ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনে চলমান মামলা স্থগিত চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া কয়েকজন নোবেলজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সুশীলসমাজের ১৬০ জন বিশ্বনেতার চিঠির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ ৫৫৫ জন শিক্ষক ও চিকিৎসক। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে শিক্ষক ও চিকিৎসকদের পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৪(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, দেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকে। ফলে অযাচিতভাবে বিচারাধীন মামলার বিষয়ে এ ধরনের বিবৃতি বা চিঠি প্রদান স্বাধীন বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপ, যেটা সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হুমকিস্বরূপ। তদুপরি, এ ধরনের বিবৃতি শ্রমিকদের প্রদত্ত অধিকার সংক্রান্ত আইনি বিধানাবলির সম্পূর্ণ পরিপন্থী।’
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘আবার একই চিঠিতে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে যে মন্তব্য করা হয়েছে, তা স্বাধীন, সার্বভৌম একটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল। বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকা সত্ত্বেও রাজনীতি ও বিচার বিভাগকে এক করে ঘোলাজলে মাছ শিকার করার প্রচেষ্টা আমাদেরকে ব্যথিত করছে।’
মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশে এ ধরনের অযাচিত ও বেআইনি হস্তক্ষেপ, দেশের সব নাগরিকের সঙ্গে চিকিৎসক সমাজও এহেন বিবৃতিকে কখনোই মেনে নেবে না।’ এ ধরনের বিবৃতির পেছনে গোপন ও দুরভিসন্ধিমূলক রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিহিত রয়েছে বলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও চিকিৎসক সমাজ মনে করে।