রাজধানীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত গুলশান, বারিধারা, বনানী ও ধানমন্ডি। এসব এলাকার ফুটপাত ধরে হাঁটলে কিছুটা দূরে-দূরেই দেখা মিলবে ছোট ছোট ‘বাহারি স্টল’। দেশি-বিদেশি সিগারেটের মোড়ক দিয়ে স্টলগুলো এমনভাবে সাজানো স্টল, যা আপাত দৃষ্টিতে মনে হবে সুস্বাদু ফল বিক্রির দোকান। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশে এমন স্টল আরও বেশি দেখা যায়। ফুটপাতে অবাধে এমন সুসজ্জিত স্টল দেখে আপনার মনে খটকা লাগতেই পারে, দেশে যেখানে পাবলিক প্লেসে ধূমপানই নিষিদ্ধ, সেখানে উন্মুক্তভাবে পসরা সাজিয়ে দেশি-বিদেশি সিগারেট বিক্রি হচ্ছে কীভাবে? উত্তর সোজা, দেশে আইন আছে, কিন্তু তার প্রয়োগ খুব কম। এর পাশাপাশি আইনের ফাঁকফোকর দিয়েই সিগারেটের এমন অভিজাত উপস্থাপন হচ্ছে জনসম্মুখে। যা দেখে আকৃষ্ট হচ্ছে দেশের তরুণরা, প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে নতুন ধূমপায়ী।
সকাল থেকে রাত অবধি এসব স্টলে সববয়সী মানুষের ভিড় লেগেই থাকে। বিক্রেতাদেরও দম ফেলার সুযোগ নেই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব স্টল মূলত তামাকজাত পণ্যের একধরনের প্রচারনা। যা আইনের ‘ফাঁক ফোকর’ ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চালিয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে রাজধানীর সাতমসজিদ সড়ক ধরে শঙ্কর থেকে সিটি কলেজ পর্যন্ত হেঁটে দেখা গেছে, দুপাশের ফুটপাতে এমন অন্তত ৩৯টি স্টল রয়েছে। যানজটের এই নগরীর বাসিন্দাদের হাঁটার একটুখানি ফুটপাত দখল করেই গড়ে উঠেছে এসব স্টল। এই স্টলগুলোর মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব স্টলের কাঠামো সিগারেট কোম্পানিগুলো থেকেই তাদের সরবরাহ করেছে। আর তারা ফুটপাতে বিভিন্ন ‘কর্তৃপক্ষকে’ দৈনিক হারে চাঁদা দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। শুধু তাই নয়, অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব স্টলের বেশিরভাগেই রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগও। সাধারণত পাশের দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চমূল্য দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগও নেন তারা।
শুধু তাই নয়, সিগারেট আরও সহজলভ্য করতে আছে ভ্রাম্যমাণ ফেরিওয়ালাও। তারা যানজটে আটকে থাকা গাড়িকে টার্গেট করে মূলত সিগারেট ফেরি করে বিক্রি করেন।
বিদেশি সিগারেটের অবৈধ বাজার
এসব স্টলে ৯ থেকে ১১ ধরনের বিদেশি সিগারেট পাওয়া যায় (সম্পাদকীয় নীতির কারণে এসব সিগারেটের নাম প্রকাশ করা হলো না)। এগুলোর একেকটিতে একেক ধরনের কৃত্রিম ঘ্রান রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতা।
শঙ্করের একটি স্টলের মালিক খায়রুল ইসলাম। গত বুধবার (২০ এপ্রিল) এই প্রতিবেদকের সঙ্গে তার কথা হয়। খায়রুল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘৯ বছর ধরে আমি এই ব্যবসা করি। এক সময় কেবল দেশি সিগারেট বিক্রি করতাম। তবে এখন দেশি সিগারেটের চেয়ে বিদেশি সিগারেটের দাম কম। তাই বিদেশি সিগারেটের চাহিদা বেড়েছে। এজন্য এখন সাত-আট ধরনের বিদেশি সিগারেট রাখি।’
অনুসন্ধানে জানাগেছে, বাংলাদেশে যেসব বিদেশি সিগারেট পাওয়া যায়, তার বেশিরভাগই নকল এবং চোরাই পথে দেশে প্রবেশ করে। লাগেজ পার্টি এসব বিদেশি সিগারেট দেশে নিয়ে আসে। এরপর তারা এসব স্টলে স্টলে সরবরাহ করে। রাজধানী ছাড়াও এখন প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলেও মিলছে এসব বিদেশি সিগারেট।
বিদেশি সিগারেটের গায়ে নেই ধূমপানবিরোধী সতর্কীকরণ বার্তা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আমদানিনীতির আদেশ অনুযায়ী সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে বাংলায় ধূমপানবিরোধী সতর্কীকরণ বার্তা ব্যতীত বিদেশি সিগারেট আমদানি করা নিষিদ্ধ। অথচ দেশের চোরাকারবারি চক্র বিদেশ থেকে কৌশলে স্থল ও আকাশপথে সতর্কীকরণ বার্তা ছাড়া সিগারেট নিয়ে আসছে। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা হচ্ছে বলে এসব সিগারেটের দামও অনেক কম।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেওয়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক চিঠির সূত্রে জানা গেছে, সিগারেট খাত থেকে সরকারের আয়ের খাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে চোরাচালানের মাধ্যমে আসা বিদেশি সিগারেট। চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ ২০টিরও বেশি দেশ থেকে ৪০ ব্র্যান্ডের বিদেশি সিগারেট বিভিন্ন বন্দর হয়ে চোরাইভাবে দেশে প্রবেশ করে। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকির পাশাপাশি সরকারকে রাজস্ব হুমকির মধ্যে ফেলেছে।
বিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশি সিগারেটের প্যাকেটে সতর্কীবার্তা ছোট
দেশে তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা চালু থাকলেও তামাকের ব্যবহার নিরুৎসাহিতকরণে তা যথেষ্ট কার্যকরী নয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে তামাকপণ্যের প্যাকেটে ৮৫ ভাগ জায়গাজুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা মুদ্রণ করা হয়। নেপালে এটি ৯০ ভাগ। অথচ বাংলাদেশে তা মাত্র ৫০ ভাগ। তাছাড়া তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট, মোড়ক, কার্টন বা কৌটার আকার, আয়তন কেমন হবে এবং এরমধ্যে ন্যূনতম কী পরিমাণ তামাকজাত দ্রব্য, শলাকা থাকবে তা আইনে উল্লেখ নেই।
অন্যদিকে আইনের ১০নং ধারা অনুযায়ী, তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে উপরের অংশে ৫০ শতাংশ জায়গাজুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা মুদ্রণ বাধ্যতামূলক। কিন্তু কোম্পানিগুলো উপরের অংশে নিজেদের ব্র্যান্ডিং করে নিচের অংশে ৫০ শতাংশ জায়গায় সতর্কবার্তা মুদ্রণ করছে। যা অপেক্ষাকৃত কম কার্যকরী।
কৌশলে হচ্ছে তামাকের বিজ্ঞাপন
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে বিজ্ঞাপনের বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন দেওয়া থেকে কোম্পানিগুলোকে দূরে রাখতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে কোম্পানিগুলো এক্ষেত্রে বিভিন্ন কৌশলের আশ্রয় করছেন। তারা তাদের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ‘ম্যান টু ম্যান’ ফর্মুলায়। শহর ও নগরের জনবহুল এলাকায় তারা কিছু তরুণ-তরুণীকে নামিয়ে দেন। যারা ধূমপায়ীদের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট বিনামূল্যে বিতরণ করে থাকেন। তারপর সিগারেটের গুণাগুণ বর্ণনা করে থাকে। এভাবে সিগারেটের প্রচারণা চালায়।
এছাড়াও বিভিন্ন মুদি দোকান ও ফুটপাতের স্টলগুলোতে তারা নিজেদের ব্র্যান্ডের সিগারেটের মোড়কের আদলে ডেস্ক বা স্টল তৈরি করে দেন বিনামূল্যেই। এসব স্টলে নিজেদের নাম না লিখলেও বুঝতে অসুবিধা হবে না, সেটা কোন কোম্পানির দেওয়া। এমনকি তামাকজাত পণ্য বা সিগারেটের ছবি সংবলিত টি-শার্ট, শার্ট দোকানদার, ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের উপহার দেয় কোম্পানিগুলো। এসব গায়ে দিলেই কোম্পানিগুলোর বিজ্ঞাপন হয়ে যাচ্ছে।
তামাক কোম্পানিগুলো আইন লঙ্ঘন করলেও দোকানদারদের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রদান করায় সরাসরি কোম্পানিগুলোকে ধরা যায় না। অধিকাংশ সময় কোম্পানিগুলো ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়। এ ক্ষেত্রে আইন লঙ্ঘনকারী কোম্পানিগুলোকে সরাসরি শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন।
তামাক মুনাফায় আসক্তি বাড়ছে রাষ্ট্র ও কোম্পানির
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ৫৬তম সম্মেলনে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার জন্য ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এসসিটিসি) নামীয় কনভেনশনে বাংলাদেশ ২০০৩ সালের ১৬ জুন স্বাক্ষর এবং ২০০৪ সালের ১০ মে অনুস্বাক্ষর করে। এর আলোকে ২০৪০ সালে দেশকে তামাকমুক্ত করার যে ঘোষণা দেয় সরকার। তবে পরিসংখ্যান বলছে, এই ঘোষণার পর প্রতিবছরই তামাকজাত পণ্য ব্যবহার ও উৎপাদন বেড়েছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বাংলাদেশের বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল- এফসিটিসি’র বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা অনুপস্থিত রয়েছে। বিশেষকরে পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে স্মোকিং জোন, বিক্রয়স্থলে তামাকপণ্য প্রদর্শন এবং তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি (সিএসআর) প্রভৃতি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ না থাকায় আইনটি শক্তভাবে কার্যকর হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস) ২০১৭ এর তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ (৩ কোটি ৭৮ লাখ) তামাক (ধূমপান ও ধোঁয়াবিহীন) ব্যবহার করেন। আর ধূমপান না করেও প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ বিভিন্ন পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র ও পাবলিক পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন।
তিন আইনে এখনও তামাক অত্যাবশকীয়
আইনগত ত্রুটি ও দুর্বলতার কারণে দেশে সিগারেটসহ তামাকজাতীয় পণ্যের বিপণন ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। একদিকে তামাকপণ্য নিয়ন্ত্রণে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন রয়েছে, অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সিগারেটকে গুরুত্বপূর্ণ দ্রব্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এমন আরও দুটি প্রচলিত আইন রয়েছে, যেখানে তামাককে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে একটি রাষ্ট্রপতির পারিপার্শিক আইনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির বাড়ির জন্য যে তামাক দেওয়া হবে তা ট্যাক্স ফ্রি, যা তামাককে উৎসাহিত করা হয়েছে। এছাড়াও কৃষি বিপণন আইন হয়েছে ২০১৮ সালে। এই আইনে তামাককে অর্থকরী ফসল বলা হয়েছে। অথচ ২০০৫ সালে দেশে তামাকবিরোধী আইন হয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারি নীতি দ্বিমুখী।
করণীয়
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করতে সকল পাবলিক প্লেসে, কর্মক্ষেত্র ও পাবলিক পরিবহনে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ রাখার বিধান বিলুপ্ত করা এবং বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করাসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছে বিশেষজ্ঞরা।
এছাড়াও, গবেষণায় এর আওতায় অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থেকে সিগারেটকে বাদ দেয়া, তামাকপণ্য ক্রয়-বিক্রয়ে জড়িত ব্যক্তির বয়স ১৮ থেকে বৃদ্ধি করে ২১ বছর নির্ধারণ, সকল সুগন্ধিযুক্ত তামাকপণ্যে ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ, তামাকপণ্যের ‘ব্র্যান্ড শেয়ারিং’ নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে ওয়ার্ক ফর বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট।
সংস্থাটির হেড অব প্রোগ্রাম সৈয়দা অনন্যা রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তামাক বিরোধী আইন থাকলেও কিছু আইনে তামাককে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যা এই আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং সরকারের দ্বিমুখী নীতি ফুটে উঠেছে। এগুলো ঠিক করতে হবে। তাহলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালে তামাকমুক্ত দেশ হবে।’
তিনি বলেন, ‘তামাকমুক্ত দেশ গড়তে চাইলে আমাদের আইনের বাস্তবায়ন করতে হবে। সরকারি নীতিমালা ও বিধিমালা তৈরিতে কোম্পানির হস্তক্ষেপ বন্ধ করাতে হবে।’
তামাক কোম্পানির ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি’ বা সিএসআর কার্যক্রমসহ সব ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা, সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধি করে ন্যূনতম ৮৫ শতাংশ নির্ধারণসহ তামাকপণ্য মোড়কজাতকরণে কঠোর বিধিনিষেধ (প্লেইন প্যাকেজিং) আরোপ করা, বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা এবং প্যাকেটবিহীন জর্দা-গুল বিক্রয় নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টস (এইচটিপি) ও নিকোটিন পাউচসহ সকল ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস আমদানি, উৎপাদন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করাও প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
সরকার কী ভাবছে?
সার্বিক বিষয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী হোসেন আলী খোন্দকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে যুক্ত করে, তামাকমুক্ত দেশ গড়তে কাজ করার। তামাক উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাত করাসহ বিভিন্ন ধাপে ভিন্ন ভিন্ন মন্ত্রণালয় জড়িত। সবাইকে নিয়ে কাজ করছি। আশা করছি, আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।’