জাল কাগজগুলো আসামিরা পরস্পর যােগসাজসে তৈরি করে আদালতে দাখিল করে জামিন নিয়েছে, যা দণ্ডনীয় অপরাধ। উক্ত জাল-জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করার জন্য আদালত নির্দেশ দেন।

 

/টিএইচ/এএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
এখনও উদ্ধার হয়নি পুলিশের অস্ত্র, মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ
২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে সহিংসতাএখনও উদ্ধার হয়নি পুলিশের অস্ত্র, মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ
রিকশাচালকদের ছাতা বিতরণ করলেন মেয়র আতিক
রিকশাচালকদের ছাতা বিতরণ করলেন মেয়র আতিক
রেল ও সড়ক বিটের রিপোর্টারদের সংগঠনের নতুন কমিটি
রেল ও সড়ক বিটের রিপোর্টারদের সংগঠনের নতুন কমিটি
কঙ্গোর বাস্তুচ্যুত শিবিরে হামলা, নিহত ৯
কঙ্গোর বাস্তুচ্যুত শিবিরে হামলা, নিহত ৯
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা