গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বোধিজ্ঞান ও মহাপরিনির্বাণ (মৃত্যু) লাভ—এ তিন ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত দিবস হলো বৈশাখী পূর্ণিমা। বৌদ্ধ ধর্মমতে, আড়াই হাজার বছর আগে এই দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আবির্ভূত হয়েছিলেন। ‘জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক’ এই অহিংস বাণীর প্রচারক গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে এর (বৈশাখী পূর্ণিমা) অপর নাম দেওয়া হয় ‘বুদ্ধপূর্ণিমা’। বিশ্বের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর কাছে এটি বুদ্ধপূর্ণিমা নামেই পরিচিত। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব এটি।
বাংলাদেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরাও উৎসব, উদ্দীপনা আর উৎসবের আমেজে দিনটি পালন করছেন। রাজধানীসহ দেশজুড়ে বৌদ্ধ বিহারগুলোতে বুদ্ধপূজা, প্রদীপ প্রজ্বালন, শান্তি শোভাযাত্রা, ধর্মীয় আলোচনা সভা, প্রভাত ফেরি, সমবেত প্রার্থনা, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
দেশের বিভিন্ন জায়গার মতো রাজধানীর বাসাবো বৌদ্ধমন্দিরে এ দিবস উপলক্ষে বিশ্বের সব অশান্তি দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং মানবজাতির সর্বাঙ্গীণ শান্তি ও মঙ্গল কামনা করেছেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা।