জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল কাদিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে এ অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগটি করেছেন শ্যামপুরের বাসিন্দা আমান উল্লাহ। দুদকের এনফোর্সমেন্ট বিভাগে দেওয়া অভিযোগে তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল কাদির নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগের সঙ্গে তার সম্পদের সংক্ষিপ্ত তালিকা দিয়ে একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে কীভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, তার অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
তালিকা অনুযায়ী সম্পদের বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল কাদির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মজিব টাওয়ার নামে যে সম্পদের বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে— সেটা জমির মালিকের সঙ্গে শেয়ারে একটা বিল্ডিং। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে ঝামেলা হয়। সেই ঝামেলার কারণেই তারা দুদকে অভিযোগটা করেছেন। মজিব টাওয়ারে তার মাত্র একটা শেয়ার আছে বলেও জানান তিনি।
৩৬ জন মিলে সাত কাঠা জমিতে মজিব টাওয়ার বিল্ডিং করা হয় উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, তার শেয়ারে খরচ পড়েছে ২০ লাখ টাকা। তিনি ৩৬ জনের একজন।
এছাড়াও ‘দখিনালয়’ নামে আরেকটি ভবনেও তার একটি শেয়ার আছে বলে স্বীকার করেন আব্দুল কাদির। তিনি বলেন, এই বিল্ডিংটি এখন মাত্র দোতলা পর্যন্ত হয়েছে। আর অভিযোগে শনির আখড়া সম্পত্তির কথা বলা হয়েছে, কিন্তু সেখানে তার কোনও সম্পত্তি নাই। বসুন্ধরা রিভারভিউতে ২০১৪ সালে একটা জমি ১৮ জন মিলে কিনেছিলেন। তার শেয়ার ৪ লাখ টাকা বলে জানান।
অভিযোগে উল্লেখ করা মোহাম্মদবাগ চৌরাস্তায় ‘হোম ইন বাংলা’য় সম্পদের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেখানে ২৭ জনে মিলে ৫ কাঠা জমি কিনেছেন। যে শেয়ারের দাম পড়েছে ৪ লাখ টাকার মতো।
তিনি বলেন, তার ৬০ লাখ টাকা ব্যাংক ঋণ আছে। সব কিছু ট্যাক্স ফাইলে দেওয়া আছে। নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একজন ডেপুটি ডাইরেক্টর পরিচয় দিয়ে বলেন, প্রতি মাসে তিনি বেতন পান ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। গ্রামের বাড়ি শরিয়তপুরেও পৈত্রিক সম্পত্তি রয়েছে।