তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন করে বিএটি (বৃটিশ আমেরিকা টোবাকো, বাংলাদেশ) হোটেল ও রেস্টুরেন্টে তরুণদের ধূমপানে আকৃষ্ট করতে নানা প্রচারণা চালাচ্ছে। বিএটি এ কার্যক্রমের মাধ্যমে শুধু আইন লঙ্ঘন করছে না, পাশাপাশি সরকারের তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার চেষ্টা বাধাগ্রস্ত করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট।
মঙ্গলবার (১১ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিধিনিষেধ ও শাস্তির বিধান থাকা সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ ও হোটেলে বিভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছে বিএটি।
উল্লেখ্য, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (২০১৩ সালে সংশোধিত) এ লিফলেট, পোস্টার, বিলবোর্ড ও সাইনবোর্ডসহ যেকোনও উপায়ে তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই আইনে ক্রেতাদের প্রলুব্ধ করার জন্য বিনামূল্যে নমুনা বা কম টাকায় পণ্যের প্রস্তাব দেওয়াও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ৮টি বিভাগের ৪৫টি জেলার ৯৪৪টি স্থানের ৮০১৯টি বিক্রয় কেন্দ্র থেকে প্রায় সাড়ে ৩২ হাজার বিজ্ঞাপনের চিত্র পেয়েছে। অধিকাংশ স্থানে বিএটি (৯৬%) আইন লঙ্ঘন করে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ঢাকার বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট স্মোকিং জোন তৈরি করে দিচ্ছে, যেখানে শুধু বিএটির ব্র্যান্ডের সিগারেট পাওয়া যায়। তাদের এ কার্যক্রম কিশোর-কিশোরীদের ধূমপানে আকৃষ্ট করা অপচেষ্টা।
বিএটি’র এ ধরনের বেআইনি কার্যক্রমের বিরুদ্ধে জেলা ও উপজেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্সগুলোতে নিয়মিত অভিযোগ করা হচ্ছে। কিন্তু আইন পাশ হওয়ার ২৪ বছর পরও আইন লংঙ্ঘন করে এ ধরনের বেআইনি কার্যক্রম করার পরিপ্রেক্ষিতে এই কোম্পানির বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। রাষ্ট্রের আইন বাস্তবায়ন ও সরকারের তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য অর্জনে বিএটি’র বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট জোর দাবি জানাচ্ছে।