নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে দেশের ৪২ নাগরিকের আনা ‘গুরুতর অসদাচরণ ও দুর্নীতির’ অভিযোগ তদন্ত করার দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন। বুধবার (৯ জুন) সকাল ১১টায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনলাইন গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
কমিউনিটি পিটশন পরিচালনাকারী আন্তর্জাতিক সংগঠন avaaz-এর মাধ্যমে এই গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে সুজন। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই গণস্বাক্ষরের কপি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে সুজনের সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, ‘কমিশনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করে তদন্ত করার জন্য আমরা চিঠি দিয়েছিলাম। যদিও আমরা কোনও সাড়া পাইনি, কিন্তু আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তারই পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে আমাদের এই কর্মসূচি।’
সংগঠনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘অতীতেও কমিশন অনেক কারসাজি করেছে, কিন্তু এই কমিশনের বিরুদ্ধে নির্বাচন সংক্রান্ত গুরুতর অসদাচরণের পাশাপাশি নজিরবিহীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে দুটি চিঠি পাঠাই। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হল- আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে সামান্য প্রাপ্তি স্বীকারের স্বীকৃতিমূলক সৌজন্যতাবোধ পর্যন্ত পাইনি। অন্যান্য অনেক বিষয়ে ভিড়ে এটি হারিয়ে গেলেও গুরুত্বপূর্ণ এই ইস্যুটা শুধু সামনেই আনাই দরকার নয়, নাগরিকদেরও এর পক্ষে সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন।’
প্রসঙ্গত, এরআগে, গত ১৪ ডিসেম্বর বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের অধীনে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠনের আবেদন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের কাছে চিঠি দেন দেশের ৪২ বরেণ্য নাগরিক। চিঠিতে নাগরিকরা নির্বাচন কমিশনের প্রশিক্ষণে 'বিশেষ বক্তা’ ও অন্যান্য পদবী ব্যবহার করে বক্তৃতা দেওয়ার নামে কোটি কোটি রাষ্ট্রীয় অর্থ লোপাট থেকে শুরু করে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে কমিশন কর্তৃক সংঘটিত বিভিন্ন গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ তুলে ধরেন।