X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মৃদু হাসি দিবস মানে কি নিজে হাসা?

উদিসা ইসলাম
০৭ অক্টোবর ২০২২, ১৪:৩৯আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০২২, ১৭:৪৭

যে শিশুটি ফুল হাতে রাস্তায় নেমেছে, রোদে বৃষ্টিতে যে কেবল সারা দিনের খাবার সংগ্রহের কাজ করে, তার জীবন বদলে দিতে যদি এমন কিছু করেন— যা তার মুখে হাসি ফোটায়, জীবনের মানে বদলে দিতে পারে। যে ‘অসহায়’ মানুষটি জীবনকে হারিয়ে ফেলেছে জীবনের বাঁকে, তাকে আপনি মৃদু হাসি দিয়ে ফিরিয়ে আনুন। এমন কিছু করুন যাতে আপনার মিষ্টি হাসিটি তার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণ খুলে হাসুন না বলে এমন কিছু করুন, যাতে অন্তত একজনের মুখে হাসি ফেরাতে পারেন। সেই হাসি ছড়িয়ে যাক বিশ্ব হাসি দিবসে।

শুরুটা যেভাবে

ম্যাসাচুসেটসের একজন শিল্পী হার্ভে বল ১৯৬৩ সালে হাস্যোজ্জ্বল মুখচ্ছবি তৈরি করে এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে সুপরিচিত। সেই চিত্রটি এই বিশ্বে ভালো চাওয়া এবং আনন্দ উল্লাসের সবচেয়ে স্বীকৃত প্রতীক হয়ে ওঠেছে।সঙ্গে সঙ্গে হার্ভে বল তার প্রতীকের অত্যধিক বাণিজ্যিকীকরণ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন এবং বাজারের ক্রমাগত পুনরাবৃত্তিতে কীভাবে এর আসল অর্থ এবং উদ্দেশ্য হারিয়ে যাচ্ছিল, তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন।

সেই উদ্বেগ থেকে বিশ্ব হাসি দিবস-এর বিষয়টি তার মাথায় এসেছিল। হাস্যোজ্জ্বল মুখ কোনও রাজনীতি, কোনও ভূগোল এবং কোনওি ধর্ম মানে না। তিনি ঘোষণা করেন যে, প্রতি বছর অক্টোবরের প্রথম শুক্রবারটি হবে বিশ্ব হাসি দিবস।

কেন অন্যের মুখে হাসি ফোটাবেন

গবেষণা বলছে, হাসি মানসিক চাপ কমিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। হাসি ব্যক্তির ব্যক্তিত্বকে সামনে আনে। সামনের জনের হাসি দেখলেই আপনি প্রাথমিক আন্দাজ পান, তার মনে আপনাকে নিয়ে কী খেলছে। পরিবার স্বজন পরিচিত অপরিচিত মানুষের সঙ্গে চোখাচোখি হলে এই স্মিত হাসি যেগাযোগ সহজ করে দেয় এবং স্বস্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। সমাজ গবেষকরা বলছেন, কারোর মুখে হাসি ফোটানো খুব সহজ এবং আপনার কারণে যদি কারোর মুখে হাসি ফোটে, তবে সে সম্পর্ক দৃঢ় হয়।

মৃদু হাসি কীভাবে সমানুভূতি তৈরি করে

মনোবিশ্লেষকরা বলছেন, হাসার কারণে মস্তিষ্কের বিশেষ এক রাসায়নিক পদার্থ মানুষকে ভালো অনুভূতি দেয়। এটি এক ধরনের ব্যায়ামও বটে। কেউ যদি কোনও কিছু নিয়ে উদ্ধিগ্ন থাকেন, তাহলে হাসি তা দূর করে দিতে পারে। আর সে কারণেই কমেডি শো, স্যাটায়ার শো-এর উৎপত্তি। জটিল বিষয়গুলোও যেনো হাসি মুখে শোনার সাহস তৈরি হয়। তারা মনে করেন, মানুষের মানসিক বা শারীরিকভাবে অসুস্থ মানুষকে খোশ মেজাজে রাখতে পারলে দ্রুত সেরে ওঠেন এবং সেজন্য হাসির বিকল্প নেই। মনোরোগ বিশ্লেষক ডা. তাজুল ইসলাম মনে করেন, হাসি ও কান্না সমান সংক্রামক। হাসি আপনাকে ইতিবাচক ভাবনা ভাবতে সহায়তা করে। বিপর্যস্ত কোনও মানুষের কথা যদি হাসি মুখে শুনতে চান, তবে সে তখনই সমস্যা থেকে বের হতে মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়। আর বাকিটা সম্ভব হয় নিয়মিত যোগাযোগ আর কথা শোনার মধ্য দিয়ে।

/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘শো মাস্ট গো অন’
চিকিৎসা সুরক্ষা আইন জরুরি‘শো মাস্ট গো অন’
ছাদে আম পাড়তে গিয়ে নিচে পড়ে শিশুর মৃত্যু
ছাদে আম পাড়তে গিয়ে নিচে পড়ে শিশুর মৃত্যু
বেয়ারস্টো-শশাঙ্কে হেসেখেলে ২৬২ রান করে জিতলো পাঞ্জাব
বেয়ারস্টো-শশাঙ্কে হেসেখেলে ২৬২ রান করে জিতলো পাঞ্জাব
ফরিদপুরে দুই শ্রমিক হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে খেলাফত মজলিসের মিছিল
ফরিদপুরে দুই শ্রমিক হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে খেলাফত মজলিসের মিছিল
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!