করোনা মহামারির পর বিমান ভাড়া বেড়েছে এয়ারলাইনগুলোর। এর প্রভাব পড়েছে শ্রম বাজারে। কেন বিমান ভাড়া বেড়েছে— এমন প্রশ্নের জবাবে মধ্য প্রাচ্যের এয়ারলাইন এয়ার অ্যারাবিয়া গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আদেল আব্দুল্লাহ আল আলী বলেছেন, যাত্রীরা মনে করেন বিমান ভাড়া বাড়িয়েছে এয়ারলাইনগুলো, কিন্তু নেপথ্যের কারণ তারা জানেন না। ভাড়ার একটি অংশ এয়ারলাইন পায়, বাকি অংশ বিভিন্ন দেশের ট্যাক্স, জ্বালানিসহ অপারেশনাল খরচ।
তিনি জানান, এছাড়াও করোনার পর অনেক দেশই তাদের আয় বাড়াতে ট্যাক্স বাড়িয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ট্যাক্স ৭০ শতাংশ বেড়েছে। বিমানবন্দরগুলো চার্জ বাড়িয়েছে। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের খরচ বেড়েছে। এসবের প্রভাব পড়েছে ভাড়ার ওপর।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে এয়ার অ্যারাবিয়ার ২০ বছরপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এয়ার অ্যারাবিয়ার গ্রুপ সিইও আব্দুল্লাহ আল আলী বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। নতুন টার্মিনালসহ এভিয়েশন খাতে অগ্রগতি হয়েছে। আর এভিয়েশন খাতে অগ্রগতি হলে একটি দেশের বাণিজ্যও এগিয়ে যায়।’
এয়ার অ্যারাবিয়া বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে ২০০৭ সালে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই এয়ারলাইনটির মূল হাব শারজাহ ও আবুধাবি। বর্তমানে এয়ার অ্যারাবিয়া শারজাহ থেকে চট্টগ্রামে সপ্তাহে ১৭টি। শারজাহ থেকে ঢাকায় ৩২টি, আবুধাবি থেকে চট্টগ্রাম ৩টি, আবুধাবি থেকে ঢাকায় ৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
এয়ার অ্যরাবিয়ার যাত্রা শুরু ২০০৩ সালের অক্টোবরে। বর্তমানে তাদের বহরে রয়েছে ৭৩টি এয়ারবাস এ-৩২০ এবং এ-৩২১ উড়োজাহাজ। এছাড়া ১২০টি এয়ারবাস কেনার চুক্তি করেছে, যা ২০২৫ সাল থেকে বহরে যুক্ত হবে।
বাংলাদেশে ডলার সংকটের কারণে ফ্লাইটে প্রভাব পড়বে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে আদেল আব্দুল্লাহ আল আলী বলেন, ‘ডলার সংকট বিশ্বের অনেক দেশে আছে। বাংলাদেশসহ আফ্রিকার কিছু দেশে আমরা এ সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি। ব্যবসায় এ ধরনের নানা সংকট আমাদের মোকাবিলা করতে হয়। আমরা এসব সমস্যা মোকাবিলা করেই আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এর প্রভাব ফ্লাইটের ওপর পড়বে না।’
এয়ার অ্যারাবিয়া হচ্ছে মাল্টি হাব ও মাল্টি এয়ারলাইন অপারেটর। হাবগুলো হচ্ছে— আরব আমিরাত (শারজাহ, আবুধাবি, রাস আল খাইমাহ), মরক্কো, মিশর, আর্মেনিয়া এবং পাকিস্তান থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ারলাইনটি। ৫০ টিরও বেশি দেশে ১৯০টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে এয়ার অ্যারাবিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— এয়ার অ্যারাবিয়ার রিজিওনাল জেনারেল ম্যানেজার রাজেস নারুলা, বাংলাদেশে এয়ার অ্যারাবিয়ার জেনারেল সেলস এজেন্ট প্রতিষ্ঠান এমজিএইচ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আব্দুর রহিমসহ প্রমুখ।