জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বেড়েছে গণপরিবহনের ভাড়া। নতুন ভাড়া কার্যকর হয়েছে আজ রবিবার (৭ আগস্ট) থেকে। প্রথম দিনে নতুন ভাড়া নিয়ে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে হরহামেশাই ঘটছে বাকবিতণ্ডার ঘটনা। নির্ধারিত ভাড়ার বেশি আদায়ের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। এ নিয়ে হাতাহাতির ঘটনাও চোখে পড়েছে।
এর আগে শুক্রবার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির পর গতকাল শনিবার রাজধানীতে গণপরিবহনের সংকট দেখা দেয়। আজ ভাড়া বাড়লেও এখনও সব বাস সড়কে নামেনি। এদিকে রবিবার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে বাস সঙ্কটে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। তবে রাজধানীর কোনও কোনও এলাকায় আবার ভিন্ন চিত্রও দেখা গেছে। কোথাও কোথাও যাত্রীর সংখ্যা কম থাকায় বাসও খালি যেতে দেখা গেছে।
গণপরিবহনের ভাড়া নিয়ে বাহাসে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছেন যাত্রী এবং পরিবহন শ্রমিকরা। যাত্রীরা বলছেন, ভাড়া বাড়ানো হয়েছে কিলোমিটার প্রতি ৩০ পয়সা। কিন্তু বাড়তি ভাড়া চাওয়া হচ্ছে, দেড়গুণ-দুইগুণ।
গণমাধ্যমকর্মী শফিকুল ইসলাম বলেন, মূলত গন্তব্যের দূরত্ব জানা না থাকায় বেশি সংকটে পড়তে হচ্ছে। যাত্রীরা সঠিক দূরত্ব জানেন না, এই সুযোগে ইচ্ছেমতো ভাড়া চাইছেন বাসের কন্ট্রাক্টর।
আকাশ পরিবহনের একটি বাসে উত্তরা থেকে মালিবাগ এসেছেন আরজু মিয়া নামে এক যুবক। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, খবরে দেখলাম সরকার প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়িয়েছে ৩০ পয়সা। সেই হিসাবে উত্তরা থেকে মালিবাগের দূরত্ব ১৬ কিলোমিটার হলেও ভাড়া বাড়ার কথা ৪ টাকা ৮০ পয়সা। কিন্তু ভাড়া বেশি চাওয়া হচ্ছে ২০-৩০ টাকা বেশি।
উজ্জ্বল শেখ নামে আরেক যাত্রী বলছিলেন, বাসে উঠে দেখছি হিসাব ছাড়াই বেশি ভাড়া কাটছেন কনটাক্টর। এর প্রতিবাদ করলেই বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। আমার একার সঙ্গে নয়, অনেকের সঙ্গেই একই ঘটনা ঘটতে দেখেছি বাসে।
মিরপুর থেকে শেকড় পরিবহনে শাহবাগে আসা অনিক আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সরকার নির্ধারিত নতুন ভাড়ার পরও নামছে না পরিবহনগুলো। আর যেগুলো নেমেছে কিলোমিটার প্রতি এক টাকারও বেশি বাড়িয়ে নিচ্ছে তারা। অল্প দূরত্বের ক্ষেত্রে ৫ টাকা করে বেশি নিতে দেখেছেন তিনি। নতুন ভাড়ার চার্টও এখনও দেওয়া হয়নি।
একই ধরনের অভিযোগ মিলেছে গাজীপুর-সায়েদাবাদ রুটে চলাচল করা বলাকা পরিবহনের বিরুদ্ধেও। এ বিষয়ে জানতে চাইলে একটি বাসের কনট্রাক্টর বলেন, নতুন ভাড়ার চার্ট এখনও তাদের মালিকরা দেয়নি। সে জন্য আন্দাজ করে ভাড়া কাটছেন তারা।