X
রবিবার, ২৬ মে ২০২৪
১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলা: রিজভী ও সোহেলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য শুরু

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:০৩আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:০৩

পুলিশ কনস্টেবল শামীম হত্যা মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার বাদী পুলিশের উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হলো।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ জাহানারা ফেরদৌসের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। এরপর আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল বিষয়টি জানিয়েছেন।

এ মামলার অপর আসামিরা হলেন— বিএনপির কর্মী আব্দুস সাত্তার, শাহ আলম, আনোয়ার হোসেন টিপু আলফাজ ওরফে এলাইস আব্বাস ও রফিক।

২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি রাজধানীর রমনা মডেল থানা এলাকায় বিএনপি, জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা ককটেল বোমাসহ মিছিল করে। এ সময় পুলিশের বাসে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে পুলিশ কনেস্টেবল শামীম মারা যান। এ ঘটনায় ১৮ জানুয়ারি উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. আলী আক্কাছ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটে বলা হয়েছে, আসামি আনোয়ার হোসেন টিপু ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন। তিনি নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হওয়ার জন্য এবং আসামি মোহাম্মদ হোসেন নিউমার্কেট থানাধীন ১৮ ওয়ার্ডের সভাপতি হওয়ার জন্য এবং আসামি সাত্তার নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার জন্য ২০ দলীয় জোটের অবরোধ  বেগবান করার উদ্দেশ্যে, দলের হাই কমান্ডের কাছে অবস্থান সুসংহত করতে বিভিন্ন ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করে। তারই ধারাবাহিকতায় তাদের কর্মসূচির মধ্যে নাশকতা সৃষ্টি করে পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য পুলিশের ওপর আক্রমণ করে গাড়ি পোড়ানোসহ বিভিন্ন প্রকার সহিংসতা আরম্ভ করে। যার ফলে ২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি আসামি হোসেন, সাত্তার, রফিক ও আলফাজ চারজন মিলে শাহবাগে একত্রিত হয়। সেখানে চা খেয়ে তারা শিশু পার্কের দিকে হাঁটতে থাকে। পার্কের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পর আসামি হোসেন ও সাত্তার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের দিকে হাঁটতে থাকে। তাদের দেখে আসামি রফিকও  একই দিকে হাঁটতে থাকে। রমনা পার্কের রমনা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে বসে পরিকল্পনা করে সাত্তার সেখানে টিপুকে আসতে বলেন। আলোচনার সময় টিপু ও শাহ আলম মোটরসাইকেলে সেখানে আসেন। তখন শপিং ব্যাগ নিয়ে টিপু বসেছিল এবং শাহআলম মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল। আসামি কিগো মোটরসাইকেল থেকে নেমে তাদের চারজনের সঙ্গে কথা বলার ৫/১০ মিনিট পর খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের নুরুজ্জামান জনি সেখানে আসে।

তারপর আলফাজ ও শাহ আলমকে বাইরে রেখে অপর পাঁচজন আলোচনা করে। গাড়ি পোড়ানো ও বিস্ফোরণে কাজের ব্যয়ের জন্য আসামি হোসেনকে অর্থ সরবরাহ করতে বললে সে রাজি হয়। আলোচনার পর আসামি টিপু ব্যাগ থেকে বোমা বের করে রফিকের কাছে দেয়। পরবর্তী সময়ে পুলিশের গাড়ি আসলে আসামি সাত্তার সংকেত দেয়। আসামি টিপু, নুরুজ্জামান ও রফিককে সিগন্যাল দিলে প্রথম টিপু পরপর দুটি পেট্রোল বোমা পুলিশের গাড়ির সামনের গেটের ছুড়ে ভেতরে মারে এবং রফিক ৩/৪ ককটেল বোমা গাড়িতে মারে। এরপর তারা পালিয়ে যায়।

/এমকেআর/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
ভিকারুননিসার ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের রায় স্থগিতের আবেদন
বেনজীরের বাঁচার উপায় কী
আজিজ-বেনজীর সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে কাজ করেছেন: রিজভী
সর্বশেষ খবর
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন আইনমন্ত্রী
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন আইনমন্ত্রী
১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত সত্ত্বেও ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পারাপার
১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত সত্ত্বেও ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পারাপার
চেজ ঝড়ের পর মোটির স্পিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজ জয়
চেজ ঝড়ের পর মোটির স্পিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজ জয়
ধানমন্ডিতে হকারদের সড়ক অবরোধ
ধানমন্ডিতে হকারদের সড়ক অবরোধ
সর্বাধিক পঠিত
ব্যক্তি পর্যায়ের কর হার বাড়বে
ব্যক্তি পর্যায়ের কর হার বাড়বে
এমপি আনার হত্যা: কে এই সিলিস্তা রহমান?
এমপি আনার হত্যা: কে এই সিলিস্তা রহমান?
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যুক্ত হলেন কেএসআরএমের ১ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যুক্ত হলেন কেএসআরএমের ১ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী
বেনজীরের বাঁচার উপায় কী
বেনজীরের বাঁচার উপায় কী
সান ফার্মার নতুন কারখানা উদ্বোধন করলেন সালমান এফ রহমান
সান ফার্মার নতুন কারখানা উদ্বোধন করলেন সালমান এফ রহমান