গায়ক ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা হোসেন সুবহার করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন পিছিয়েছে। প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার উপ-পরিদর্শক গোলসানারা বানু প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। সেজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরা এই দিন ধার্য করেন।
আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা (নারী-শিশু) সাইফুর রহমান এ তথ্য জানান।
এর আগে ৩ জানুয়ারি বনানী থানায় মামলাটি করেন সুবহা।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত বছর সেপ্টেম্বরে সুবহার সঙ্গে ইলিয়াসের পরিচয়। এরপর তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। গত ১ ডিসেম্বর তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের সময় সুবহার পরিবারের পক্ষ থেকে ইলিয়াসের চাহিদা অনুযায়ী ১২ লাখ টাকা মূল্যের রোলেক্স ব্র্যান্ডের ঘড়িসহ ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার পণ্য দেওয়া হয়। কিন্তু এতেও ইলিয়াস সন্তুষ্ট হয় না। এর মাঝে সুবহা জানতে পারেন ইলিয়াসের একাধিক বিয়ে রয়েছে এবং অসংখ্য প্রেমের সম্পর্ক চলমান। এরই মাঝে ইলিয়াস সুবহার কাছে ফ্ল্যাট কেনা বাবদ ৫০ লাখ এবং গাড়ির জন্য আরও ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ৯ ডিসেম্বর ইউটিউব চ্যানেল কেনার জন্য সুবহার মায়ের কাছে আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। তাকে আড়াই লাখ টাকা দেয় সুবহার পরিবার। পরে ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনার জন্য ৮০ লাখ টাকার জন্য চাপ দেয়। এ নিয়ে তাদের মাঝে ঝগড়া হয়। এরই জেরে রাত ৮টার দিকে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে ইলিয়াস। পরদিন আবারও ৮০ লাখ টাকা যৌতুক চায়। এই টাকা দিতে না চাইলে ইলিয়াস সুবহাকে জখম করে। এরপর ইলিয়াস সুবহাকে ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে। এই সুযোগে ইলিয়াস আলমারিতে থাকা ২০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার এবং ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এদিকে সুবহার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
