করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমে আসায় দুই বছর বিরতির পর আবারও রাজধানীতে তাজিয়া মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন ইবনে আলী (রা.) হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম কারবালার ফোরাত নদীর তীরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শাহাদাত বরণ করেন। এই শোক ও স্মৃতিকে স্মরণ করে সারা বিশ্বের মুসলিমরা আশুরাকে ত্যাগ ও শোকের দিন হিসেবে পালন করেন।
মিছিলের সম্মুখভাগেই বহন করা হয় ইমাম হোসেনের সমাধির আদলে প্রতীকী সমাধি।
অনেকেই বিভিন্ন মান্নত করে প্রতীকী সমাধিতে কবুতর, হাঁস ও মুরগী দান করছেন।
আবার ঘোড়ার পায়ে দেওয়া দুধ অনেকেই নানা নিয়তে পান করছেন, কেউ বা শরীরে মাখছেন।
রঙ-বেরঙের পতাকা দিয়ে রঙিন করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মিছিল।
মিছিলে একটি দল বাঁশের লাঠির আগায় নানা রকম পতাকা বহন করছেন।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন ইবনে আলী (রা.) হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম কারবালার ফোরাত নদীর তীরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শাহাদাত বরণ করেন। এই শোক ও স্মৃতিকে স্মরণ করে সারা বিশ্বের মুসলিমরা আশুরাকে ত্যাগ ও শোকের দিন হিসেবে পালন করেন।
মূলত ইমাম হোসেন (রা.) এর সমাধির প্রতিকৃতি নিয়ে এই মিছিল হয়। আরবি ‘তাজিয়া’ শব্দটি শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করতে ব্যবহার করা হয়।
দেশে শিয়া সম্প্রদায় মহরম মাসের প্রথম দশদিন শোক স্মরণে নানা কর্মসূচি পালন করে
মিছিলে অংশ নেয় দুইটি ঘোড়া। এরমধ্যে একটি ঘোড়ার পা দুধ দিয়ে ধুয়ে দিয়েছেন ভক্তরা।
মিছিলকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
কালো জামা পরিধান করে মিছিলে বুক চাপড়ে, মাতম করে শোক প্রকাশ করেন শিয়ারা।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজধানীর পুরান ঢাকার হোসেনি দালান থেকে এ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি আজিমপুর-নিউমার্কেট হয়ে ধানমন্ডির ঝিগাতলায় গিয়ে শেষ হয়।