X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সসীম জীবনে অসীম পুণ্যের হাতছানি

মাওলানা আবু সাঈদ
২৭ মার্চ ২০২৪, ১২:৫৭আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৭

আল্লাহ তায়ালা সমগ্র জাহান সৃষ্টি করেছেন। তিনি খালেক (সৃষ্টিকর্তা)। তার জাত ও সিফাতের বাইরে যা কিছু আছে, সবই মাখলুক। আল্লাহ তার সৃষ্ট অসংখ্য জীবের মধ্যে মানুষ, জ্বিন ও ফেরেশতাকে দিয়েছেন বিবেক, বুদ্ধি ও বাকশক্তি। তাদের বলা হয়, ذوي العقول তথা বিবেকসম্পন্ন প্রাণী। এদের মধ্যে ফেরেশতাদেরই কেবল আল্লাহ তায়ালা পুণ্য করারই ক্ষমতা দিয়েছেন। সৃষ্টিগতভাবেই তাদের পাপ করার বা পাপাচারে লিপ্ত হওয়ার যোগ্যতা নেই। ফেরেশতাদের সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘আল্লাহর কোনও আদেশ তারা লংঘন করেন না, সব প্রত্যাদেশ তারা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করেন।’ [সূরা : তাহরিম/৬]

ফলে তাদের জীবনে কোনও পরীক্ষা নেই, তাই তাদের শ্রেষ্ঠত্বও নেই। তবে অপর দুই বিবেকসম্পন্ন প্রাণী তথা মানুষ ও জ্বিনের জীবনে রয়েছে পরীক্ষা। আছে পাপ ও পুণ্য করার স্বাধীনতা। এরই ভিত্তিতে পুরস্কার ও তিরস্কারের আয়োজন। উত্তম হওয়ার হাতছানি ও অধমের জন্য অতল গহ্বর।

আল্লাহ তায়ালা জীবনকে দুভাগে ভাগ করেছেন। মৃত্যুপূর্ববর্তী ইহলৌকিক জীবন ও পরবর্তী পরলৌকিক জীবন। জীবনের এই দুই অংশের উদ্দেশ্য যেমন ভিন্ন, কর্মক্ষমতাও ভিন্ন ভিন্ন। ইহলৌকিক জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা তার কালামে পাকে ইরশাদ করে বলেন, ‘আমি মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছি মিশ্র বীর্য থেকে তাদের পরীক্ষা করার জন্য। আমি তাকে দিয়েছি শ্রবণ ও দর্শন ক্ষমতা।’ [সূরা : ইনসান/২] 

এই পরীক্ষার বিষয়বস্তু হচ্ছে, আল্লাহর হুকুমের আনুগত্য। তার মর্জি মোতাবেক জীবন পরিচালনা করা। তার পছন্দের বিষয়গুলো অর্জন আর অপছন্দের বিষয়গুলো বর্জন করা। শরিয়তের পরিভাষায় এটাকেই ইবাদত বা ত্ব’আত বলে। অন্য এক আয়াতে একথাটি আল্লাহ তায়ালা আরও পরিষ্কার ভাষায় ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমি মানুষ ও জ্বিন জাতিকে সৃষ্টি করেছি কেবল আমার ইবাদতের জন্য।’ [সূরা : যারিয়াত/৫৬]

ইবাদত কী

ইবাদতের সংক্ষিপ্ত পরিচয় হলো ‘আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত করণীয় বিষয়গুলো করা আর বর্জনীয় বিষয়গুলো বর্জন করা।’ আল্লাহর পছন্দনীয় বিষয়গুলোই হলো করণীয় আর অপছন্দের বিষয়গুলো বর্জনীয়। করণীয় কাজগুলো করার সঠিক পদ্ধতি বাতলে দেওয়ার জন্য যুগে যুগে আল্লাহ তায়ালা অনেক নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন। নবীরা বলে দিয়েছেন, কোনও কাজগুলো করণীয় আর কোনও কাজগুলো বর্জনীয়। করণীয় কাজগুলো কোন পদ্ধতিতে করলে আল্লাহ তায়ালা খুশি হবেন, আর কোন পদ্ধতিতে করলে হবেন নারাজ, কোন কাজের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা কতটুকু, কোন কাজের ফজিলত কী? 

রাসুল (সা.) মানবজীবনের উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘দুনিয়ার প্রতিটি বস্তুই সৃষ্টি করা হয়েছে তোমাদের উপকারের জন্য, আর তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে পরকালকে সুন্দর ও সমৃদ্ধ করার জন্য।’ [বায়হাকি]

দুনিয়া মূলত ফসল উৎপাদন ক্ষেত্র, ফসল ভোগের জায়গা আখেরাত। দুনিয়াতে ভালো আমল করলেই কেবল আখেরাতে তার প্রতিদানের আশা করা যায়। দুনিয়া থেকে রিক্ত হাতে গেলে পরকালেও শূন্য হাতে জাহান্নামে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। এই হলো মানবজাতির মৃত্যুপূর্ব ইহলৌকিক জীবনের উদ্দেশ্য।

ইহলৌকিক জীবনের কর্মক্ষমতা

ইহলৌকিক জীবন মানবজীবনের এমন একটি অংশ, যেখানে তাকে দেওয়া হয়েছে উপার্জনের ক্ষমতা, গ্রহণ ও বর্জনের স্বাধীনতা। এখানে ইচ্ছা করলে ভালো ও পুণ্যের কাজ করে বান্দা তার ইহলৌকিক ও পরলৌকিক জীবনের সুখের প্রাসাদ নির্মাণ করতে পারে। নিজেকে নিয়ে যেতে পারে অনন্য উচ্চতায়। লাভ করতে পারে স্রষ্টার সান্নিধ্য। আবার ইচ্ছা করলে অন্যায় ও পাপ কাজ করে ইহকাল ও পরকাল উভয়টাই ধ্বংস করতে পারে। পাপ-পুণ্য অর্জনের এই স্বাধীনতা কেবল দুনিয়ার জীবনেই সীমাবদ্ধ। মৃত্যুর পর পাপ করার যেমন কোনও সক্ষমতা থাকবে না, পুণ্যের কাজ করে আমলের পাল্লা ভারী করারও থাকবে না কোনও অবকাশ।

আল্লাহ তায়ালা কোরআনে কারিমে এ বিষয়টির প্রতি সতর্ক করে বলছেন, ‘‘মৃত্যু আসার পূর্বেই আমার দেওয়া রিজিক থেকে তোমরা (আল্লাহর রাস্তায়) খরচ কর, পরে যেন আক্ষেপ করে কেউ একথা না বলে, ‘হে রব! যদি অল্প কিছু সময় আমার মৃত্যুটা প্রলম্বিত করতেন, তাহলে আমি আমার সকল সম্পদ আপনার রাস্তায় সদকা করে দিয়ে সৎকর্ম পরায়ণশীল হয়ে যেতাম। অথচ কোনও প্রাণীর মৃত্যুর সময় হয়ে গেলে আল্লাহ তায়ালা সামান্য সময়ও বিলম্ব করবেন না।” [সূরা : মুনাফিকুন/১০] 

মৃত্যু পরবর্তী জীবন

মানুষের দেহটাকে যদি হার্ডওয়্যার কল্পনা করা হয়, তাহলে রূহ বা আত্মা তার সফটওয়্যার। সফটওয়্যারবিহীন কম্পিউটার যেমন বেকার, প্রাণহীন দেহটাও তেমনি বেকার। প্রাণশূন্য হলে দেহ তার কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। মহান আল্লাহর হুকুমে মালাকুল মাওত বা মৃত্যুর ফেরেশতা আজরাইল (আ.) কর্তৃক দেহ থেকে আত্মার বিচ্ছিন্নকরণকে মৃত্যু বলে। অর্থাৎ দেহ ও আত্মার বিচ্ছেদই মৃত্যু। এই মৃত্যুর মাধ্যমেই প্রত্যেকটি প্রাণীর পরকালীন জীবন শুরু হয়ে যায়। 

