X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

অঝোরে কাঁদলেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা, চাইলেন জিয়ার মরণোত্তর বিচার

বাহাউদ্দিন ইমরান
০২ অক্টোবর ২০২১, ১৫:৪৮আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২১, ১৪:৫৯

১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর তথাকথিত বিদ্রোহ দমনের নামে সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুতির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য পরিবার। এরপর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পার করতে হয়েছে কঠিন সময়। পরিবারের পুরুষ সদস্যকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল পুরো পরিবার। 

শনিবার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর পরবর্তী সময়ে নিজেদের দুরাবস্থার কথা তুলে ধরেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা। এসময় তাদের বক্তব্য ও কান্নাজুড়ে পুরো মিলনায়তনে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

স্মৃতি আঁকড়ে এখনও করপোরাল আলী আকবরকে খোঁজেন তার ছেলে মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, কী অপরাধ করেছিল আমার বাবা? তিনি যদি অপরাধ করতেন, তাকে যদি ফাঁসিও দেওয়া হতো- তাহলে কেন অন্তত তার লাশটি আমাদের দেওয়া হলো না? মানুষের মনে এত নির্মমতা থাকতে পারে? বাবা নিখোঁজের পর অসহায় দিন কাটিয়েছি। মাকে অনেক কষ্ট সহ্য করে আমাদের মানুষ করতে হয়েছে। কেউ তখন পাশে দাঁড়ায়নি। বাবাকে হারানো কিংবা উচ্চশিক্ষিত না হতে পারাসহ স্বাভাবিক জীবনধারণের অনেক অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত হয়েছি। তাই আমি খুনি জিয়ার মরণোত্তর বিচার চাইছি।

সেই সময়ে অন্যায়ভাবে চাকরি কেড়ে নিয়ে পাঁচবছরের কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনা তুলে ধরে ভুক্তভোগী লরেঞ্চ ডি রোজারিও বলেন, অন্যায়ভাবে আমাকে চাকরিচ্যুত করে সাজা দেওয়া হয়েছিল। তখন ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে জিয়ার নির্মমতা দেখেছি। স্ত্রী-সন্তানরা তাদের স্বামী-বাবার খোঁজে এসে বসে থাকতেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ক্ষতিগ্রস্তদের সংখ্যাটা যে এত বেশি ছিল, তা তখন বুঝতে পারিনি।

অঝোরে কাঁদলেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা, চাইলেন জিয়ার মরণোত্তর বিচার

সার্জেন্ট আবুল বাশারের কন্যা বিলকিস চৌধুরী বলেন, ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছি। জিয়ার ষড়ন্ত্রমূলক সামরিক অভ্যুত্থানের পর বিভীষিকাময় দিন কাটিয়ে এ পর্যন্ত এসেছি। বেঁচে থাকার সেই সংগ্রাম অনেক কষ্টের ও বেদনার। আমরা আমাদের বাবাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার অপরাধে জিয়ার মরণোত্তর ফাঁসি চাই। প্রধানমন্ত্রী নিশ্চই আমাদের দাবি তিনি পূরণ করবেন।

এসময় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করে ‘শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কেন্দ্রীয় কমান্ড’ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে।

আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বীর বিক্রম মাহবুব উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক বজলুল হক, সাংবাদিক আবেদ খান, ফায়ারিং স্কোয়ার্ডে নিহত সার্জেন্ট দেলোয়ার হোসেনের ছেলে নুরে আলম, মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী লায়লা আরজুমান মানু প্রমুখ। 

/ইউএস/
সম্পর্কিত
ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু
তনু হত্যার ৮ বছর: বিচারের আশা ছেড়ে দিয়েছেন মা-বাবা
মিল্কি হত্যা: এক দশকেও শেষ হয়নি বিচার, ঝুলছে সাক্ষ্য গ্রহণে
সর্বশেষ খবর
এক সপ্তাহের মাথায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরেকজন নিহত
এক সপ্তাহের মাথায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরেকজন নিহত
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!