X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১

শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার আহ্বান

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০২ ডিসেম্বর ২০২০, ১৫:৩১আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২০, ১৬:০৫

আলোচনা সভা

দীর্ঘ ২৩ বছরে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করা যায়নি। এখনও সময় আছে। পাহাড়ে হানাহানি, সংঘাত বন্ধ করতে হলে শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে। এই কাজ সরকারের।  সরকারকে এই দায়িত্ব নিতে হবে। চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নতুন করে শুরু করান আহ্বান জানানো হয়। বুধবার (২ ডিসেম্বর) শান্তিচুক্তির ২৩ বছর উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ আহ্বান জানান।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখে ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পংকজ ভট্টাচার্য, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তানজিম উদ্দিন খান, কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারাহ তানজিম তিতিল, সাংবাদিক গোলাম মোর্তুজা৷ 

আলোচনা সভায় পংকজ ভট্টাচার্য বলেন, শান্তিচুক্তি পুরো বাস্তবায়ন হয়নি এইটা যেমন সত্যি তেমনি সরকার এখনও বাস্তবায়নের কথা বলছে সেটাও সত্যিই। সুতরাং বাকিটুকু বাস্তবায়নে আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, পাহাড়ের সংঘাত, হানাহানি বাড়ছে। এই সন্ত্রাসী কাজ বন্ধ করতে হবে। রাষ্ট্রের এই চুক্তি বাস্তবায়নের অনিহার সুযোগ নিচ্ছে চুক্তি বিরোধিরা। তারা চুক্তি বিরোধী নানা কাজ করে যাচ্ছে। তাদের ঠেকাতে হবে। শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন, পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সবার আগে রাজনৈতিক ঐক্য দরকার। তাহলেই এই চুক্তি বাস্তবায়ন সহজ হবে। 

আলোচনা সভা

বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেন, এই চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার একটি বড় কারণ রাষ্ট্রযন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ প্রবল হচ্ছে। এই নিয়ন্ত্রণ যত প্রবল হবে ততই সংঘাত, হানাহানি বাড়বে। 

মেজবাহ কামাল বলেন, উন্নয়নের নামে পাহাড় কেটে নানা কিছু বানানো হচ্ছে এতে পাহাড়ের পরিবেশ প্রতিবেশ নষ্ট হচ্ছে। পাহাড়ের সৌন্দর্য্যকে বাণিজ্যে পরিণত করার ষড়যন্ত্র আমাদের রুখতে হবে। শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন নের এই আন্দোলন শুধু পাহাড়ের আন্দোলন নয়, সবার আন্দোলন।  সুতরাং সবাইকে সঙ্গে নিয়েই এই আন্দোলন করতে হবে। 

গোলাম মর্তুজা বলেন, শুধু পাহাড়কে আলাদা করে এখন দেখার সুযোগ নেই। তারা আমাদের বাইরের কেউ নয়। শান্তি প্রতিষ্ঠা করলে হলে সবার আগে একটি অসাম্প্রদায়িক,  ধর্ম নিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ক্রমেই আমরা সাম্প্রদায়িক হয়ে উঠছি।

রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, চুক্তি করেছে সরকার। সেই চুক্তির মর্যাদা রক্ষার দায়িত্বও সরকারের। পাহারের সমস্যা আর সমতলের সমস্যা সবই এই গণতন্ত্রহীনতার কারণেই। চুক্তি করে সরকার যেমন পাহাড়ের মানুষদের আপন করে নিয়েছিল, তেমনি বাস্তবায়নের প্রতি সরকারের এই অনিহা পাহাড়ের মানুষদের পর করে দিচ্ছে।

সভাপতির বক্তব্যে সঞ্জীব দ্রং বলেন, ‘আমাদের এখন নতুন করে চুক্তি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করতে হবে। পাহাড়ের শান্তি প্রতিষ্ঠায় এই নবযাত্রা জরুরি। এজন্য দরকার হলে নতুন করে সংলাপে বসতে হবে আমাদের।’

 

/এসএনএস/এসটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ডিবি
মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ডিবি
পদ্মশ্রী পাওয়া শিল্পী এখন দিনমজুর!
পদ্মশ্রী পাওয়া শিল্পী এখন দিনমজুর!
সিলেটে এয়ার অ্যাস্ট্রার বিজনেস পার্টনার মিট
সিলেটে এয়ার অ্যাস্ট্রার বিজনেস পার্টনার মিট
ডি মারিয়ার সঙ্গে চুক্তির গুঞ্জনে যা বললেন মায়ামি কোচ
ডি মারিয়ার সঙ্গে চুক্তির গুঞ্জনে যা বললেন মায়ামি কোচ
সর্বাধিক পঠিত
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে
মুক্তির পর থেকেই মামুনুল হককে ঘিরে অনুসারীদের ভিড়
মুক্তির পর থেকেই মামুনুল হককে ঘিরে অনুসারীদের ভিড়