পরকালীন জীবনের তিনটি ধাপ। প্রথম ধাপে সকল আত্মার একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবস্থান হবে আলমে বরযখ তথা কবর জগতে। এরপর বিচারকার্য সম্পদানের জন্য হাশরের ময়দানে সবাই একত্র হবে। এটা দ্বিতীয় ধাপ। এ দুই ধাপে প্রত্যেকটি প্রাণীই উপস্থিত থাকবে। মানুষ এবং জ্বিন ছাড়া সকল প্রাণীর হিসাব নিকাশ, জাযা-সাজাসহ যাবতীয় কার্যক্রম দ্বিতীয় ধাপে শেষ হয়ে যাবে। এরপর আসবে তৃতীয় বা চূড়ান্ত পর্ব। যেখানে শুধু মাত্র মানুষ ও জ্বিন জাতির উপস্থিতি থাকবে। এ পর্যায়ে এসে মানুষ এবং জ্বিন জাতি দুনিয়াতে তাদের করা পুণ্য ও পাপের বদলা স্বরূপ কেউ প্রাপ্ত হবে চিরসুখের জান্নাত, কেউ চলে যাবে অনন্ত কষ্টের জাহান্নামে।

মৃত্যু পরবর্তী জীবনের কর্মক্ষমতা 

মৃত্যুর পর বান্দার আমলের দরজা চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। আমলনামায় নতুন করে পাপ-পুণ্য যুক্ত করার আর কোনো সুযোগ থাকে না। তবে রাসুল (সা.) এর ভাষ্য অনুযায়ী কিছু আমল এমন আছে, যেগুলোর মৃত্যুর পরও অব্যাহত থাকে এবং আমলনামায় সেগুলোর সাওয়াব প্রতিনিয়ত যুক্ত হতে থাকে। এসব আমলকে শরীয়তের পরিভাষায় ‘আমালে জারিয়া’ বা ‘সদা চলমান আমল’ বলে।

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মানুষ মারা গেলে তার তিনটি আমল ছাড়া অন্য সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। আমল তিনটি হলো : ১. সাদাকায়ে জারিয়া; ২. এমন ইলম যার দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় এবং ৩. পুণ্যবান সন্তান যে তার জন্য দুআ করে। [সহিহ মুসলিম] 

আমালে জারিয়া বা ‘সদা চলমান পূণ্য’ -এর বিস্তারিত বিবরণ

১। সাদাকায়ে জারিয়া

সাদাকায়ে জারিয়া হলো এমন পুণ্যের কাজ, যে কাজের উপকারিতা যুগের পর যুগ অব্যাহত থাকবে। যা থেকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম উপকৃত হতে থাকবে। যেমন: কোনও মসজিদ মাদরাসা নির্মাণ করা কিংবা নির্মাণে সহযোগিতা করা। কোন এতিমখানা নির্মাণ করা। দীনি ইলম শিক্ষার জন্য কাউকে আর্থিক সহযোগিতা করা, সাধারণ মানুষের পান করার জন্য কোনও কূপ বা নলকূপ স্থাপন, রাস্তা-ঘাট ও কালভার্ট তৈরি, বৃক্ষরোপন ইত্যাদি।

২। ইলমে নাফে তথা উপকারী ইলম 

নিজে ইলম শিখা ও দুনিয়াতে ইলমের চর্চাকে অব্যাহত রাখার জন্য অন্যকে শিখিয়ে যাওয়া কিংবা কিতাবাদি রচনার মাধ্যমে নিজের ইলমকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করে রেখে যাওয়া একটি আমলে জারি। এ থেকে মানুষ যুগের পর যুগ প্রজন্মের পর প্রজন্ম উপকৃত হতে পারে। এভাবে যতদিন তার রেখে যাওয়া বা শিখিয়ে যাওয়া ইলম থেকে মানুষ উপকৃত হবে ততদিন তার আমলনামায় এর সওয়াব লিখা হতে থাকবে।

