অস্ত্র মামলায় এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম (জি কে শামীম) ও তার সাত দেহরক্ষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে মামলাকে ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছেন ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত আলোচিত এই ঠিকাদার।
রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল এই রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার পর আদালত থেকে তাকে পুলিশে পাহারায় কারাগারে নেওয়ার পথে সাংবাদিকরা ছবি তুলছিলেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘এ মামলা অবশ্যই ষড়যন্ত্র। একটি স্বার্থান্বেষী মহলের গভীর চক্রান্ত।’ এ সময় দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে আর কোনও কথা বলতে নিষেধ করেন।
এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে তাদের আদালতের কাঠগড়ায় হাজির করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই রায় পড়া শুরু করেন বিচারক।
এর আগে, গত ২৮ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজ রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেন।
২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর অস্ত্র মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে র্যাব। ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠন করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে রাজধানীর নিকেতনে শামীমের বাসা ও অফিসে র্যাব অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর এবং নগদ প্রায় ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং মদ জব্দ করে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা করা হয়।