২০২৫ সালের মধ্যে দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা স্বয়ংক্রিয় (অটোমেশন) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন’ নামে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ভূমির মালিকানা প্রমাণের জন্য অনেকগুলো দলিলপত্রের পরিবর্তে একটি ‘ভূমি মালিকানা সনদ’ তথা ‘সার্টিফিকেট অব ল্যান্ড ওনারশিপ’ চালুর পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের।
রবিবার (২২ মে) ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ কোটি ৮ লক্ষ সুবিধাভোগী অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন। তিন কোটি জমির তথ্য ইতোমধ্যে ডিজিটালে রূপান্তর হয়েছে। প্রায় ৭০ শতাংশ নাগরিক স্বচ্ছভাবে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করেছেন। অন্তত ৫০ শতাংশ নাগরিকের হয়রানি কমেছে।
প্রতিদিন ৩০-৪০ লাখ টাকা তাৎক্ষণিকভাবে সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
ভূমি মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ভূমি সংস্কার আইন, ভূমি উন্নয়ন কর আইন এবং হাট ও বাজার (স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা) আইন ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদন পেয়েছে।
এছাড়া ভূমি মালিকানা ও ব্যবহার আইন এবং ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকারসহ বেশ কিছু প্রয়োজনীয় আইন শিগগিরই মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।
এতে করে ভূমি রাজস্ব মামলা ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের উদ্দেশ্য সফল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে—সকল অভ্যন্তরীণ মামলা (মিস কেস, রিভিউ ও রেন্ট সার্টিফিকেট) একই প্ল্যাটফর্মে পরিচালনা করা, অনলাইনে মামলার অবস্থা মনিটর ও সুপারভাইজ করা, দেওয়ানি মামলা ব্যবস্থাপনা ও একটি পরিপূর্ণ ডাটাবেজ তৈরি করা।
এছাড়া, বিভিন্ন জনবহুল এলাকা যেমন স্টেশন, বিপণী-বিতান, উপজেলা অফিস কমপ্লেক্স, ইত্যাদি জায়গায় ভূমিসেবা কিয়স্ক স্থাপনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। নাগরিকরা সেখানে প্রয়োজনীয় ফি’র বিনিময়ে জমির খতিয়ান ও ম্যাপ প্রিন্ট করতে পারবেন। দিতে পারবেন ভূমি উন্নয়ন কর। এছাড়া জানা যাবে নামজারি আবেদনের আপডেট।