৩। ওয়ালাদে সালেহ তথা নেক সন্তান

সন্তানকে সৎ, নেককার ও আদর্শ মানুষরূপে গড়ে তোলা প্রত্যেক পিতা-মাতার অত্যাবশ্যকীয় কর্তব্য। সন্তান নেককার হলে, পিতা-মাতার হক সম্পর্কে জানলে এবং পিতা-মাতার হকের ব্যাপার আল্লাহর নির্দেশনা সম্পর্কে অবহিত থাকলে তারা পিতামাতর জন্য অবশ্যই দুআ করবে। তাদের জন্য ইছালে সাওয়াব করবে। সেই সাওয়াবও পিতা-মাতার আমলনামায় যুক্ত হতে থাকবে।

আলহামদুলিল্লাহ উপর্যুক্ত তিনটি আমলের সবগুলোরই চর্চার পরীক্ষিত, বিশ্বস্ত ও গর্বিত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের কওমি মাদরাসাগুলো। এসব প্রতিষ্ঠানে ইলমে নাফে শিক্ষাদান ও শিক্ষাগ্রহণের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ইলমে ওহীর আলোকে আওলাদে সালেহা তথা নেক সন্তান তৈরি করার প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যেন তারা পিতা-মাতার হক্ব সম্পর্কে অবহিত হয়ে পিতা-মাতার মৃত্যুর পূর্বে ও পরে যথাযথভাবে তাদের হক্ব আদায় করতে পারে। তাদের জন্য দুআ করতে পারে। তাদের নামে ইছালে সওয়াব করতে পারে।

এসব মাদরাসায় অনেক এতিম এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীও পড়াশোনা করে। যাদের লেখাপড়া, শিক্ষাসামগ্রীসহ যাবতীয় খরচ মাদ্রাসার লিল্লাহ ফান্ড থেকে বহন করা হয়। ইলমে দীন হাসিলে সহযোগিতার উদ্দেশ্যে যে কেউ লিল্লাহ ফান্ডে দান করার মাধ্যমে সদাকায়ে জারিয়ার সওয়াব হাসিল করতে পারেন। যাদের আর্থিক সহযোগিতায় এসকল শিক্ষার্থী ইলমে দ্বিন হাসিল করবে, যতদিন ইলমের চর্চা বহাল থাকবে, দানকারী কবরে বসেও এর সওয়াব আমল নামায় পেতে থাকবে।

বলা হয়ে থাকে, ‘মানুষ মরণশীল। সুতরাং মৃত্যু আসার পূর্বেই পরকালের জন্য কিছু করে নাও!’ জীবন চিরদিনের জন্য নয়, এরপরই চলে আসে মৃত্যু। তার আগেই পরকালের জন্য কিছু করে যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। দুনিয়ার জীবন পরকাল সমৃদ্ধ ও সুন্দর করার সীমিত ও সুবর্ণ এক সুযোগ। শয়তানের ধোকায় পড়ে হেলায়-খেলায় এ সুযোগ হাতছাড়া করা কোনও মুমিনের কাজ হতে পারে না। অতএব পরকালে বিশ্বাসী প্রতিটি মানুষের উচিত এই সীমিত সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজের ইহকাল ও পরকাল কামিয়াব করা। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে মৃত্যুপরবর্তী অসীম জীবনের প্রস্তুতি গ্রহণের তাওফিক দান করুক। আমিন!

/ইউএস/
সম্পর্কিত
ঈদুল ফিতরে করণীয়
চাঁদ দেখা যায়নি, ঈদ বৃহস্পতিবার
রমজানে নবীজির রাতের আমল
সর্বশেষ খবর
বংশালে ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
বংশালে ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
প্রেসিডেনশিয়াল ডিবেটে মুখোমুখি হবেন বাইডেন-ট্রাম্প, যা জানা গেলো
প্রেসিডেনশিয়াল ডিবেটে মুখোমুখি হবেন বাইডেন-ট্রাম্প, যা জানা গেলো
পুঁজিবাজার নিয়ে গুজব ছড়িয়ে যেভাবে চলতো কারসাজি
পুঁজিবাজার নিয়ে গুজব ছড়িয়ে যেভাবে চলতো কারসাজি
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অভিযানে গ্রেফতার ২০
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অভিযানে গ্রেফতার ২০
সর্বাধিক পঠিত
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
তাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
প্রাক-প্রাথমিক বন্ধই থাকছেতাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম