X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১০ মার্চ ২০২২, ১৮:৪৮আপডেট : ১০ মার্চ ২০২২, ১৯:১৭

সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন চাহিদার পণ্যের দাম যে পর্যায়ে গেছে, তাতে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) ‘এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন। অতিমারি দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষের ওপর এবং এসডিজি সূচকগুলোর ওপর কী প্রভাব ফেলেছে, তার মূল্যায়ন তুলে ধরতে এই সভার আয়োজন করে প্ল্যাটফর্মটি।

দেশের ৪০ জন গবেষকের সঙ্গে আলোচনা করে এই মূল্যায়ন তৈরি করেছে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য উল্লেখ করেন, এই পরিস্থিতিতে পিছিয়ে পড়া মানুষের ক্রয় ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষকে সুরক্ষা দিতে হবে। আয় বাড়াতে হবে, জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

তিনি বলেন, ‘পিছিয়ে পড়া মানুষের সুরক্ষার জন্য এই মুহূর্তে টাকার দরপতন আটকাতে হবে। টাকার দরপতন আটকানো না গেলে আমদানি কমবে। এতে মূল্যস্ফীতি হবে। বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার সময় এসেছে। পাশাপাশি ঋণের হার কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।’

দেবপ্রিয় বলেন, ‘জ্বালানি ও অন্যান্য পণ্যের শুল্ক কর কমাতে হবে। বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া মানুষ বেশি ব্যবহার করে যেসব পণ্য, সেগুলোর আমদানি খরচ কমানোর উদ্যোগ দরকার।’ একইসঙ্গে যারা পিছিয়ে পড়া মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে, তাদের কর রেয়াত দেওয়ার প্রস্তাব করেন তিনি।

টিসিবির সরবরাহ বাড়ানো, খাদ্য, গ্যাস, সারে ভর্তুকি বাড়ানো এবং কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচিসহ অন্যান্য কর্মসূচি বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারকে সাশ্রয়ী হতে হবে। গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষা খাতে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নাগরিক প্ল্যাটফর্মের প্রতিনিধি ফাতেমা ইউসুফ। সভাপতিত্ব করেন হেলথ ওয়ার্কের প্রধান ড. মোস্তাক রেজা চৌধুরী।

দেবপ্রিয় জানান, টিকাদানে কিছুটা হলেও বৈষম্য হয়েছে। টিকার প্রথম ডোজ ঢাকা বিভাগের মানুষ সবচেয়ে বেশি পেয়েছে। সবচেয়ে কম পেয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে। এ থেকে বোঝা যায়, যেখানে আয়-ব্যয় সম্পদ কেন্দ্রীভূত, সেখানে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ায় বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে খুলনা বিভাগ সবচেয়ে এগিয়ে, অন্য বিভাগগুলো পিছিয়ে। 

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এসডিজির এমন কোনও অভীষ্ট নেই, যেখানে এই অতিমারির নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। তবে প্রথাগতভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের ওপরে এই প্রভাব অনেক বেশি। নতুনভাবে যারা পিছিয়ে পড়েছে, তাদের ওপর অনেক প্রভাব ফেলেছে।’

তিনি বলেন, ‘অতিমারির প্রভাব অন্তত তিন বছর থাকবে। তিন বছরের বেশিও হতে পারে। বিশেষ করে বয়স্ক শিশু, চর, হাওর অঞ্চলের মানুষ, আদিবাসী, দলিত ও প্রতিবন্ধীদের ওপর প্রভাব সবচেয়ে বেশি।’

 

/জিএম/এপিএইচ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
টিভিতে আজকের খেলা (২ মে, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (২ মে, ২০২৪)
ঘরের মাঠে পিএসজিকে হারিয়ে এগিয়ে থাকলো ডর্টমুন্ড
চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালঘরের মাঠে পিএসজিকে হারিয়ে এগিয়ে থাকলো ডর্টমুন্ড
ইজিবাইক ছিনতাইয়ের সময় স্থানীয়দের পিটুনিতে একজনের মৃত্যু
ইজিবাইক ছিনতাইয়ের সময় স্থানীয়দের পিটুনিতে একজনের মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
সিয়াম-পরীর গানের ভিউ ১০০ মিলিয়ন!
সিয়াম-পরীর গানের ভিউ ১০০ মিলিয়ন!