বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেলসহ ৭৭ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানার নাশকতার মামলা রায় প্রদান না করে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জসিমের উদ্দিনের আদালতে মামলাটি রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে আদালত মামলাটির রায় না দিয়ে আগামী ২০ মার্চ পুনরায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য তারখি ধার্য করেন।
অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শেখ রবিউল আলম রবি, নবী উল্লাহ নবীসহ প্রমুখ।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার তারিখ ধার্য ছিল। ওইদিন তিনি পুরান ঢাকার বকশীবাজারে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে হাজিরা দেন। দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে খালেদা জিয়া আদালত থেকে বের হওয়ার আগেই আসামিরা ওই এলাকার চারদিক থেকে লাঠিসোটাসহ মিছিল নিয়ে আব্দুল গণি রোড অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। পুলিশ তাদের রাস্তা ছাড়তে অনুরোধ করে। তারা তা না শুনে পুলিশের মাইক্রোবাস, বাস, মিনিবাস ও প্রাইভেটকার ভাঙচুর করেন।
এ ঘটনায় ওইদিনই শাহবাগ থানার সাব-ইন্সপেক্টর মোফাখখারুল ইসলাম মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত করে শাহবাগ থানার সাব-ইন্সপেক্টর শাহ আলম মিয়া ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০২৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত ২ জানুয়ারি রায়ের দিন ধার্য করেন। এরপর কয়েক দফা রায়ের তারিখ পিছিয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য তারিখ ধার্য করলেন আদালত।